সুখময়যন্ত্রনাতুমি
neela_rahman
পর্ব ১৩৯
সাদাফ হসপিটাল থেকে বের হয়ে নিচে গাড়িতে এসে সিটে বসলো ।দুই তিন মিনিটের জন্য মাথাটা এলিয়ে দিল সিটে ।চোখ বন্ধ করে রইল ।তারপর ধীরে ধীরে পকেট থেকে ফোন বের করে ফোন করলো ফজলুর রহমানকে।
ফজলুর রহমান ফোন ধরতেই সাথে সাথে সাদাফ এপাশ থেকে বললো ডক্টরের সাথে কথা বলেছি ।উনি দুয়েকের মধ্যেই ভাল একজন ডঃ রেফার করবে ।এই দুদিনের মধ্যে নূর কে বোঝাতে হবে ।নুরকে জানাতে হবে ।কারণ এটা যে ধরনের ট্রিটমেন্ট পেসেন্টকে না জানিয়ে করা যাবে না ।তাই মানসিকভাবে প্রস্তুত হও নূরকে জানানোর জন্য।”
ফজলুর রহমান দীর্ঘ একটি শ্বাস ফেললেন ।বললেন ,”মানসিকভাবে প্রস্তুত হই প্রত্যেকবারই প্রস্তুত হই ।কিন্তু কিছুক্ষণ পরই সে প্রস্তুতি আবার ধুলোয় মিশে যায় ।যখন আমি ভাবি আমার মেয়েটা তো শুনলে সাথে সাথে এটা নিতে পারবেনা ঠিক কতখানি কষ্ট হবে আমার মেয়েটার ভাবতেই আমার আর সেই প্রস্তুতি কাজ করে না সাদাফ।”
সাদাফ বললো,” ভে*ঙে পড়ো না আব্বু আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে হয়তো ।এর মধ্যে নূরের কোন ভাল কিছু আছে শুধু নুরকে একটু দেখে রেখো ।আমি এখন এক জায়গায় যাব এসে নুরের সাথে দেখা করব।”
বলেই ফোন রাখলো সাদাফ।তারপর আবার সাথে সাথে নাম্বার ডায়াল করলো হুমায়ুন রহমানের ।হুমায়ুন রহমান সাদাফের ফোন দেখে সাথে সাথে ফোন রিসিভ করে এদিক ওদিক তাকে একটু বেলকনিতে গেল।
সাদাফ কিছু বলার আগে হুমায়ূন রহমান বলে উঠলেন ,”কথা হয়েছে ডাক্তারের সাথে কি বলেছে আমার মেয়ে ঠিক হবে।”Nurun Nahar Nila
সাদাফ কোন উত্তর দিল না ।চুপচাপ রইল। কিছুক্ষণ পর সাদাফের ঘন গাঢ় নিঃশ্বাস হুমায়ন রহমান টের পেলেন।বুঝতে পারলেন সাদাফ হয়তো কান্না করছে ।ভেঙে পড়েছে ছেলেটা ।উপরে উপরে যতই শক্ত থাকুক বাবার কাছে আসলে সেই ছোট্ট বিড়াল ছানার মত হয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর সাদাফ ভেজা কন্ঠে কাপা কাঁপা স্বরে বললো,” আমার নূরের সাথে কেন এমন হলো বাবা ?এই সমস্যাটা তো আমাকেও দিতে পারতো।
অপূর্ণতার কষ্ট না হয় আমি সহ্য করতাম ।কিন্তু আমার ছোট্ট নূর তো সহ্য করতে পারবে না বাবা ! কেন আল্লাহ এরকম করলো ?কেন আল্লাহ নূরের সাথে এরকম করল ?কেন আল্লাহ আমাকে কোন অসুখ দিল না বাবা?
আমি সত্যি বলছি আমার সন্তানের কোন চাহিদা নেই ।আমার শুধু নূরকে চাই ।তোমরা বোকা নুরকে বুঝাতে পারবে না আমার শুধু নূরকে লাগবে?”
