১৬.
Dark_Desire
ডার্ক_ডিজায়ার
দূর্বা_এহসান
শহরটা যেন শ্বাস নিচ্ছে ধীরে ধীরে।রাস্তায় ছিটকে পড়া জল। অ্যাম্বুলেন্সের লাল আলো। আর দূরে বাজতে থাকা সাইরেনের শব্দ মিলেমিশে একটা ঠান্ডা ভয় তৈরি করছে।
তরু দাঁড়িয়ে আছে সিটি হসপিটালের সামনে।ভেজা চুল মুখে লেগে আছে।ঠোঁট কাঁপছে। চোখদুটো লাল।
তরুর পা কাঁপছে।প্রতিটা পদক্ষেপ যেন কাচের উপর ফেলে দেওয়া ভারী পাথর।হাসপাতালের করিডর ভিজে মেঝে, ধাতব গন্ধ।একটা নার্স ফাইল হাতে এগিয়ে এলো।
“এক্সিডেন্ট কেস, ব্লক-সি, রুম নাম্বার ৩০৭।”
তরু কিছু না বলেই দৌড় দিল।রুমের সামনে এসে থামল।
ভেতরে কাচের দরজার ওপারে সাদা পর্দার ছায়া।
একটা শ্বাসযন্ত্রের আওয়াজ।প্রতিটা টিক যেন বুকের মধ্যে হাতুড়ির মতো পড়ছে।তরু কাঁপা হাতে দরজাটা ঠেলে খুলে ঢুকল। বেডে শুয়ে আছে মৃন্ময়।চোখ বন্ধ, মাথায় ব্যান্ডেজ, নাকের নিচে অক্সিজেন টিউব।তার মুখে কোনো রঙ নেই, ঠোঁট ফ্যাকাশে।তবু চেনা। ভীষণ চেনা।তরু স্থির দাঁড়িয়ে রইল।
তার বুকের ভেতর ঢিপ ঢিপ শব্দ হচ্ছে।একটা ঠান্ডা স্রোত নেমে
গেল পিঠ বেয়ে। ধীরে ধীরে সে এগিয়ে এলো।মুহূর্তে সবকিছু ধোঁয়াটে হয়ে যায়।সে এগিয়ে গিয়ে মৃন্ময়ের হাত ধরল।ঠান্ডা, নিস্তব্ধ, তবু সেই উষ্ণতার ছোঁয়া আছে ভেতরে কোথাও।
“মৃন্ময়”
তার গলা কাঁপছে।
“আমি এসেছি, মৃন্ময়”
কোনো উত্তর নেই।যন্ত্রের শব্দ কেবল থেমে থেমে বাজছে।
তরু চোখ বন্ধ করলো।তার চোখ বেয়ে জল পড়ল মৃন্ময়ের আঙুলে।একফোঁটা। যেন আগুনের মতো জ্বলছে।
“যেদিন শুনেছিলাম তোমার কন্ঠ,আমি ভাবিনি আর কিছু, শুধু ঘৃণা করেছি। অথচ আজ জানি, সেটা সত্যি ছিল না।”
সে মৃন্ময়ের হাত চেপে ধরে।
“রজনী বলেছিল, তুমি খুঁজবে না আমায়। কিন্তু তুমি খুঁজেছিলে। তুমি গিয়েছিলে আমার খোঁজে, তাই এখন এই অবস্থায়।”
একটা নার্স ঢুকল।স্যালাইন চেক করে গেল, ফাইলের কিছু লিখল।তরু তাকালো।
” সৃষ্টিকর্তা চাইলে সব সম্ভব। মাথায় আঘাত বেশ জোরে। এখন গভীর অচেতন অবস্থা। তবে পালস ঠিক আছে।”
তরু চুপচাপ বসে রইল।নার্স বেরিয়ে গেল।রুমে নিস্তব্ধতা।
“তুমি বলেছিলে, ভালোবাসা ঘৃণায় পরিণত হলে মানুষ বদলে যায় না, কেবল নীরব হয়ে যায়। আমি সেই নীরব মানুষ হয়ে গেছিলাম, মৃন্ময়। এখন তুমি নীরব আর আমি ফিরেছি।”
মৃন্ময়ের কপালের ওপর আলতো করে হাত রাখল।
“জাগো, মৃন্ময়।এইবার শুধু একবার চোখ খোলো।”
কোনো সাড়া নেই।শুধু যন্ত্রের শব্দে জীবন টিকে আছে।তরুর মনে পড়ল অরুর মুখ।হাসপাতালের আরেকটা ঘর, একই গন্ধ, একই নিস্তব্ধতা।বোনটা তখনও জ্ঞানহীন, আর আজ মৃন্ময়ও একই ভাবে নিস্তব্ধ।
“আমি কি অভিশপ্ত?”
