মেঘেরওপারেআলো
পর্ব_৩৭
Tahmina_Akhter
মাশফি মাহরীনের পেছনে দাঁড়িয়ে একই দৃশ্য দেখে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে পরেছে। নয়ত তিনটা মানুষের সামনে এমন ঘটনা এতদূর গড়ানোর কথা নয়। সিতারা বেগম কোনোমতে দৌড়ে প্রবেশ করল বাড়ির ভেতরে। রান্নাঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মাশফি এবং মাহরীনকে পাশ কাটিয়ে ভেতরে ঢুকতেই আলোর করুন অবস্থা দেখে দৌঁড়ে গেলেন সিংকের কাছে। সিংকের পাশে থাকা জগভর্তি পানি ঢেলে দিলেন আলোর শাড়ির আঁচলে জ্বলতে থাকা আগুনের ওপর। মুহূর্তের মধ্যে আগুন নিভে গেল। সিতারা বেগম আতংকে ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস ফেলছেন। মাহরীন, মাশফি এবং সবশেষে ইনায়া প্রবেশ করল রান্নাঘরের ভেতরে। সবার চোখে স্বস্তির ভাব নেমে এলো। সিতারা বেগম আলোর পাশে বসল। আলোর মাথায় হাত রেখে আলোকে অস্থির হয়ে ডাক দিলেন। কিন্তু আলো সাড়া দেয় না। সিতারা বেগম এবার ভয়ে কেঁদে ফেললেন। মাশফি এগিয়ে এসে অচেতন আলোকে কোলে তুলে নিলো। ইনায়া বাঁকাচোখে তাকিয়ে রইল সেদিকে। মাশফির পেছনে পেছনে এবার সবাই হাঁটতে শুরু করল। মাহরীনের রুমে ঢুকে আলোকে বিছনায় শুয়ে দিলো মাশফি। পেছনে ফিরে ইনায়াকে উদ্দেশ্য করে বলল,
— মমতাজকে সঙ্গে নিয়ে আলোর ভেজা ড্রেস বদলে দাও। আমি ডাক্তারকে আসতে বলছি।
মাশফি রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিতারা বেগম এবং মাহরীন রুম থেকে বের হয়ে গেল। ইনায়া ফোস করে দীর্ঘশ্বাস ফেলল। মমতাজ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ফেলল।
সকাল দশটা নাগাদ বাড়িতে ফিরে এলো মেঘালয়। বাড়িতে ঢোকার পর পরিস্থিতি কেমন যেন অন্যরকম লাগছে আজ তার কাছে! মাহরীন এবং ইনায়া ড্রইংরুমে বসে ছিল। পাশেই দাঁড়িয়ে আছে মমতাজ। অন্য সোফায় বসে আছে সিতারা এবং আলো। আলোর মুখটা দেখে মেঘালয়ের বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠল। ইচ্ছে করল সবার মধ্যে থেকে আলোকে টেনে তুলে দুগালে হাত রেখে আদুরে সুরে জিজ্ঞেস করতে, “কি হয়েছে মিসেস মেঘালয়?”
মনের ইচ্ছাকে দমন করল মেঘালয়। বউটাকে কোনো একফাঁকে ঘরে নিয়ে ইচ্ছাপূরণ করা যাবে ভেবে। মাহরীনের থমথমে অবস্থা দেখে মেঘালয় সাদা এপ্রোন সোফায় রেখে মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করল,
— কি হয়েছে, মা?
মাহরীন ঘাড় উঁচু করে তাকালো মেঘালয়ের দিকে। তারপর,আলোর দিকে একপলক তাকিয়ে মেঘালয়ের দিকে ফিরে তাকে উদ্দেশ্য করে বলল,
—- আমি তো জানতাম তুই কখনোই আমার সঙ্গে মিথ্যা বলিস না!
মায়ের মুখ থেকে এহেন কথা শুনে মেঘালয় ভীষণ অবাক হলো।
— তোমাকে আমি কখন মিথ্যা বললাম, মা?
