নির্লজ্জ_ভালোবাসা
লেখিকাসুমিচোধুরী
পর্ব ৪১ (১৮+এলার্ট)
❌কপি করা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ, আর আজকের পর্ব আর আগামী পর্বটা যারা অতিরিক্ত রোমান্টিক পছন্দ করেন না দয়া করে তাড়া এড়িয়ে চলবেন,আমি আগেই আপনাদের সতর্কতা দিয়ে দিচ্ছি ❌
রাত বারোটা ছুই ছুই তিথির খুব জোরালো ক্ষিদে পাওয়ায় রুম থেকে বের হয়ে সে নিচে হলরুমে এল। লাইট জ্বালিয়ে ফ্রিজ খুলে যখন সে আপেল নিতে যাবে, ঠিক তখনই তার চোখ গেল ফ্রিজের গ্রিলের দিকে কেউ সেখানে দুটি অচেনা কাঁচের বোতল রেখে দিয়েছে। বোতল দুটি দেখে তিথি অবাক হলো, আর কিসের বোতল তাও সে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারল না।
তিথি একটা বোতল হাতে নিল। সেটার গায়ে বড় করে লেখা আছে ভডকা শব্দটি দেখেও সে বুঝতে পারল না এই অদ্ভুত পানীয়ের মানে কী!
হঠাৎ তিথির মাথায় কী যেন একটা দুষ্টুমি ভর করল। তিথি নিজে নিজেই বলল।
“আচ্ছা, একটু চেখে দেখাই যাক না, কেমন লাগে এই নতুন ভডকা”
যেই ভাবা, সেই কাজ। তিথি বোতলের মুখ খুলে সাবধানে এক ঢোক খেল। পানীয়টা মুখে যাওয়া মাত্রই তার জিভে যেন আগুন লাগল, সাথে সাথে গলা পর্যন্ত জ্বলে উঠল মুহূর্তে বমি করে দেওয়ার মতো জ্বালা শুরু হলো।
“ছ্যাঃ! এইটা কী জিনিস! এমন কটু, ঝাঁঝালো গন্ধ কেন?”
তিথি কথাটা বলেই নাক চেপে ধরল এবং দু’বার ঢোক গিলে বেশ খানিকটা খেয়ে ফেলল। পান করা শেষ হলে গলা পরিষ্কার করে জোরালো ঢেকুর তুলে সে বলল।
“আহহহা! কী ভয়ংকর জিনিস ছিল এইটা! এমন তীব্র লাগে কেন!”
হঠাৎ তিথির মাথাটা তীব্র ঘূর্ণিতে পাক খেতে শুরু করল। সে অস্থিরভাবে টলে উঠল, পড়ে যেতে নিলেই অনেক কষ্টে নিকটের টেবিল ধরে নিজেকে সামলালো। চোখে এখন সব কিছু অস্পষ্ট, দুটো করে দেখছে। তিথি মাথাটা জোরে চেপে ধরে অস্থির কণ্ঠে বলল।
“এই! আমার কী হচ্ছে হ্যাঁ? এমন বিচক্ষণ পাগল পাগল লাগছে কেন আমায়?”
ধীরে ধীরে তিথি যেন পুরোপুরি মাতাল হয়ে গেল। অদ্ভুত নেশার ঘোরে তার আরও নেশা করার তীব্র ইচ্ছা জাগল! তাই তিথি হাতে থাকা বোতলের বাকি অর্ধেক ভডকাটুকু একটানে গিলে ফেলল। পান করা শেষ করে বোতলটা মেঝেতে রেখে উঠে দাঁড়াতে গেলেই ভারসাম্য হারিয়ে ‘ধুম’ করে ফ্লোরে পড়ে গেল। তীব্র মাথা ঘোরা আর সারা শরীর ঘামে ভিজে যাচ্ছে তার। তিথি নিজের এই এলোমেলো অবস্থা দেখে অসহায়ভাবে খিলখিল করে হাসতে হাসতে বলল।
“আরে ভাই, এইটা কী জিনিস খেলুম? এমন নেশার মতো লাগছে কেন? মাথাটা এমন ঘুরছে কেন?”