তরু নিজের কাছেই বলল।
“যাদের ভালোবাসি, তারা সবাই নিঃশব্দ হয়ে যায়।”
সে মৃন্ময়ের চুলে হাত বুলিয়ে দিল।চোখ বেয়ে অঝোরে জল পড়ছে।
“এইবার তুমি ফিরে এসো,আমি সব ঠিক করে দেব। ফিরে এসো।”
তরু অনেকক্ষণ ধরে পাশে বসে ছিল।হাতে মৃন্ময়ের হাত, ঠোঁটে নীরবতা।তার চোখের নিচে ক্লান্তি জমেছে, কিন্তু মনটা স্থির নয়।
মৃন্ময়ের কোনো সাড়া মেলেনি।
রাত বাড়তে থাকে।ঘড়িতে তখন ১টা পেরিয়েছে।তরু অবশেষে উঠে দাঁড়াল।চোখে লালচে ছাপ।বাইরে গিয়ে ডাক্তারকে কিছু জিজ্ঞেস করবে, হয়তো একটু নিঃশ্বাস নেবে।দরজাটা চুপচাপ খুলে বাইরে বেরিয়ে গেল।
রুমে আবার নিস্তব্ধতা।আলো নিভু নিভু।হঠাৎ একসময় বিপ শব্দটা একটু বদলে গেল।রিদমের বাইরে।মৃন্ময়ের আঙুল নড়ল।
একটা আঙুল, তারপর আরেকটা।তার ঠোঁট কাঁপল, চোখের পাতা কেঁপে উঠল।
“পাখি….”
শব্দটা খুব ক্ষীণ, কিন্তু স্পষ্ট।যেন অনেক বছর পর বুকের গভীর থেকে উঠে এলো।তারপর হঠাৎ শ্বাস দ্রুত হয়ে গেল।
যন্ত্রের শব্দ বেড়ে উঠছে।মৃন্ময় চোখ খুলল ধীরে।আলোতে প্রথমে চোখ ঝলসে গেল, তারপর দৃষ্টি স্থির হলো।ফাঁকা রুম।
সে মাথা নাড়ল।গলায় শুষ্ক আওয়াজ,
” কোথায় তুমি”
যন্ত্রের তার টানছে সে, কষ্টে, কিন্তু থামছে না।স্যালাইন লাইন ছিঁড়ে গেল, হাত থেকে রক্ত ঝরছে হালকা।কিন্তু তার মনোযোগ একটাই,তরু নেই।
“তরু!”
সে চিৎকার করল এবার।কণ্ঠ ভাঙা, গলা শুকনো, কিন্তু ভয়াবহ রাগ আর অসহায়তা মিশে আছে।রুমে থাকা গ্লাসের জগটা পড়ে গেল মেঝেতে।জল ছিটকে ছড়িয়ে গেল মৃন্ময়ের পায়ের নিচে।
সে উঠে বসতে গেল,কিন্তু মাথা ঘুরে গেল,।ব্যথায় শরীর কাঁপছে।
তবুও থামছে না।
“তরু! শুনছো না তুমি?”