হুমায়ূন রহমান নিরব রইলেন ।বলতে দিলেন ছেলের মনের কথাগুলো ।আজ আর কোন কিছুতে আটকাতে ইচ্ছে হলো না ।বলুক কাঁদুক ছেলে যা ইচ্ছা হয় বলুক ।শুনবে হুমায়ুন রহমান।
সাদাফ ধীরে ধীরে একটু নরমাল হলে বলতে শুরু করলো ,”ডক্টর দেখিয়েছি বাবা দুদিনের মধ্যে একজন ভালো ডাক্তার কে রেফার করবে ।দুদিনের মধ্যেই নূরকে জানাতে হবে বোঝাতে হবে ।আর আমেরিকা একজন ডক্টরকেও ইমেইল করে নূরের ফাইল পাঠানো হয়েছে ।উনি দুদিন স্টাডি করে নূরের ব্যাপারে সম্পূর্ণ তথ্য দিবে।
বাবা তুমি কি একটু দেখবে নূরের কি হয়েছে ?শরীর ভালো নাকি খারাপ ?আমি যখন কিছুক্ষণ আগে ফোন দিয়েছিলাম বললাম একটু বাইরে নিয়ে যাব ঘুরতে ও বললো ওর নাকি ভালো লাগছে না ।একটু ঘুমাবে তুমি একটু যেয়ে দেখো না নুরের কি হয়েছে?”
হুমায়ুন রহমান বললেন ,”তুই চিন্তা করিস না ।আমি আমার মাকে যেয়ে দেখছি তুই নিজে শক্ত হো। তুই যদি ভেঙে পড়িস তাহলে নূর আমরা সামলাবো কি করে ?ওই পাগলিটা যে একদমই পা*গলি কোন কিছুই বুঝতে চাইবে না । তোকেই তো ওকে বোঝাতে হবে।”
সাদাফ একটু ধাতস্থ হল ।হাতের আঙ্গুল দিয়ে চোখের পানি গুলো মুছতে মুছতে বললো,” ঠিক আছে বাবা কোন সমস্যা নেই ।আমি এখন ফোন রাখছি ।তুমি যেয়ে একটু নুরকে দেখো কেমন ?দেখে আমাকে জানিও ।”
বলে সাথে সাথে ফোন কে*টে দিল সাদাফ ।আর কথা বলতে পারছে না ।গলা ভারী হয়ে আসছে ।নিঃশ্বাস যেন দ্রুত উঠানামা করছে।
মা হওয়া বা বাবা হওয়া এটা সবারই স্বপ্ন থাকে সাদাফেরও আছে নূরের ও আছে ।কিন্তু নূরের থেকে বেশি সাদাফ এর কাছে কোন কিছুই নয় ।সাদাফ শুধু নুরকে চায় ।এরকম শত শত সন্তানের মুখ দেখার সাধ কুরবান করে দিতে পারবে সাদাফ শুধুমাত্র একটি নূরকে পাওয়ার জন্য।
সাদাফ সোহানের অফিসে এসে বসেছে ।ভালো লাগছিল না কোন কিছুই ।একাকীত্ব চেয়েছিল কিন্তু একা ও বড্ড খারাপ লাগছে তাই সোহানের অফিসে এসে বসল ।যদিও সাদাফ সোহানকে নূরের ব্যাপারে কিছু বলেনি কিন্তু সাদাফের মুখ দেখে সোহান জিজ্ঞেস করল ,”মুখ টা এমন শুকনা লাগছে কেন ?কি হয়েছে ?কোন কিছু নিয়ে টেনশন করছিস?”