— আলোর শারীরিক কমতির ব্যাপারটা বিয়ের আগে থেকেই তুই জানতি?
মাহরীনের কথা শেষ হবার পর আলো চোখ বন্ধ করে দাঁত দিয়ে ঠোঁটের এক কোনা চেপে ধরল। এত লজ্জা! এত অবজ্ঞা! আল্লাহ তাকে এইদিন দেখানোর আগে কেন মৃত্যু দিলো না! সেদিন তার সন্তানের সঙ্গে কেন তার মরণ হলো না!
মেঘালয় বিস্ময় নিয়ে তাকালো আলোর মুখের দিকে। আলোর নীচের দিকে ঝুঁকে থাকা মাথা দেখে মেঘালয় যা বুঝে ফেলার বুঝতে পারল। যে কোনো একটা মাধ্যমে আলোর ব্যাপারটা জেনে গেছে তার মা। মেঘালয় দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাহরীনের দিকে তাকিয়ে বলল,
— মা, আলো এখন আমার স্ত্রী। ওর কমতি, গুন সবই এখন আমার নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। শুধু শুধু এইসব ব্যাপারে ঘাঁটাঘা্টি করার কি প্রয়োজন?
— তুই শুধু “হ্যা” অথবা “না” তে উত্তর দে। তুই জানতি কি না?
মাহরীনের কঠোরতার কথা শুনে মেঘালয় অবাক। আলোর দিকে তাকিয়ে জবাব দেয়, ,
— হ্যা, জানতাম।
— যদি জেনে থাকিস তাহলে রাজি হলি কেন?
— কারণ, তুমিই চেয়েছিলে আলো তোমার মেঘালয়ের স্ত্রী হোক। তোমার শেষ ইচ্ছাপূরণ হিসেবে তুমি আলোকে তোমার পূত্রবধূর রুপে দেখতে চেয়েছিলে।
মাহরীন তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এই মেঘালয়কে চেনে না। চিরচেনা রুপে অচেনা মেঘালয়কে তিনি চেনেন না। মেঘালয় মায়ের বাধ্যগত সন্তান। মায়ের নেওটা। যে কিনা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর বিষয় মায়ের কাছ থেকে লুকায়নি, সে ছেলে কিনা এতবড় একটা বিষয় লুকিয়ে রেখেছিল!
মাহরীন দিশেহারা বোধ করে। আলোকে তিনি কালো বলে কখনো দূরছাই করেনি। মেয়ের মত আগলে রেখেছিল। কিন্তু, আলো এবং তার পরিবার কি করেছে তাদের সঙ্গে! বেঈমানী করেছে! তাদের টাকা-পয়সা,বাড়ি-গাড়ি দেখে শেষ পর্যন্ত কি না তারাও এমন একটা ব্যাপার লুকিয়ে রেখে মেয়েকে পার করে দিয়েছে! ভুল তো তার নিজেরও ছিল। কেন সে খোঁজখবর না নিয়ে এত বড় একটা ডিসিশান ফাইনাল করেছিল! আজ একটা দূর্ঘটনার জের ধরেই এতবড় একটা ব্যাপার সম্পর্কে জানতে পারলেন।
— হ্যা, হ্যা আমি চেয়েছিলাম। কিন্তু, এত বড় শারীরিক খুঁত যার আছে তাকে তোর জন্য চাইনি আমি, মেঘালয়। আমি তোকে একবারও বলিনি তুই আমার জন্য এত বড় সেক্রিফাইস কর। আমি জানতাম আলো কালো, গুনী, ভালো মনের মিষ্টি একটা মেয়ে। কিন্তু….
