দ্যাআনপ্রেডিক্টেবললাভ
পর্ব : ০৭
লেখক_Jahirul_islam_Mahir
☘️
“আদনান হলুদ রঙের শেরোয়ানি পরে রেডি হয়ে নিয়েছে”! “আদনান কে একদম রাজপুত্রের মতো লাগছে! সে একটা সোনালি জরি দিয়ে কাজ করা শেরোয়ানি, আর সাদা পায়জামা পরে নিয়েছে। তার চুলগুলো একটা স্টাইলে সেট করা, আর সে একটা সুন্দর স্মাইল দিচ্ছে। আদনান তাঁর পছন্দের পারফিউম নিজের উপর স্প্রে করে নেয়”। মিররের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে শেষ বারের মতো দেখে নেয়”! সব কিছু পারফেক্ট”।
“আদনানের দিকে পলকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আদ্রিয়ানা”। ইস্ বেডারে হলুদ রঙের শেরোয়ানি তে কি সুন্দর লাগছে”! হলুদ শেরোয়ানি টা বেডার গায়ে ফুটে উঠেছে! মাফিয়া কিং-এর এই লুকস দেখে তো আমি ফিদা”
“আদ্রিয়ানা কে নিজের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকতে দেখে আদনান আদ্রিয়ানার দিকে এগিয়ে যায়। একটা মিস্টি হাসি দিয়ে বলে”।
“বৌ হলুদ রঙের শেরোয়ানি তে আমাকে কেমন লাগছে,?
“আদ্রিয়ানা এখনো আদনানের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে আছে”। “আদনান আদ্রিয়ানা কোমর জড়িয়ে ধরে এক টানে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। আদ্রিয়ানা বাস্তবে ফিরে আসে। আদনানের চোখে চোখ পড়তেই আদ্রিয়ানা লজ্জা পেয়ে যায়। তাই আদনানের বুকে মুখ গুঁজে ফেলে”।
“আদনান আদ্রিয়ানার চুলে নাক ঘষে বলে”,
“বৌ শুনো না ” ?
“শুনছি তো আপনি বলেন না”!
“কালকে রাতের মতো আরেকবার I love you বলবা প্লীজ”।
“আদ্রিয়ানা আদনানের দিকে মুখ তুলে তাকায়। আদনানের গলা জড়িয়ে ধরে একটু উঁচু হয়ে দাঁড়ায়। আদনানের চোখে চোখ রেখে বলে”,
“মিস্টার জহির আদনান চৌধুরী “I love you”. আমি আপনাকে ভালোবাসি। অনেক অনেক অনেক ভালোবাসি আপনাকে “I love you so much”.
“কথাটা বলেই আদনান কে জড়িয়ে ধরে আদ্রিয়ানা। আদনান ও আদ্রিয়ানা কে জড়িয়ে ধরে বলে”।
“I love you too বৌ। আমিও তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি”।
“দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে হারিয়ে যায় ভালোবাসার রাজ্য”। মিনিট দশেকের পর আদনানের ফোন টা বেজে উঠে। ফোনের শব্দে দুইজনেই বাস্তবে ফিরে। আদনান পকেট থেকে ফোন টা বের করে দেখে আজিজ কল করছে”।
“হ্যালো”
“আসসালামুয়ালাইকুম স্যার”
“ওয়ালাইকুমুস সালাম”! হুম আজিজ বলো”?
“স্যার অলরেডি এগারোটা বেজে গেছে আপনি এখনো আসছেন না কেনো” ?
“এগারোটা কখন বেজে গেলো”? আচ্ছা আমি আসছি”।
“এই কথা বলে আদনান ফোন কেটে দেয়” ফোন টা পকেটে রেখে আদ্রিয়ানার দিকে নিজের হাত টা এগিয়ে দিয়ে বলে”,,
“চলো মাই ডিয়ার বৌ হলুদের অনুষ্ঠানে যায়”!