সাদাফ বললো,” না এমনি ভালো লাগছে না শরীরটা ।তাই এখানে এলাম ।”
এই মুহূর্তে নুর যেখানে জানে না নূরের ব্যাপারে কারো সাথে কোন কিছু বলতে আগ্রহ বোধ করছে না সাদাফ। কারণ নূরের ব্যাপারে জানার অধিকার সবার আগে নূরের অন্য কারো নয়।
বিকাল বাজে পাঁচটা ।সাদাফ এসেছে নুরকে দেখার জন্য ।বাড়িতে ঢুকতেই দেখা হল নওরিন আফরোজ ও সামিহা বেগমের সাথে ।সাদাফ নওরিন আফরোজ কে বলল ,”আম্মু নূর কোথায়?”
নরিন আফরোজ বললো,” নূর তো উপরে ঘুমাচ্ছে ।দুপুরে তো খেতে এখনো ওঠেনি আর তোর ছোট আব্বু বলল ঘুম থেকে উঠানো দরকার নাই ।ঘুমিয়েছে তাহলে উঠে একবারে খাবে।”
সাদাফ চিন্তিত হল ।সেই সকাল বেলা বলেছে ভালো লাগছে না ঘুমাবে এখনো ঘুমাচ্ছে ।দৌড়ে উঠে গেল উপরে নুরের রুমে দরজা সামনে ।এসে হাঁপাতে হাঁপাতে নূরে রুমে দরজা নক করতে লাগলো সাদাফ।
নুর ভিতর থেকে শুনছে সাদাফ বারবার দরজা নক করছে ।নুর কোন কথা বলছে না ।চোখ দিয়ে শুধু গড়গড়িয়ে পানি পড়ছে নূরের।
সাদাফ বাইরে থেকে বলছে ,”দরজা খোল নুর কি হয়েছে তোর ?তুই ভিতরে ঘুমাসনি আমি জানি জেগে আছিস ।প্লিজ দরজা খোল।”
নুর বললো,” আমি শুয়ে আছি ভালো লাগছে না ।প্লিজ আমাকে একটু একা থাকতে দিন ।আমি এখন একটু ঘুমাবো আমার ভালো লাগছে না।”
সাদাফ বললো,” প্লিজ দরজা খোল নুর। তোর কেন ভালো লাগছে না তুই আমাকে বল ।এভাবে দরজা বন্ধ করে বসে থাকিস না ।আমার খারাপ লাগছে নুর প্লিজ দরজা খোল।”
চলবে_
Neela Rahman
সুখময়যন্ত্রনাতুমি
neela_rahman
পর্ব_১৪০
নূর দরজা খোল বলছি খুব খারাপ হয়ে যাবে যদি দরজা ভেঙে ঢুকতে হয় ।নুর উঠে দাঁড়ালো ।চোখের পানির মুছলো আর হয়তো আটকে রাখা যাবে না ।জানে সাদাফ কে এখন দরজা খুলে দিতেই হবে ।নুর ধীরে ধীরে উঠে দরজার কাছে এসে বড় করে একটি নিশ্বাস নিল ।যেন কান্না লুকানোর চেষ্টা ।চোখের পানি মুছে সাথে সাথে দরজা খুলে দিল নুর।
দরজা খুলেই নূর নিচের দিকে তাকিয়ে রইল ।সাদাফের চোখের দিকে তাকিয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সাহস নেই নূরের।
সাদাফ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল নূরের দিকে ।নূর দরজা খোলার সাথে সাথেই সাদাফ খেয়াল করল নূরে চেহারা ।সাদাফ সাথে সাথে ভিতরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দিয়ে নূরের এক হাত ধরে টেনে এনে বিছানায় বসালো ।তারপর ধীরে ধীরে হাঁটু ভে*ঙ্গে নুরের পায়ের কাছে বসে নূরের পায়ে ধরে হাত বুলাতে বোলাতে ।বললো,” কি হয়েছে নূর আমার সোনা পাখি বল কি হয়েছে?”
নূর পা ছাড়াইতে চাইলো। কিন্তু সাদাফ পা ছাড়লো না ।পা ধরে রাখলো। বললো,” কি হয়েছে আমাকে বল ?আমাকে বলবি না?”