তিথি সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল। সে পাগলের মতো হাসতে হাসতে হলরুমের আয়নার সামনে এসে দাঁড়াল। নিজেকে নিজেই দেখতে দেখতে সে আনন্দে নেচে উঠল।
ঠিক সেই মুহূর্তে আয়ানেরও প্রচণ্ড জল পিপাসা পাওয়ায় সে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে লাগল। এত রাতে হলরুমে বাতি জ্বালানো দেখে সে একটু অবাক হলো। আয়ান যখন সিঁড়ির প্রায় শেষ ধাপে,তখনই তার চোখ গেল হলরুমের আয়নার দিকে। সেখানে তিথি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একাই পাগলের মতো নেচে চলেছে! আয়ান বিস্মিত হয়ে তিথির নাচ দেখতে দেখতে নামতে লাগল।
হঠাৎ অন্যমনস্কতার কারণে ভুলবশত আয়ানের পা সিঁড়িতে লেগে হোঁচট খেল। আয়ান ভারসাম্য রাখতে না পেরে ‘ধুম’ করে নিচে পড়ে গেল। কোমরে তীব্র ব্যথা পাওয়ায় সে চিৎকার করে উঠল।
“আহহহহহ্! ও আল্লাহরে, মরলাম।”
আয়ানের সেই তীব্র, যন্ত্রণাময় আর্তনাদও তিথির কানে একটুও পৌঁছালো না। অতিরিক্ত অ্যালকোহলের নেশায় বাইরের সব শব্দই যেন তিথির কাছে বিলীন, নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। হঠাৎ নাচতে নাচতে তিথি অনুভব করল তার সারা শরীর অস্বাভাবিকভাবে উত্তপ্ত হয়ে অস্থির লাগছে। যেন তার ভেতরে গভীর, প্রবল এক শারীরিক চা*হিদার তীব্র, আদিম নেশা আচমকা জেগে উঠেছে।
তিথি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছে না যে তার শরীরে কেন এই অস্বাভাবিক আগুন লেগেছে। কোনোভাবেই তিথি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসে নিজেকে সামলাতে পারছে না।
তিথির হঠাৎ চোখ গেল সিঁড়ির দিকে, যেখানে আয়ান এখনো কোমর চেপে ধরে ব্যথায় যন্ত্রণায় কুকিয়ে চলেছে। আয়ানকে দেখেই তিথির ভেতরে সেই শারীরিক সুখ পাওয়ার আদিম নেশা যেন লাভার মতো উথলে উঠল। তিথি পুরোপুরি মাতালের মতো টলতে টলতে আয়ানের একেবারে সামনে এসে দাঁড়াল।
আয়ান তিথিকে দেখে রাগে গরগর করতে করতে দাঁতে দাঁত চেপে বলল।
“সব তোর জন্যই হয়েছে, ডাইনি কোথাকার! তোর দাঁত যদি আমি না ভেঙে দিই, আমিও আয়ান খান না!”