বাইরে করিডরে তখন তরু ডাক্তার আর নার্সের সঙ্গে কথা বলছে।তার হঠাৎ কানে এলো শব্দ,গ্লাস ভাঙার আওয়াজ।তরু এক মুহূর্তে ছুটে গেল ভেতরে।
“মৃন্ময়!”
সে দরজা খুলে ঢুকতেই দেখে,মৃন্ময় বিছানা থেকে আধা উঠে পড়েছে, অক্সিজেন টিউব ছিটকে পড়েছে পাশে।তার চোখ ফাঁকা, তীব্র, অস্থির।
তরু ছুটে গিয়ে তার কাঁধ ধরল।
“শান্ত হও, মৃন্ময়! আমি এখানেই আছি ।কোথাও যাইনি…”
মৃন্ময় দু হাতে আঁকড়ে ধরলো তরুকে। তার যেনো বিশ্বাস হচ্ছে না তরু সামনে। তরুর ঠোঁটে পর পর কয়েকটা চুমু দিল। যেন হারানো কিছু ফিরে পেয়েছে।
মৃন্ময় কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,
“তুমি চলে গিয়েছিলে!”
“না, আমি আছি”
কিন্তু মৃন্ময় শুনছে না।চোখ উল্টে যাচ্ছে তার, শ্বাস কাঁপছে।
“না! তুমি আবার চলে যাবে”
তরু মৃন্ময়কে জড়িয়ে ধরল শক্ত করে।ডাক্তার-নার্স ছুটে এল ভেতরে।
“পেশেন্টকে ধরে রাখুন!স্যালাইন লাইন রিপ্লেস করুন!”
তরু কাঁপছে।মৃন্ময়ের শরীর কাঁপছে তার বাহুর মধ্যে, যেন পুরোটা আগুনে জ্বলছে।সে কেবল একটাই শব্দ বারবার বলছে,
“তরু… তরু… পাখি…”
ধীরে ধীরে যেন উন্মাদ হয়ে উঠছে। তরু বুঝতে পারল না কি করবে। হঠাৎ ই সে মৃন্ময়ের ঠোঁটে ঠোঁট শক্ত করে চেপে ধরলো। মনে হলো ওকে শান্ত করার জন্য এটাই জরুরি।সত্যি সত্যি তাই হলো,ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে গেলো মৃন্ময়। উপস্থিত ডাক্তার নার্স হতবাক হয়ে চেয়ে রইলো।কি নির্লজ্জ কান্ড কারবার
মৃন্ময়ের শরীর নিস্তেজ হয়ে এল।ডাক্তার স্টেথোস্কোপে শুনে বলল,
“চিন্তা নেই।সাময়িক শক। জ্ঞান ফেরার পর মানসিক বিভ্রান্তি হয়েছে। এখন ইনজেকশন দিচ্ছি, ঘুমিয়ে যাবে।”
তরুর বুক ভারী হয়ে এলো।সে মৃন্ময়ের মুখের দিকে তাকাল।
চোখ আবার বন্ধ হয়ে গেছে, কিন্তু ঠোঁটে এখনও একটা নাম ঝুলে আছে।তার নাম।রুমটা আবার শান্ত।তরু ধীরে বসে পড়ল চেয়ারে।তার হাত কাঁপছে, চোখ শুকনো।
“তুমি শুধু আমাকে ভালোবাসো”সে ফিসফিস করে বলল।
“এই পাগলামিটাই প্রমাণ।”