নূরের কান্না পাচ্ছে ।ভীষণ কান্না পাচ্ছে ।নুর মাথা তুলে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।সাদাফের দিকে তাকানোর সাহস হচ্ছে না নূরের ।যেন সাদাফের দিকে তাকালেই এখনই কান্না করে দিবে নূর।
সাদাফ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল নূরের দিকে ।সাদাফের মন বলছে নূর হয়তো কোন ভাবে বুঝতে পেরেছে বা ওর রিপোর্ট দেখতে পেয়েছে ।তাই সাদাফ বললো,” কি হয়েছে আমাকে বল?চুপ করে আছিস কেনো?
কিছু শুনেছিস ?কিছু দেখেছিস ?কি নিয়ে এত মন খারাপ ?এত অভিমান কেন আর এই চোখে এত ছলছল পানি কেন শুনি?”
নুর আর নিজেকে ধরে রাখতে পারল না ।সাথে সাথে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললো,” আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিন সাদাফ ভাই।আমি আপনার উপযুক্ত না।”
আমি অসুস্থ আমার অসুস্থতার জন্য আপনি কেন কষ্ট করবেন ?আমি মা হতে পারব না কিন্তু আপনি তো বাবা হতে পারবেন ।সারা জীবন আপনি আমার জন্য কেন সন্তানহারা হয়ে থাকবেন?
আমি এটা মেনে নিতে পারব না ।আপনি আমার জন্য সারা জীবন ও সন্তানের মুখ দেখতে পারবেন না ।সন্তানের মুখে বাবা ডাক এর মত মধুর ডাক শুনতে পারবেন না ।আমি আপনাকে বঞ্চিত করতে পারবো না ।আমাকে ছেড়ে দেন প্লিজ।”বলেই দু হাতে মুখ চেপে কান্না করতে লাগলো নুর।
সাদাফের বুকের ভিতরে যেন কেউ লোহার শুল গেড়ে দিল ঠিক এতটাই ব্যথা পাচ্ছে ।এতটাই আ*ঘাত পেয়েছে সাদাফ ।নুর কি করে ভাবল সাদাফ নুরকে ছাড়া খুশি থাকতে পারবে ?এই বুঝল নূর সাদাফের ভালোবাসা?”
সাদাফ নুরের হাত ধরল। হাত ধরে পাগলের মত চুমু খেতে খেতে বললো,” আমার ভালোবাসা ঠিক এতখানি মূল্য তোর কাছে নূর ?আমার ভালোবাসার কোন মূল্য নেই তোর কাছে ।তাই না ?আমার ইমোশন আমার আবেগ আমার চাওয়া পাওয়ার কোন মূল্য নেই ?তুই কি করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলি আমাকে ছেড়ে দিবি বা আমি তোকে ছেড়ে দিব ?তোকে ছাড়া আমি ভালো থাকবো এটাই বা তুই ভাবলি কি করে?
