দ্যাআনপ্রেডিক্টেবললাভ
পর্ব : ০৬
লেখক_Jahirul_islam_Mahir
☘️
“মাফিয়া কিং জহির আদনান চৌধুরীর গায়ে হলুদ উপলক্ষে চট্টগ্রাম শহরের সবচেয়ে বড় কমিউনিটি সেন্টার টা বুকিং করা হয়েছে”। “চট্টগ্রাম শহরের সবচেয়ে বড় কমিউনিটি সেন্টার টা লাইটিং এর আলোয় ঝলমল করছে”। “ডেকোরেশন টা এমন ভাবে করা হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে যেন একটা রাজকীয় বিয়ে বাড়ি”! “কমিউনিটি সেন্টারের ছাঁদে হলুদের ডেকোরেশন করা হয়েছে”। “চারপাশে লাগানো হয়েছে সাদা আর লরক্স ফুলের মালা”, “সাথে আছে রেড রোজ আর অর্চিডের কম্বিনেশন”। “স্টেজে উঠার রাস্তার দুই পাশে বিছানো হয়েছে সাদা আর লাল গোলাপ ফুলের পাপড়ি আর সুন্দর লরক্স ফুলের পেটাল”।
“স্টেজে আদনান আর আদ্রিয়ানার জন্য রাখা হয়েছে দুইটা গোল্ডেন সোফা”, “সাথে আছে সুন্দর কারুকাজ করা ব্যাকড্রপ”। “ব্যাকড্রপে লাগানো হয়েছে আদনান আর আদ্রিয়ানার নামের লাইন”, “সাথে আছে “Forever Together” “লিখাটা সুন্দর করে লাগানো”।
“ছাঁদের চারপাশে লাগানো হয়েছে সুন্দর লাইটিং”, “সাথে আছে লেজার লাইটের খেলা”। “স্টেজের সামনে রাখা হয়েছে একটা সুন্দর ফুলের তোড়া”, “যেটা দেখে মনে হচ্ছে যেন একটা রাজকীয় তাজ”!
“সব মিলিয়ে বিয়ের ডেকোরেশন টা দেখে মনে হচ্ছে যেন একটা রাজকীয় বিয়ে বাড়ি”!
☘️
“সময় সন্ধ্যা সাত টা”। “পার্লার থেকে লোক আনা হয়েছে আদ্রিয়ানা কে সাজানোর জন্য”। ” কমিউনিটি সেন্টারে থাকা একটা রুমে আদ্রিয়ানা কে সাজানো হচ্ছে “।
” অপরদিকে দুই ঘন্টা ধরে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে পায়চারি করছে জহির আদনান চৌধুরী “। ” হলুদের সাজে তাঁর প্রিয়তমা কে এক পলক দেখার জন্য মনটা ছটফট করছে তাঁর “।
” নাহ আর থাকা যাচ্ছে না “।
” কথাটা বলেই দরজা ঠেলে রুমে ঢুকে পড়ে জহির আদনান চৌধুরী “। ” রুমে ঢুকতেই ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে থাকা একটা সতেরো বছর বয়সী রমনীর উপর চোখ আটকে যায় জহির আদনান চৌধুরী “। ” আদনান এক পা এক পা করে এগিয়ে যায় ড্রেসিং টেবিলের দিকে “। ” মিররে আদনানের প্রতিচ্ছবি দেখেই বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় আদ্রিয়ানা “। ” আদনানের দিকে তাকিয়ে একটা লজ্জা মিশ্রিত হাঁসি দেয় আদ্রিয়ানা”। ” যা দেখে আদনানের অজান্তেই আদনানের হাত চলে যায় বুকের বাঁ পাশে “। ” হাঁ করে আদ্রিয়ানার দিকে তাকিয়ে আছে আদনান “।