আয়ানকে বাকরুদ্ধ করে দিয়ে তিথিও এক লহমায় আয়ানের পাশে মেঝেতে বসে পড়ল। তীব্র নেশার ঘোরে সে আয়ানের মাথার চুলগুলো মুঠোয় ধরে টেনে মাথাটা কাছে আনল এবং অন্ধের মতো আয়ানের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দিল।
তিথি পাগলের মতো আয়ানের ঠোঁট টেনে টেনে চুষতে লাগল। তিথির এই বন্য কাণ্ডে আয়ানের চোখ বিস্ময়ে যেন কপাল ছুঁল, রসগোল্লার মতো বড় হয়ে গেল চোখ। তীব্র রাগে আয়ান সমস্ত শক্তি এক করে তিথিকে হিংস্রভাবে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল। তিথি গড়িয়ে একটু দূরে গিয়ে পড়ল। আয়ান চোখ আগুন রাঙা লাল করে রাগে প্রায় গর্জন করে বলল।
“হোয়াট দ্য হেল, তোর এত বড় স্পর্ধা! এই কাজ করার সাহস কী করে হলো তোর?।”
কিন্তু তিথি মুহূর্তের জন্যও নিয়ন্ত্রণে ফিরল না। তার কাছে এখন কামনার এক তীব্র, অপ্রতিরোধ্য লোভ যেন দমকে দমকে জেগে উঠেছে। তিথি ক্ষুধার্তের মতো টলতে টলতে এগিয়ে এসে আয়ানের গলা পেঁচিয়ে ধরে কাতর কণ্ঠে বলল।
“প্লিজ আয়ান ভাইয়া, আমার ভেতরে যে আগুন জ্বলছে, তোমার সবটুকু দিয়ে তা শান্ত করো! আমি আর পারছি না, ধীরে ধীরে মরে যাচ্ছি আমি!”
তিথির এমন নির্লজ্জ, বেহুঁশ কথা শুনে আয়ানের মাথার শিরায় যেন আগুন ধরে গেল। আয়ান এবার ক্রোধে হিসহিস করে তিথিকে আরেকটি প্রচণ্ড ধাক্কা মেরে বলল।
“তোর সাহস দেখে আমি হতবাক! কী বলতে চাইছিস তুই? আমি তোর সবটা পূরণ করব মানে??”
তিথি এবার আরও কাছে ঘেঁষে এসে আয়ানের কানে মুখ গুঁজে উষ্ণ নিশ্বাস ফেলে ফিসফিস করে বলল।
“হ্যাঁ আমার ভেতরে কামনার আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে, একটু নিভিয়ে দাও! তোমার সবটুকু শক্তি আমার ভেতরে ঢুকিয়ে দাও! আমি আমি আর এক মুহূর্তও পারছি না নিজেকে সামলাতে! প্লিজ, দোহাই লাগে!”
তিথির এমন নির্লজ্জ আবদারে আয়ান যেন আক্ষরিক অর্থেই আকাশ থেকে ছিটকে পড়ল তিথি তাকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে! কথাটা মাথায় আসতেই আয়ানের রাগে সর্বাঙ্গ জ্বলে উঠল, কান দিয়ে যেন আগুন বেরোচ্ছে। আয়ান রাগে এবার তিথিকে ধরে শূন্যে তুলে আছাড় মারতে উদ্যত হলো, কিন্তু তার আগেই তিথি ক্ষিপ্রতার সাথে আবার আয়ানের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট চেপে ধরল এবং আয়ানের টি-শার্টের কলারগুলো শক্তভাবে খামচে ধরল, যাতে আয়ান তাকে কোনোভাবেই ধাক্কা দিয়ে সরাতে না পারে।
তিথি দ্বিতীয়বারের মতো উন্মত্ত ক্ষুধায় আয়ানের ঠোঁট টেনে টেনে চুষতে লাগল। আয়ান রাগে ছটফট করছে, তিথিকে সরানোর জন্য হাত-পা ছুঁড়ছে, কিন্তু তিথি টি-শার্টের কলার লোহার মতো শক্ত করে ধরে থাকায় সে কিছুতেই পারছে না। হঠাৎ আয়ান খেয়াল করল, তিথির মুখ থেকে অতিরিক্ত মদের এক বীভৎস, কটু গন্ধ আসছে। আয়ানের শ্বাস বন্ধ হয়ে আসার সাথে সাথে পেটের ভেতরটা গুলিয়ে উঠে বমি আসার মতো অবস্থা হলো।
প্রায় পাঁচটি দীর্ঘ মিনিট পর তিথি আয়ানের ঠোঁট ছাড়ল। আয়ান হাঁপাতে হাঁপাতে বুকে হাত দিয়ে বড় বড় শ্বাস নিতে নিতে বিস্ফোরিত কণ্ঠে ‘ওয়াক ওয়াক’ করে উঠল।
“ওয়াক! থু! থু! কী বীভৎস গন্ধ! এই জংলি মেয়ে, তুই কবে থেকে দাঁত ব্রাশ করিস না শুনি? তোর মুখের সব পচা নোংরা আমার মুখে ঢুকিয়ে দিলি!”