“আদ্রিয়ানা আদনানের হাতে হাত রেখে বলে”,,,,
“চলেন মিস্টার পান্ডা”।
“আদনান আর আদ্রিয়ানার ছাঁদের উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করে। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই তাঁরা ছাঁদে পৌঁছেও যায়। ওদের কে দেখে উপস্থিত থাকা মেহমানরা হাতের তালি দিয়ে উঠে” আদনান আর আদ্রিয়ানা স্টেজে উঠে বসে” হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হয়” জহির আদনান চৌধুরী গ্যাং এ কাজ করা কিছু মেয়ে এক এক করে আদ্রিয়ানা কে হলুদ সুঁইয়ে দেয়”। মেয়ে গুলো আদ্রিয়ানা কে হলুদ সুঁইয়ে দিচ্ছে, আদ্রিয়ানা কে teach করছে তা আদনানের সহ্য হয় না। আদনানের প্রিয়তমা অর্ধাঙ্গিনী কে শুধু সেই teach করবে আর কেউ না”! আদনান হলুদের বাটি থেকে সব হলুদ তুলে নিয়ে আদ্রিয়ানার পুরো ফেইসে লাগিয়ে দেয়। আদনানের এমন কান্ডে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় আদ্রিয়ানা”।
“মিস্টার সাদা কালা পান্ডা আপনি এটা কি করলেন” ?
“বৌ কে হলুদ দিলাম”!
“হলুদ এই ভাবে দেয়” ?
” কিভাবে দেয় আমার জানা ছিলো না, আমার এই ভাবে জানা ছিলো তাই এই ভাবেই দিলাম”।
“মিস্টার সাদা কালা পান্ডা আপনি জানেন না কি ভাবে হলুদ দিতে হয় তাই না”?
“হুম”।
“আমি আপনাকে শিখিয়ে দিচ্ছি কিভাবে হলুদ দিতে হয় ওয়েট”!
“আদ্রিয়ানা আরেকটা হলুদের বাটি কে সব হলুদ তুলে নিয়ে আদনানের পুরো ফেইসে লাগিয়ে দেয়”!
“মিস্টার সাদা কালা পান্ডা এখন কেমন লাগছে” ?
“অনেক অনেক বেশি ভালো লাগছে বৌ”!
“দূর”
“এই কথা বলে আদ্রিয়ানা টিস্যু পেপার নিয়ে ফেইস মুছে নেয়”!
“বৌ আমার ফেইস টাও মুছে দাও”।
“পারবো না নিজের টা নিজে মুছে নেন”।
আদনান টিস্যু পেপার নিয়ে নিজের ফেইস টাও মুছে নেয়”।
“রাত তিনটার দিকে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হয়”! আদনান আর আদ্রিয়ানা কমিউনিটি সেন্টারে থাকা রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে”।
☘️
” জাবির রায়হান চৌধুরী এইমাত্র মিটিং শেষ করে বের হয়েছে। হাতে থাকা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময় দেখে নেয়। আমেরিকায় এখন দুপুর তিনটে বাজে । আর এক মুহূর্তও দেরি না করে অফিস থেকে বের হয়ে যায়। গাড়িতে উঠে রওনা দেয় এয়ার পোর্টের উদ্দেশ্যে”।
“জাবির রায়হান গাড়িতে বসে ফোনটা হাতে নিয়ে একটা নম্বর ডায়াল করে কল দেয়”। রিং পড়ার সাথে সাথেই রিসিভ হয়ে যায়”।
“হ্যালো, সিক্রেটারি। আমি এয়ার পোর্টের দিকে যাচ্ছি। ফ্লাইটের সব ব্যবস্থা করা আছে তো”?
“সিক্রেটারি উত্তর দেয়,
“হ্যাঁ, স্যার। সব ব্যবস্থা করা আছে। আপনার ফ্লাইট বিকেল ৫টায়। “
জাবির রায়হান বলে, “ঠিক আছে। আমি ৪টার মধ্যে এয়ার পোর্টে পৌঁছে যাবো।”
গাড়ি এয়ার পোর্টে পৌঁছে যায়। জাবির রায়হান গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে যায়। সে খুব দ্রুত হাঁটছে, তার চোখে-মুখে একটা উদ্দেশ্য।
এয়ার পোর্টে পৌঁছে সে ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করে। তার মাথায় একটাই চিন্তা – আর তা হচ্ছে আদ্রিয়ানা।
“জাবির রায়হান চৌধুরী এয়ার পোর্টে বসে আছে”! তাঁর পর ঘড়ির কাঁটায় সীমাবদ্ধ। দেখতে দেখতে ফ্লাইটের সময় হয়ে যায়। জাবির চৌধুরী ফ্লাইটে উঠে পড়ে। তাঁর জন্য বরাদ্দ করা সিটে বসে পড়ে। প্লেন ছুটে চলছে তাঁর গন্তব্য স্থান বাংলাদেশের দিকে” জাবির রায়হান চৌধুরী সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে”!