মাহরীন বাকি কথা বলতে পারছে না। আলো যেন ঠিক সেদিনগুলোতে ফিরে গেল। যেদিন গুলোতে পাত্রপক্ষের লোকেরা ঠিক এভাবে তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতো।
মেঘালয় মাহরীনের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। মাহরীনের হাত দু’টো ধরে বলল,
— আলো কালো, গুনী, ভালো মনের মিষ্টি একটা মেয়ে। তুমি ঠিক যেমনটা চাইতে ঠিক তেমনি একটা মেয়ে।
— ইউ আর রং মেঘালয়! আলো কালো, গুনী হলেও, ভালো মনের মিষ্টি একটা মেয়ে কখনোই হতে পারে না।
ইনায়ার কথা শুনে মেঘালয় ঘাড় ফিরিয়ে তাকালো ইনায়ার দিকে। ইনায়ার কথা শুনে ভীষণ অবাক হলো সে। মাহরীন নিজের হাতদুটো ছাড়িয়ে মেঘালয়কে উদ্দেশ্য করে বলল,
— যেদিন তানিয়া সিঁড়ি থেকে পরে গিয়েছিল, সেদিন তোর বউ কোথায় ছিল?
মাহরীনের মুখ থেকে এমন প্রশ্ন শুনে মেঘালয় অবাক হয়ে তাকালো আলোর পানে। আলো মাথা নীচু করে রেখেছে। সিতারা বেগম মাহরীনের কথার আগামাথা খুঁজে পাচ্ছে না।
— আলো তানিয়া ভাবির সঙ্গেই ছিল। আমি দেখেছি।
মেঘালয় জবাব দেয়। মাহরীন ইনায়ার দিকে তাকিয়ে মেঘালয়কে ফের উদ্দেশ্য করে বলল,
— লাস্ট আলোর সঙ্গে কি নিয়ে কথা হয়েছিল তানিয়ার? জিজ্ঞেস কর তোর বউকে।
মেঘালয় মাহরীনের কথা শুনে বিরক্তবোধ করল ইনায়ার ওপর । মেঘালয় আলোর দিকে ফিরে তাকালো। তারপর, অস্থির হয়ে আলোকে প্রশ্ন করল,
— আলো? কি হচ্ছে আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না! তুমি চুপ করে আছো কেন?
— তানিয়া আপুর সঙ্গে তোমার বউয়ের কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তাও আবার মাশফি ভাইয়াকে নিয়ে। আলো এবং মাশফি ভাইয়ার এক্সট্রা ম্যারিটিয়াল…
— হোয়াট!!
ইনায়ার প্রশ্ন শুনে মেঘালয় চেঁচিয়ে উঠলো। ইনায়া চোখ পাকিয়ে তাকালো। মেঘালয় ইনায়ার দিকে আঙুল তাক করে বলল,
— বানোয়াট কথা বলবে না ইনায়া। আই কান্ট টলারেট দিস থিংস। তুমি এরকম কিছু ভাবলে কি করে? আর ইউ আউট অফ ইউর মাইন্ড।
মেঘালয়ের কথাগুলো শুনে ইনায়া উঠে দাঁড়ালো। তারপর, আলোর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। আলোর মুখের দিকে তাকিয়ে বলল,
— তোমার স্বামী তো আমার কথা বিশ্বাস করতে চাইছে না! জাদু টোনা করেছো নিশ্চয়ই?