আয়ান হাঁটু গেড়ে বসে ওয়াক ওয়াক থু থু করেই চলল। তিথির কানে আয়ানের কোনো আর্তনাদই পৌঁছাল না মদের তীব্র উন্মাদনায় সে এখন নিজের শরীরী ক্ষুধা মেটানোর জন্য যেন ভীষণ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তিথি এবার কোনো বাক্যব্যয় না করে আয়ানের টি-শার্টের কলার ধরে পশুর মতো হ্যাঁচকা টানে ছিঁড়ে ফেলল।
আয়ান রাগে আগুনের ফুলকি ছুঁড়ে বসা অবস্থাতেই তিথির গালে কঠিন জোরে এক থাপ্পড় বসিয়ে দিল।
“তোর মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে? তুই কীসব নোংরামি শুরু করেছিস আমার সাথে? আমার টি-শার্ট ছিঁড়লি কেন!”
তিথি সেই থাপ্পড়ের আঘাত গায়ে না মেখে আয়ানের আরও ঘনিষ্ঠ হলো। আয়ানের উন্মুক্ত বুকে, ছেঁড়া টি-শার্টের ফাঁক দিয়ে সে আদরের মতো একটি গভীর চুমু খেল এবং নিচু, কামার্ত স্বরে বলল।
“সুখ দাও… প্লিজ আয়ান ভাইয়া… Fa*** me?।”
কথাটা বলতে বলতেই তিথি আয়ানের শরীরের ওপর ঝুঁকে পড়ে তার টি-শার্ট টেনে খুলতে লাগল। আয়ান তিথির এই পাগলামি দেখে অবাকের চরম সীমায় পৌঁছে গেছে। তিথি হঠাৎ এমন বন্য আচরণ করছে কেন, আয়ান কিছুই ঠাহর করতে পারছে না। তিথিকে কি আবার ভূতে ধরল নাকি? তাহলে কি ভূতে তার শরীরী ক্ষুধা মেটাতে বলছে, তিথি নিজে না?
তিথি এক ঝটকায় আয়ানের টি-শার্ট খুলে ফ্লোরে ছুড়ে মারল। আয়ান একদম খালি গায়ে উন্মুক্ত হয়ে গেল। সেই সুযোগে তিথি আয়ানের বুকে গাল ঘষতে ঘষতে এবং চুমু খেতে খেতে বলল।
“উমমম! উম্মাহ! আয়ান ভাইয়া, প্লিজ! আমার ভেতরের আগুনটা একটু নিভিয়ে দাও! আই ক্যান’ট টেক ইট এনি-মোর! আই’ম গোয়িং ক্রেজি, প্লিজ, জাস্ট মেইক লাভ টু মি!”
আয়ান তিথিকে হিংস্রভাবে ধাক্কা মেরে দূরে সরিয়ে দিয়ে তাড়াতাড়ি মেঝে থেকে উঠে দাঁড়াল। তিথির দিকে তীব্র ঘৃণায় তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল।
“আমার মাথা খারাপ হয়েছে নাকি? আমি ভূতে পাওয়া শরীরের ক্ষুধা মেটাবো? পেত্নির মতো দেখতে! তুই যা! অন্য কোনো মর্দ খুঁজে নিয়ে মেটা তোর গা জ্বালা! আমি পারব না!”