দুদিন কেটে গেছে হসপিটাল এ।সকালটা আজ কেমন শান্ত। তবু সেই শান্তির নিচে এক অদ্ভুত আলোড়ন লুকিয়ে আছে।মৃন্ময় এখন তুলনামূলক ভালো।কিন্তু শরীরের ক্ষতগুলোর সঙ্গে যুদ্ধটা এখনো শেষ হয়নি।ডাক্তাররা বলেছে, আজ ছাড়া পেতে পারে। তবে সম্পূর্ণ বিশ্রাম দরকার।
তরু জানালার পাশে বসে ছিল।চুল খোলা, মুখে ক্লান্তি, কিন্তু চোখে একরকম শান্তি আছে।এই দু’দিনে সে যেন নিজের ভেতরে হারানো একটা টুকরো খুঁজে পেয়েছে -যেটার নাম মৃন্ময়।
কিন্তু মৃন্ময়?তার ভেতর যেন একটা ঝড় বয়ে যাচ্ছে।ডাক্তাররা বলেছিল মানসিক বিভ্রান্তি।কিন্তু তরু বুঝেছে,সেটা ভালোবাসার আতঙ্ক।যে মানুষটা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে, সে এখন কেবল একটা ভয়কে আঁকড়ে আছে ,তরু হারিয়ে যাবে আবার।
মৃন্ময় ঘুমে।ওর দিকে চোখ যেতেই তরুর মনে পড়লো গত রাতের কথা।
—— মৃন্ময়ের পাশে বসে ছিল সে।মৃন্ময় তখন চোখ বুজে।হঠাৎ ই তরুকে কোনো কিছু বোঝার সুযোগ না দিয়ে এক টানে নিজের বুকের উপর নিলো। তরু আশ্চর্য হয়ে গেলো।
“ঘুমাও”
“ছাড়ো।ব্যথা বাড়বে।”
“কিছু হবে না,ঘুমাও”
“ছাড়তে বলেছি”
সহজ ভাবে বলল তরু। মৃন্ময়ের শরীরের ক্ষত গুলোর কথা ভেবে।কিন্তু মৃন্ময় কথাগুলো সহজ ভাবে নেয়নি। তরুকে বেডে ফেলে সে উপরে চলে এলো।তরুর হাত শক্ত করে চেপে ধরলো। ঠোঁট কামড়ে ধরে বলল,
“কি বললি?ছেড়ে দিবো? এত সহজ!”
রাগে চোয়াল শক্ত করে গেছে তার।তরু ভয় পেয়ে গেলো। মৃন্ময়ের রাগকে নয়।তাদের বর্তমান অবস্থান ভেবে। সে জানে মৃন্ময় এখন কি করবে।এই লোক কন্ট্রোললেস।তরু তাকালো দরকার দিকে।তারপর তাকালো মৃন্ময় এর মুখ পানে।নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো।কিন্তু হিতে যেন বিপরীত হতে গেলো। মৃন্ময় আরো সাইকো হয়ে উঠল। তরুর পরনে থাকা জামা ডান দিকে টান দিলো।কাধ বেয়ে অনেকটা নিচে চলে এলো।উন্মুক্ত জায়গায় কামড় বসালো মৃন্ময়।
“আ,ছাড়ো।কি করছো!”
কে শোনে কার কথা।মৃন্ময় এবার কিছুটা নিচে চলে এলো। বুকের মাঝ খানে মুখ গুঁজে জোরে নিশ্বাস নিল। হাত ছেড়ে দিলো। তরু দুই হাত এনে রাখলো মৃন্ময়ের চুলের ভাঁজে। আলতো হাতে বুলিয়ে দিতে শুরু করলো।
“ভালবাসো?”