” আদ্রিয়ানা হলুদ রঙের লেহেঙ্গা পড়েছে”, “সোনালি জরি দিয়ে কাজ করা”, “ম্যাচিং ডুপাট্টা”, “হাত ভর্তি চুড়ি”, “হাঁটু পর্যন্ত লন্বা চুল গুলো একটা সুন্দর স্টাইলে বাঁধা”, “কয়েকটা ফুল গুঁজে দেওয়া”। “হালকা মেকআপ”, “চোখে হালকা কাজল”, “ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক”, “গালে হালকা ব্লাশ”। “ব্যস এতটুকুতেই অসম্ভব সুন্দর লাগছে আদ্রিয়ানা কে”।
” আদনান কে হা করে তাকিয়ে থাকতে দেখে আদ্রিয়ানা লজ্জা পেয়ে যায়”। “আদনানের দিকে তাকিয়ে লজ্জা মিশ্রিত হাঁসি দিয়ে বলে”,,
“মিস্টার সাদা কালা পান্ডা মুখ টা বন্ধ করেন নয়তো কিছু ঢুকে যাবে”।
“আদ্রিয়ানার কথা মনে হয় আদনানের কান পর্যন্ত পৌঁছায় নিই”। “আদনান এখনো আগের মতই বুকের বাঁ পাশে হাত দিয়ে হা করে আদ্রিয়ানার দিকে তাকিয়ে আছে”। “আদ্রিয়ানার লজ্জা আরো দ্বিগুন বেড়ে যায়”। “মাথা নিচু করে লজ্জা মিশ্রিত কন্ঠে বলে”,
“মিস্টার সাদা কালা পান্ডা এইভাবে হাঁ করে তাকিয়ে থাকবেন না প্লীজ”। “আমার খুব লজ্জা লাগছে”।
“আদ্রিয়ানার কথায় আদনান বাস্তবে ফিরে”। “আদ্রিয়ানার কোমর জড়িয়ে ধরে আদ্রিয়ানা কে কাছে টেনে নিয়ে বলে”,,
“ওরে বাবা রে আমার বৌ টা তো দেখছি লজ্জায় একে বারে লাল টমেটো হয়ে গেছে”।
আদনানের এমন কথায় যেনো আদ্রিয়ানার লজ্জা আরো দ্বিগুন বেড়ে যায়। লজ্জায় আদ্রিয়ানা আদনানের বুকে মুখ গুঁজে ফেলে।
” কিছুক্ষণ পর আদ্রিয়ানা মাথা তুলে জহির আদনানের দিকে তাকালো”। “জহির আদনানের চোখে চোখ পড়তেই আদ্রিয়ানা আবার লজ্জা পেয়ে যায়”। “আবার ও আদনানের বুকে মুখ লুকিয়ে ফেলে”।
“জহির আদনান একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললো”,
“কি গো লাল টুকটুকে টমেটো বৌ, আমার লাল টুকটুকে টমেটো বৌটা কি এখনো লজ্জা পাচ্ছে? “
আদ্রিয়ানা জহির আদনানের বুকে আস্তে করে একটা ঘুষি মেরে বললো,
” মিস্টার সাদা কালা পান্ডা আপনি একটা পাজি! “
জহির আদনান হাসলো, আর আদ্রিয়ানাকে আরো কাছে টেনে নিয়ে বললো,
“পাজি? ঠিক আছে, তোমার পাজি হাজব্যান্ড তোমাকে একটা গিফট দেবে। “
আদ্রিয়ানা জহির আদনানের দিকে তাকিয়ে বললো, “কি গিফট? “
জহির আদনান একটা মিস্টি হাসি দিয়ে আদ্রিয়ানার গালে একটা কিস দিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আদ্রিয়ানা বলে উঠে”,,
“লুচ্চা পান্ডা আপনি আমাকে কিস করলেন কেনো” ?
“কিস করি নিই তো বৌ গিফট দিলাম”
” মিস্টার সাদা কালা পান্ডা এমন গিফট আপনার কাছে চাইছি” ?