কথাটা বলেই আয়ান সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠতে যাবে, ঠিক সেই মুহূর্তে তিথি বিদ্যুৎ গতিতে ছুটে এসে আয়ানের দু’পা জাপটে ধরল এবং অসহায়ের মতো কেঁদে হাঁপাতে হাঁপাতে বলল।
“হাহ্ আমি আমি না আয়ান ভাইয়া তোমার স্ত্রী! কালই তো তোমার আর আমার বিয়ে হলো! তুমি তো বিধিমতে আমার স্বামী! তাহলে একজন স্বামী যদি তার পাগলিনী বউকে এই সুখ না দেয়, তবে কি রাস্তার অন্য কেউ এসে দেবে?।”
তিথির এমন বুকফাটা কান্না আর আকুল মিনতি দেখে আয়ানের ভেতরের রাগের বাঁধ যেন মুহূর্তে ভেঙে গেল। সে বুঝতে পারল, তিথি এখন আর নিজের মধ্যে নেই কোনো এক ভয়ঙ্কর ঘোরের মধ্যে তলিয়ে গেছে মেয়েটা। যে মেয়ে তাকে দুচোখে দেখতে পারে না, সে আজ তার পায়ে পড়ে শরীরের ক্ষুধা মিঠাতে ভিক্ষা চাইছে এটা কোনোভাবেই স্বাভাবিক মস্তিষ্কের কাজ হতে পারে না। কাগজে-কলমে তারা স্বামী-স্ত্রী হলেও, আয়ান জানে এই সম্পর্কের কোনো ভিত্তি নেই, আর ঘনিষ্ঠতা তো অবাস্তব কল্পনা। তবুও তিথির এমন উদ্ভট কাণ্ড দেখে আয়ান বিস্ময়ে হতবাক হয়ে রইল।
আয়ান এবার নিজের সব রাগ নিয়ন্ত্রণ করে, নিজে শান্ত হয়ে আসল কারণটা জানার চেষ্টা করল। সে ধীরে তিথির সামনে হাঁটু গেড়ে বসল। তারপর তিথির তপ্ত গালটা নিজের দুই হাতের মুঠোয় নিয়ে আদুরে, শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করল।
“তিথি কী হয়েছে তোর? এমন পাগলামি কেন করছিস বল তো?”
তিথি ছলছল চোখে, একেবারে অবুঝ বাচ্চার মতো বায়না ধরে বলল।
“বললে তুমি আমায় আদর করবে? কথা দাও যদি আদর করো তবেই বলবো, নাহলে কিন্তু কিচ্ছু বলব না।”
আয়ান একটা ভারী দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজেকে অসহায়ের মতো শান্ত করল। পরিস্থিতি সামাল দিতে বলল।
“আচ্ছা বাবা, কথা দিলাম করবো! এখন বল, এমন করছিস কেন?”
আয়ানের কথা শুনে তিথির চোখ খুশিতে চকচক করে উঠল। সে সাথে সাথে মেঝের একপাশে পড়ে থাকা ভদকার বোতলটার দিকে কাঁপাকাঁপা আঙুল উঁচিয়ে দেখিয়ে বলল।
“আমি জানি না ওই যে ওই জিনিসটা! ওইটা খাওয়ার পর থেকেই আমার শরীরটা কেমন যেন করছে ভেতরটা জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে! আমি সত্যিই পাগল হয়ে যাচ্ছি আয়ান ভাইয়া, নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছি না!”
তিথির কথা শুনে আয়ান দ্রুত উঠে দাঁড়িয়ে মেঝেতে পড়ে থাকা ভদকার বোতলটার দিকে এগিয়ে গেল। বোতলটা হাতে তুলে উল্টেপাল্টে দেখেই সে যেন আকাশ থেকে পড়ল! এটা তো সেই বোতল, যেটা তার ভণ্ড বন্ধুরা দুষ্টুমি করে তাকে দিয়েছিল বলেছিল বাসর রাতে একটা বোতল তিথিকে খাওয়াতে, আর একটা বোতল যেন সে নিজে পান করে। তাহলে নাকি তাদের দাম্পত্য জীবন সুখে ভরে উঠবে!