আমার তো তোকে প্রয়োজন ।পুরো একটি পৃথিবীর বিনিময়ে যদি আমাকে কিছু চাইতে বলা হয় তবুও আমার তোকে প্রয়োজন ।পরিবার আত্মীয়-স্বজন সমাজ টাকা পয়সা ধন দৌলত এমনকি আমার শারীরিক সুস্থতার বিনিময়ে যদি কিছু চাইতে বলা হয় তখন ও আমার শুধু তোকে প্রয়োজন ।আমি শুধু তোকেই চাইবো।
সেখানে সন্তান তো একটি উপাদান মাত্র। পৃথিবীর সমস্ত সুখের বিনিময়ে আমি তোকে চাই ।সমস্ত পৃথিবী দিয়ে হলেও আমি তোকে চাই তোকে ছাড়া আমার এই পৃথিবীতে চাওয়ার এবং পাওয়ার কিছুই নেই নূর।
তোর জন্য একটি সন্তানের মুখ দেখার স্বাদ কেন হাজার সন্তানের মুখ দেখার স্বাদ আমি হাসতে হাসতে ত্যাগ করতে পারি ।তোর মুখ থেকে একবার সাদা ডাকটি শোনার জন্য হাজার সন্তানের মুখে বাবা ডাক শোনার মোহ আমি ত্যাগ করতে পারি।
আমার শুধু তোকে চাই পাগলী। ।তোকে ছাড়া আমার চলবে না সন্তান ছাড়া আমার চলবে এই বাড়ি ছাড়া আমার চলবে পরিবার ছাড়া আমার চলবে সবকিছু ছাড়া আমার চলবে কিন্তু তোকে ছাড়া আমার চলবে না ।তুই আমার নিঃশ্বাস আমার রক্তের আমার রুহুতে মিশে আছিস তুই। আমার দেহে প্রত্যেকটি শিরায় উপশিরায় মিশে আছিস তুই ।আমার শরীরে বয়ে চলা প্রতিটি রক্তের কোনায় র*ক্তের বিন্দুতে মিশে আছিস তুই ।তোকে ছাড়া তো আমার চলবে না।
আর একটা সত্যি করে কথা বলতো ?আজ যদি রিপোর্টটা আমার দেখতি যদি রিপোর্টে লেখা থাকতো সাদাফ কখনো বাবা হতে পারবে না তুই কি আমাকে ছেড়ে দিতি?”
নূরের বুকটা কেঁপে উঠল । বললো,” না কখনো না ।আল্লাহ না করুক আপনার কখনো এরকম কোনো সমস্যা হলে আমি আপনাকে কখনোই ছাড়তাম না?”
সাদাফের দুই চোখ দিয়ে পানি ঝরতে লাগলো । বললো,” তাহলে আমার ভালবাসার এই অবমাননা এই অপমান তুই কি করে করলি নূর ?তোর ভালোবাসা ভালোবাসা তুই প্রমাণ করতে পারলি আর আমার ভালোবাসা তোর ভালোবাসা মনে হয়নি?
তুই কি করে ভাবলি আমি তোকে ভালোবাসি না বা আমার ভালোবাসা এতটাই ঠুনকো যে শুধুমাত্র সন্তানের জন্য আমি তোকে ছেড়ে দিব ?আমার তো সেই চাহিদাই হবে না আর। কোন কিছু চাওয়া পাওয়ার স্বার্থ জীবিত মানুষের হয় ।তুই না থাকলে তো আমি মৃত মানুষের সমতুল্য ।তখন তো আমার পৃথিবীর কোন সুখ কোন কিছুই পাওয়ার ইচ্ছা জাগবে না আর।
তারপরও যদি বলিস ডিভোর্স চাই তাহলে থা*প্পর খেয়েছিস নিশ্চয়ই আমার হাতে আগে? এখন থেকে খাবি রোজ রুটিন করে খাবি ।সকাল বিকাল খাবি যতবার তোর মাথায় এরকম ধরনের বদ বুদ্ধি আসবে ততবার খাবি ।তোর হাত পা বেধে হলেও আমি সংসার করবো তোর সাথে।
শুধু আমার ভালোবাসা দেখেছিস নুর আমার রাগ ক্ষোভ আমার পা*গলামি তোর জন্য আমার আসক্তি তুই কিছুই দেখিস নি এখনও।
যখন জানবি আমি তোর জন্য ঠিক কি কি করেছি তুই অবাক হয়ে যাবি।
তোর জন্য আমি যা যা করেছি তা দিয়ে একটা উপন্যাস লিখে ফেলা যাবে।
চলবে———–
Share On:
TAGS: নীলা রহমান, সুখময় যন্ত্রণা তুমি
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৪৯
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৬৮
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২৭+২৮
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৫৮
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ১০৪+১০৫
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৩৩+৩৪
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ১১৪+১১৫
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২৯+৩০
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ১৪৫+১৪৬+১৪৭
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ৪১