ইনায়ার কথা শুনে আলো মাথা উঁচু করে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল। মেঘালয় কিছু বলতে যাবে তার আগেই ইনায়া হাত উঁচু করে মেঘালয়কে চুপ থাকতে ইশারা করল।
—সেদিন দুপুরে তোমার বউয়ের সঙ্গে মাশফি ভাইকে একসঙ্গে দেখে ফেলে তানিয়া আপু। মাশফি ভাই এবং আলোর কিছু কথা শুনে আপু সন্দেহ করে। সেই সন্দেহের সৃষ্টি থেকে আপুর সঙ্গে ভাইয়ার ঝগড়া হয় দোতলায়। ভাইয়া বারবার আপুকে বোঝাতে চাইছিল এমন কিছুই হয়নি। আপু যা শুনেছে সবটাই ভুল। কিন্তু, আপুর কথা হলো সে যা শুনেছে তাতে একরত্তি ভুল নেই। মাশফি ভাইয়া রেগেমেগে চলে যায় সেখান থেকে। সেদিন দোতলায় আলো উপস্থিত ছিল। আপু আলোকে দেখে যে কিছু বলবে সেই সুযোগটা পাননি। তার আগেই আপু মাথা ঘুরে পরে যায় । আপু যখন সিঁড়ি থেকে পরে যাচ্ছিল ঠিক তখন আমি সেখানে উপস্থিত হই। আপু পরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আলো দোতলার সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসে। কিন্তু, ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছিল। তারপর, তো আপু চলে গেল মাশফি ভাইয়ার ওপর তীব্র অভিমান, ঘৃণা নিয়ে। হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পথে আপু আমাকে সব বলেছে। আমি সেদিন আমার আপুর চোখে দেখেছিলাম অসহায়ত্বের ছাপ। আমার আপু কতটা কষ্ট পেয়েছিল সেদিন, তুমি জানো না মেঘালয়? তোমার স্ত্রী সেদিন চাইলেই আমার আপুকে বাঁচাতে পারত। সে কেন আমার আপুকে সিঁড়ির কাছে পরতে দেখেও এগিয়ে আসেনি?। কারন, সে বাঁচাতে চায়নি আমার আপুকে।
— এই মেয়ে তুমি পাগল নাকি? কি সব বলছো? আমার আলো এমন না! তাছাড়া মাশফির মত মানুষকে আলোর সঙ্গে জড়িয়ে এমন অপবাদ দেয়া কি তোমার উচিত হয়েছে? হয়তো তোমার বোনের চোখের দেখায় ভুল ছিল। আমার আলো এমন না।
সিতারা বেগম চেঁচিয়ে উঠলো ইনায়ার ওপর। মাহরীন স্তব্ধ হয়ে বসে আছে। মেঘালয় যেন চোখের পলক ফেলতে ভুলে গেছে! ইনায়া আলোর থুতনি উঁচু করে ধরল। আলো ইনায়ার চোখের দিকে তাকানোর ফলে চোখের জল গাল গড়িয়ে পরল।
— যদি আপনার আলো এমন না হয়েই থাকে। তাহলে ও এমন হুট করে অসুস্থ হয়ে পরেছিল কেন? তানিয়া আপুর সঙ্গে আলোর সম্পর্ক তো এমন ভালো ছিল না যে, তানিয়া আপুর মৃত্যুর সংবাদ শুনে সে মূর্ছা যাবে। প্রেশার বেড়ে যাবে, প্যানিক এ্যাটাক আসবে। সেদিন আমার আপুর পরিণতির পেছনে আলোর হাত ছিল। এবং ঠিক সেই কারণেই আলো ভয় পেয়েছিল। আতংকিত হয়ে পরেছিল। যার দরুন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হসপিটালে ভর্তি হয়। আলো আমার আপুকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। আর আলোর কাছ থেকে ওর অনাগত সন্তান কেড়ে নিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা।
এতটুকু অব্দি বলেই ইনায়া মেঘালয়ের দিকে ফিরল।