“এভাবে রেগে যাচ্ছো কেনো বৌ ? শুধু একটা কিসই তো করলাম”। “বেশি কিছু তো করি নিই”!
“লুচ্চা পান্ডা বেশি কিছু বলতে কি বুঝাতে চাইছেস”?
“কিছু না বৌজান” আপনাকে কিস করে আমার ভুল হয়েছে ” আমার ক্ষমা করে দিন প্লীজ”!
“ঠিক আছে ঠিক আছে ক্ষমা চাইতে হবে না”
“আদনান বড় করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে” আদ্রিয়ানা আদনানের দিকে তাকায়। আদনান কে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে দেখে। আদনান একটা কালো শেরওয়ানি পরে আছে, তার চোখে একটা শার্প লুক, আর মাফিয়া টাইপের ভাব। তার চুলগুলোকে সেট করা। হাতে ব্র্যান্ডের ঘড়ি , জহির আদনানের গায়ে একটা মাফিয়া-সুলভ আউরা আছে, আর সে একদম রেডি মাফিয়া কিং! সেই লাগছে জহির আদনান চৌধুরী কে।
“মিস্টার সাদা কালা পান্ডা আপনি কালো শেরোয়ানি পড়েছেন কেনো ? হলুদের অনুষ্ঠানে কি জামাইরা কালো শেরোয়ানি পড়ে”?
“কেনো কালো তে কি আমাকে ভালো লাগছে না” ?
“লাগছে তবে আজকে কালো পড়ছেন কেনো ?
” আমি কালো তে কম্পাটিবল তাই কালো পড়ছি”
“আজকের দিনের জন্য অন্তত কালো রং টা কে বাদ দিয়ে হলুদ রঙের শেরোয়ানি পড়েন প্লীজ।
“হলুদ শেরোয়ানি পড়বো… যদি তুমি একটা কিস দাও!
যা মিস্টার সাদা কালা পান্ডা এটা কেমন কথা। আমার বুঝি সরম করবে না
আমি চোখ বন্ধ করছি থুমি ঠুস করে একটা কিস দিয়ে দাও”
কিস দিতে হবে তাই না ?
হুম।
আগে শেরোয়ানি টা পড়ে নেন তাঁর পর দিবো।
নো মাই ডিয়ার বৌ নো। আগে কিস দাও তাঁর পর পড়বো।
কিস দেওয়ার পর যদি না পড়েন তখন?
পড়বো প্রমিজ।
তাহলে চোখ বন্ধ করেন।
ওকেই চোখ বন্ধ করলাম।
এই কথা বলে আদনান চোখ বন্ধ করে। আদ্রিয়ানা আদনানের কাঁধে হাত রেখে একটু উঁচু হয়ে আদনানের গালে একটা চুমু দিয়ে দেয়। আদনান সাথে সাথেই চোখ খুলে ফেলে। আদনানের চোখে চোখ পড়তেই আদ্রিয়ানা লজ্জা পেয়ে আদনানের বুকে মুখ গুঁজে ফেলে। আদনান তাঁর লজ্জাবতী বৌ কে আগলে নেয় নিজের বিরহ ডুরে। কিছুক্ষণ পর আদ্রিয়ানা বলে,,
“মিস্টার মাফিয়া কিস তো দিলাম এইবার আপনার এই মাফিয়া টাইপের শেরোয়ানি টা খুলে হলুদ রঙের শেরোয়ানি পড়েন”!
“আদ্রিয়ানা মুখে এমন কথা শুনে আদনান পকেট থেকে ফোন টা বের করে কল দেয় তাঁর এ্যাসিস্ট্যান্ট আজিজ কে। রিং পড়ার সাথে সাথেই রিসিভ হয়ে যায়”!
“আসসালামুয়ালাইকুম স্যার”।
“ওয়ালাইকুমুস সালাম”।
“জ্বী স্যার বলুন” ?