কিন্তু আয়ান জানে, ওই ভণ্ডগুলো নিশ্চিত এই বোতলগুলোতে কিছু একটা মেশিয়েছে। সে বোতলের সিলটা ভালো করে লক্ষ্য করল এবং ভেতরে পানীয়র রঙ দেখে মুহূর্তে বুঝে গেল। বন্ধুদের দুষ্টুমির কথা মনে পড়তেই তার রাগে গা রি রি করে উঠল। এ তো সাধারণ মদ নয়! এর মধ্যে নিশ্চয়ই উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ঔষধ মেশানো হয়েছে!
আয়ান মনে মনে ভাবল।
“ভণ্ডগুলো! নিশ্চিত এর ভেতরে ‘স্প্যানিশ ফ্লাই’ অথবা তেমনই কিছু একটা মিশিয়ে দিয়েছে!”
এইবার সে তিথির পাগলামি আচরণের আসল কারণটা পরিষ্কার বুঝতে পারল। তিথি মদ নয়, বরং তীব্র যৌ*ন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী উত্তেজক পানীয় পান করেছে, যার ফলেই সে এখন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
আয়ানের গভীর ভাবনার মধ্যেই তিথি যেন ঝড়ের বেগে নিজের দেহের আচ্ছাদনটুকুও খুলে আকাশে ছুঁড়ে মারল। মুহূর্তেই প্রায় বিবস্ত্র তিথি আয়ানের পেছনে এসে তার কোমরে নিজের বাহু শক্ত করে জড়িয়ে ধরল এবং উত্তেজিত স্বরে ফিসফিস করে বলল।
“আয়ান, প্লিজ! আর সহ্য হচ্ছে না! আদর করো আমাকে! আমার শরীরটা শুধু তোমাকেই চাইছে! প্লিজ প্লিজ!”
আয়ানের চোখ তখন আয়নায় স্থির ছিল। কাঁচের ভেতরে তিথির উন্মুক্ত শরীর, যেখানে শুধু অন্তর্বাসটুকু লেগে আছে সেই দৃশ্য দেখে আয়ান গলা শুকিয়ে বারবার ঢোক গিলতে লাগল। তার নিজের শরীরেও যেন হঠাৎ উষ্ণ রক্তের স্রোত বইতে শুরু করেছে।
আয়ান যখন স্থবির হয়ে কিছু বলতে পারছিল না, তিথি তখন উত্তেজনার চরম শিখরে পৌঁছে এমন এক কাজ করে বসল, যা আয়ানের সকল প্রতিরোধ ভেঙে দিল এবং সে মুহূর্তেই নিয়ন্ত্রণ হারাল। (পাঠক-পাঠিকাদের বুঝে নিতে হবে, সেই কাজটি কী ছিল)।
আয়ান যেন বিদ্যুতের ধাক্কা খেল! সে এক ঝটকায় তিথিকে আঁকড়ে ধরে কোলে তুলে নিলো এবং দম আটকানো স্বরে জিজ্ঞেস করল।
“ঠিক আছে! তুই আদর চাইছিস তো?”
তিথি উন্মাদিনীর মতো আয়ানের গলা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তার কানের কাছে ফিসফিস করল।
“হুম!”
রানিং…!
প্রিয় পাঠকরা দুইদিন ধরে আয়ান তিথির কাহিনি দেওয়া হচ্ছে না তাই আজকে শুধু আয়ান তিথির কাহিনিই দিলাম,আমার দোষ নাই অদের কাহিনি লিখতে লিখতে আমি হাপিয়ে গিয়েছি, আজকের পর্বটাতে কিছু অশ্লীল কথা আছে যদি আমি ভুল করে থাকি দয়া করে আমায় ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন যারা রোমান্টিক একদমি পছন্দ করেন না তাড়া প্লিজ এই পর্ব আর সামনের আগামী পর্বটা এড়িয়ে চলবেন৷ আমি আগেই সতর্কতা দিয়ে দিচ্ছি, বাকিটুক আগামী পর্বে।🌚
Share On:
TAGS: নির্লজ্জ ভালোবাসা, প্রিঁয়ঁসেঁনীঁ
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৫৫
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৩৩
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৫৭
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৭
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৪৫
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৫৪
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৩০
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৪৪
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ২৪
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৫৩