—মেঘালয় মনে আছে সেদিন হসপিটালে তোমাকে কি বলেছিলাম? পাপ তোমার করা অর্জিত সম্পদ নয়, মেঘালয়। মিসেস মেঘালয়ের অর্জিত সম্পদ হচ্ছে পাপ। তোমরা দুজনে পার্টনার। স্বামী-স্ত্রী তোমরা। একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। মুদ্রার এপিঠ নোংরা হলে অপর পিঠ এমনিতেই নোংরা হবে। তোমার স্ত্রীর করা পাপ তোমাকে ধ্বংস করেছে। তোমার নিষ্পাপ শিশু সাজা ভোগ করেছে।
মেঘালয় দুই হাত দিয়ে চুলগুলো শক্ত করে চেপে ধরে সোফায় ধপ করে বসে পরল। মাহরীন শক্ত হয়ে বসে রইল। সিতারা বেগম ঠোঁটের ওপর হাত দিয়ে বসে রইল। আলো এতক্ষণ মাথা নীচু করে বসেছিল। কিন্তু, যখন দেখলে ইনায়ার কথা শেষ হবার পর মেঘালয় একেবারে চুপ হয়ে গেছে ঠিক তখনি আলো আর নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারল না। মাথা উঁচু করে তাকাতেই দেখতে পেলো, মেঘালয়ের অশ্রুসিক্ত চোখ দুটো। ঠিক তখনি আলো টের পেলো আলোকে বিশ্বাস করার মত মানুষ বলতে আজ কেউ রইল না। সে আজ সম্পূর্ণ একা। তার বাবা এক আফসার উদ্দিন ছাড়া কেউই কখনো তাকে আপন করতে পারেনি, বিশ্বাস করেনি। সবাই কেবল আপনজন হবার ভান করে গেছে। আলো হু হু করে কান্না করে ফেলল। তবে সেই কান্নার কোনো শব্দ ছিল না।
—- চুপ করে আছো কেন? প্রশ্ন করো তোমার স্ত্রীকে। সেদিন কি হয়েছিল, তার কাছে জানতে চাও।
ইনায়ার কথাগুলো মেঘালয়ের শরীরের ভেতরে জ্বালাপোড়ার অনূভুতি তৈরি করছিল। মেঘালয় তো জানে আলো কেমন? তার মিথ্যাবতী কেমন তার চেয়ে ভালো কে জানে? কিন্তু, বোকা আলো কেন কাঁদছে? তার মায়ের সামনে এসে বলুক না, “মা আমি আপনার ছেলেকে সবটা জানিয়েছি। আমাদের সম্পর্কের মধ্যে কোনো বেইমানি নেই। আমরা দু’জন কেউ কাউকে গুমরাহ করিনি। আমাদের মাঝে আছে সম্মান, ভালোবাসা, স্নেহ।” আলো কেন নিজের পক্ষে কেন সাফাই দিচ্ছে না?
আলোর তো এটাও করা উচিত যে, ইনায়ার সামনাসামনি দাঁড়িয়ে সব সত্যি বলে দেয়া। সে কেন ফ্যাচফ্যাচ করে কাঁদছে?
অথচ, বিয়ের পরদিন সকালে আলোর বিয়ের শাড়ির কান্ড নিয়ে মেঘালয় আলোকে বলেছিল,
“আজ মা তোমার সাপোর্টে ছিলেন। অন্যদিন নাও থাকতে পারে। আজই প্রথম এবং আজই শেষ। এরপর, যদি কোনোদিন তুমি নিজের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে না পারো, তাহলে আমাকে তোমার পাশে পাবে না। কারণ, দূর্বল ব্যক্তিত্বের মানুষ আমার পছন্দ নয়।”
আজ সেইদিন চলে এসেছে হয়তো। মাহরীন আজ আলোর পক্ষে নেই। আলোর উচিত নিজের পক্ষ নিয়ে সাফাই দেয়া। মেঘালয় আজ খুব করে চাইছে তার মিথ্যাবতী আজ অন্তত নিজের পক্ষে নিয়ে হলেও সত্যটা বলুক।
চলমান….
Share On:
TAGS: তাহমিনা আক্তার, মেঘের ওপারে আলো
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
মেঘের ওপারে আলো পর্ব ২৩
-
মেঘের ওপারে আলো পর্ব (১৫,১৬)
-
মেঘের ওপারে আলো পর্ব (৮+৯+১০)
-
মেঘের ওপারে আলো পর্ব ৩৪
-
মেঘের ওপারে আলো পর্ব ২৭
-
মেঘের ওপারে আলো পর্ব ৩৬
-
মেঘের ওপারে আলো পর্ব ৩২
-
মেঘের ওপারে আলো পর্ব ৬
-
মেঘের ওপারে আলো পর্ব ১১
-
মেঘের ওপারে আলো পর্ব ২৬