“হ্যাঁ”
নির্দ্বিধায় একটুও সময় নষ্ট না করে তরু জবাব দিলো। মৃন্ময় আরেকটু আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলো তাকে।শব্দ করে বুকের মাঝ খানে চুমু দিল।তরু মিচকি হাসলো। পাগল পুরুষ সামান্য একটুতেই কতটা খুশি। তরুকে জাপটে ধরে ঘুমিয়ে গেলো মৃন্ময় ঔষধের প্রভাবে।
নার্সের ডাকে রাতের ভাবনা থেকে বেরিয়ে এলো তরু।
সে চমকে উঠল। চারপাশে সকাল ঢুকে পড়েছে নিঃশব্দে।জানালা দিয়ে সূর্যের আলো এসে পড়েছে মৃন্ময়ের মুখে। সাদা ব্যান্ডেজের উপর আলোর সেই ছায়াটা যেন জীবনের ফেরার প্রতীক।
“মিসেস আবরার”
নার্স ফাইল হাতে দাঁড়িয়ে। তরু ডাকটা শুনে তাকালো তার দিকে। এটা প্রথম বার নয়। মৃন্ময় বেশ কয়েকবার তাকে এই ভাবে ডেকেছে। অদ্ভূত অনুভূতি হয় তখন।
“ডাক্তার বলেছেন, আজই ছাড়া মিলবে। পেশেন্ট এখন স্থিতিশীল, কিন্তু কিছু পরীক্ষা বাকি আছে। ওষুধের ডোজ আর ফলোআপ রুটিনটা আপনাকে বুঝিয়ে দেব।”
তরু মাথা নাড়ল।
“ঠিক আছে”
মৃন্ময় তখনও আধঘুমে। মুখে ক্লান্তি, তবু ঠোঁটের কোণে একটুখানি শান্তি। তরু তাকিয়ে রইল অনেকক্ষণ। যেন এই শান্তিটুকু ধরে রাখতে চায় সারাজীবন।
মৃন্ময় ধীরে চোখ খুলল।তরুকে দেখে এক মুহূর্ত চুপ করে রইল। তারপর কাঁপা গলায় বলল,
“এদিকে আসো।”
তরু হেসে উঠল খুব আস্তে। গুটি গুটি পায়ে সে এগিয়ে এলো। মৃন্ময় তার কোমর জড়িয়ে ধরলো।
“এবার আর কোথাও না। আজ তোমাকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।”
তরু শব্দ করে হাসলো। মৃন্ময় অসুস্থ নাকি যে!
ডিসচার্জ পেপার সই করার পর নার্স বলল, “রোগীকে হুইলচেয়ারে নিতে হবে। পা এখনও দুর্বল।”
তরু এগিয়ে এল, হুইলচেয়ারের হাতল ধরল।মৃন্ময় একবার তার দিকে তাকালো।সেই পুরনো চোখের দৃষ্টি।যেখানে ভালোবাসা আর অনিশ্চয়তা মিশে আছে। তরু হালকা হেসে বলল,
“চল”
তারা করিডর দিয়ে ধীরে ধীরে বেরিয়ে এলো।বাইরে সকালে শহরটা আবার শ্বাস নিচ্ছে। রোদ আর বাতাসে হাসপাতালের গন্ধ মিশে গেছে।তরু এক মুহূর্তের জন্য থেমে গেল । দরজার ওপারে ভেজা রাস্তা, দূরে ট্রাফিক, আর হালকা কুয়াশা।
মৃন্ময় তাকিয়ে বলল,
“পাখি জানো ,যখন অচেতন ছিলাম, তখনও একটা জিনিস বারবার শুনতাম – তোমার কণ্ঠ। মনে হচ্ছিল তুমি বলছো, ‘ফিরে এসো’। তাই ফিরেছি।””
তরুর বুক ভার হয়ে এলো। সে কিছু বলল না, শুধু চুপ করে হুইলচেয়ারটা ঠেলতে লাগল।দুজন হাসপাতালের গেট পেরিয়ে বাইরে এলো।বৃষ্টির পরে শহরটা কেমন ধোয়া ধোয়া, কিন্তু শান্ত।
তরু বলল,
“এবার বাড়ি যাই, মৃন্ময়।”
মৃন্ময় তাকিয়ে রইল তার মুখের দিকে।হাসল আস্তে।
“তোমার সঙ্গে থাকলে, যেখানেই যাই -সেখানেই বাড়ি।”
(নেক্সট পার্টে কি হতে চলেছে!!)
Share On:
TAGS: ডার্ক ডিজায়ার, দূর্বা এহসান
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ১৫
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ১৭
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ৯
-
ডার্ক সাইড অফ লাভ পর্ব – ২
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ৩(প্রথমাংশ + শেষাংশ)
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ২
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ১
-
ডার্ক সাইড অফ লাভ পর্ব ১
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ৭
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ৫