“জাবির রায়হান চৌধুরীর পাশের সিটে বসা একটা মেয়ে আধা ঘন্টা ধরে জাবির কে পর্যবেক্ষণ করছে”! দেখে বুঝা যাচ্ছে জাবির কিছু একটা নিয়ে খুব চিন্তায় আছে”।
“Hlw Mr. Are you okay”?
“জাবির রায়হান চৌধুরী এখনো চোখ বন্ধ করে আছে”! পাশে সিটে থাকা মেয়েটা আবার বলে”
“Hello are you okay”?
“জাবির রায়হান চৌধুরী চোখ খুলে তাকায়” কিছু টা বিরক্ত হয়ে বলে”,,
“Yeah, I’m fine”
“Then why are you sitting with your eyes closed, is everything okay”?
“জাবির একটু করে হেঁসে বলে”
“No, nothing’s wrong”
“By the way I am tuba. you”?
“জাবির আবার ও বিরক্ত হয়ে বলে”,,
“Jabir Rayhan Chowdhury”
Where are you from?
Bangladesh.
Ow same. By the way,,,
বাকিটুকু উচ্চারণ করতে পারে না তুবা আর আগের জাবির বলে উঠে,,
“I’d be happy if you didn’t ask me anything else”.
“Okay fine”
Thnx
“এই কথা বলে আবার ও চোখ বন্ধ করে ফেলে জাবির” তুবা এক পলক জাবিরের দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বলে,,
“এটিটিউট থাকা ভালো তবে বেশি এটিটিউট থাকা ভালো না”.
☘️
“দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা জার্নির পর এই মাত্র বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে জাবির রায়হান চৌধুরী”। এয়ার পোর্ট থেকে বের হয়ে নিজের জন্য বরাদ্দ করা গাড়িতে উঠে বসে জাবির। জাবির গাড়িতে উঠা মাত্র ড্রাইভার গাড়ির ইঞ্জিন স্টাস্ট দেয়। গাড়ি টা মূহুর্তের মধ্যেই দোলো উড়িয়ে হাওয়া হয়ে যায়”।
“গাড়ি চলছে তাঁর আপন বেগে”। জাবির হাতে থাকা ঘড়ির দিকে বারবার তাকাচ্ছে। কারণ তাঁর বন্ধু সামির বলেছে জহির আদনান আর আদ্রিয়ানা বিয়ে হবে রাত দশটায়। এখন বাজে অলমোস্ট নয়টা বিশ”।
☘️
“বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়। আদনান আর আদ্রিয়ানাকে স্টেজে নিয়ে আসা হয়। কাজী সাহেব আসেন, আর বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়। কাজী বিয়ে পড়ানো শুরু করেন”। এক এক করে সব কিছু লিখে নেয় কাজী সাহেব। আদনান আদ্রিয়ানার হাত ধরে বসে আসে”।
কাজী সাহেব সব কিছু ঠিক করে বিয়ের খুতবা পাঠ করেন। খুতবা পাঠ শেষে কাজী সাহেব আদনান কে কাবুল বলতে বলেন?”
“আদনান আদ্রিয়ানার দিকে এক পলক তাকিয়ে মুচকি হেসে যখনি কবুল বলতে যাবে ঠিক তখনি জাবির রায়হান চৌধুরী পুলিশ নিয়ে হাজির হয়”!
“বিয়ে বন্ধ করেন কাজী সাহেব” এই বিয়ে হবে না”।
সময়ের অভাবে রিচেক দেওয়া হয় নিই
চলবে,,,
( ভুল ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ )
Share On:
TAGS: জাহিরুল ইসলাম মাহির, দ্যা আনপ্রেডিক্টেবল লাভ
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
দ্যা আনপ্রেডিক্টেবল লাভ পর্ব ২
-
দ্যা আনপ্রেডিক্টেবল লাভ পর্ব ৪
-
দ্যা আনপ্রেডিক্টেবল লাভ পর্ব ৬
-
দ্যা আনপ্রেডিক্টেবল লাভ পর্ব ১
-
দ্যা আনপ্রেডিক্টেবল লাভ পর্ব ৩
-
দ্যা আনপ্রেডিক্টেবল লাভ গল্পের লিংক
-
দ্যা আনপ্রেডিক্টেবল লাভ পর্ব ৫