“দশ মিনিটের মধ্যে একটা হলুদ রঙের শেরোয়ানি নিয়ে এসো আমার জন্য”।
“ওকে স্যার আপনি দশ মিনিট ওয়েট করুন আমি দশ মিনিটের মধ্যেই শেরোয়ানি নিয়ে আসছি”।
“বেরি গুড”।
“এই কথা বলে আদনান ফোন কেটে দেয়”! আদ্রিয়ানার কোমর জড়িয়ে ধরে আদ্রিয়ানা কে আবার ও কাছে টেনে নেয়”!
“বৌ তুমি কি জানো হলুদ রঙের লেহেঙ্গায় তোমাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে”। ইচ্ছে করছে,,,
বাকিটুকু উচ্চারণ করতে পারে না আদনান তাঁর আগেই আদ্রিয়ানা বলে উঠে,,
“থামেন মিস্টার সাদা কালা পান্ডা”। বাকিটুকু আর বলার দরকার নেই”! “আপনার কি ইচ্ছে করছে তা আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি”।
“বুঝতে যেহেতু পারছো সেহেতু তোমার ঠোঁটে একটা চুমু খেতে দাও না প্লীজ”।
“কোথায় চুমু খাবেন” ?
“তোমার ঠোঁটে”
“ছিঃ ছিঃ ছিঃ ঠোঁটে কেমনে চুমু খাই”?
“প্র্যাকটিক্যাল করে দেখিয়ে দিই কেমনে খাই”?
” নাহ প্র্যাকটিক্যাল করে দেখিয়ে দেওয়া লাগবে না”! আমি একটা কথা বলি শুনেন” ?
একটা কেনো হাজার টা বলো না আমি শুনছি তো”!
“দেখেন মিস্টার সাদা কালা পান্ডা “! ঠোঁটে চুমু খাওয়া আর থুতু খাওয়া সমান। তাছাড়া একজনের মুখের এনজাইম আরেকজনের মুখে গেলে সমস্যা হয়”!
আদনান আদ্রিয়ানা কে আরো কাছে টেনে নিয়ে বলে,,
“মিনিট দশেকের জন্য এনজাইম খেলে কিছুই হবে না”!
এই কথা বলে আদনান আদ্রিয়ানার ঠোঁটের দিকে নিজের ঠোঁট এগোতে থাকে। আদ্রিয়ানা লজ্জায় চোখ বন্ধ করে ফেলে। আদনান নিজের ঠোঁট দুটো আদ্রিয়ানার ঠোঁটের কাছে নিয়ে গিয়ে যখনি আদ্রিয়ানার ঠোঁট স্পর্শ করতে যাবে ঠিক তখনি দরজায় টোকা পড়ে। ফলে আদনান আদ্রিয়ানা কে ছেড়ে দিয়ে দরজার দিকে এগিয়ে যায়। দরজা খুলে দেখে আজিজ এসেছে।
“স্যার আপনার শেরোয়ানি”!
“ধন্যবাদ আজিজ”
“স্যার ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবেন না প্লীজ”
জহির আদনান চৌধুরী মুচকি হাসে।
“স্যার নয়টা ওভার হয়ে গেছে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে ম্যাম কে নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন”
“হুম আসছি তুমি যাও”
ওকে স্যার।
সময়ের অভাবে রিচেক দেওয়া হয় নিই।
চলবে,,,,,
( ভুল ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ )
Share On:
TAGS: জাহিরুল ইসলাম মাহির, দ্যা আনপ্রেডিক্টেবল লাভ
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
দ্যা আনপ্রেডিক্টেবল লাভ পর্ব ১
-
দ্যা আনপ্রেডিক্টেবল লাভ পর্ব ২
-
দ্যা আনপ্রেডিক্টেবল লাভ গল্পের লিংক
-
দ্যা আনপ্রেডিক্টেবল লাভ পর্ব ৫
-
দ্যা আনপ্রেডিক্টেবল লাভ পর্ব ৪
-
দ্যা আনপ্রেডিক্টেবল লাভ পর্ব ৩