৪বছরেরচুক্তির_মা
পর্ব_০৮ -(বাসর স্পেশাল)-
লেখিকাসারাচৌধুরী
🚫১৮+ এলার্ট আজকের পর্বে অনেক কিছু কথা উল্লেখ আছে যা আপনাদের খারাপ লাগবে সেহেতু ইগনোর করিতে পারেন🚫
🚫অনুমতি ব্যাতীত গল্প কপি করা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ..গল্প কপি করলে কপিরাইট করতে বাধ্য হবো🚫
সারা শুভ্রর বুকের সাথে ধাক্কা খেলো লম্বাই সারা শুভ্রর বুক পর্যন্ত..সারা কিছু বুঝে উঠার আগে শুভ্র সারাকে হুট করে কোলে তুলে নিলো..সারা কিছুটা চমকে গেলো..কিছু বলার আগেই শুভ্র তাকে খাটে শুইয়ে দিলো।।
শুভ্র উঠে অরুকে আস্তে করে তুলে বেড সাইট এ রাখা দোলনার মাঝে রেখে দিলো..পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে অরু..শুভ্র নিজের শার্টের বোতাম খুলছে আর এদিকে সারার সমস্ত শরীর কাপছে অজানা এক আতঙ্কে..!
সারার ঠোঁট জোড়া তিরতির করে কাপছে সরে যাবে সেই বুদ্ধি ছিলো না..নিশুতি রাতকে শাক্ষি রেখে মিলিত হলো দুটি মন..সারা এক সময় শুভ্রর দেওয়া ভালোবাসা নামক যন্ত্রনায় জ্ঞান হারালো..!
সূর্য মামা এখোনো উঠে নাই…চারিদিকে ঘোর অন্ধকার শরীরের অসম্ভব ব্যাথার কারনে ঘুম ভেঙে যায় সারার.. শুভ্র ঘুমিয়ে আছে সারার ছোট্ট বুকে উপর..সারা হাতের পাশেই ঘুমাচ্ছে অরু তবে অবাক হলো এটা দেখে যে সারার হাতের উপর ঘুমে বাচ্চাটি..সে বুজলো অরু কোথা থেকে এলোকারন রাতে তো দোলনায় ছিলো..এখন বেশ বুজতে পারছে এটা শুভ্রর কাজ..সারা একটু বিরক্ত হলো তবুও কিছু বললো..সারা অসস্ত্বি হচ্ছে শুভ্রর খোচা খোচা দাড়ি আর ঘন ঘন গরম নিশ্বাস তার বুকে আচড়ে পড়ছে।।
গতকাল রাতের কথা চিন্তা করতেই সারা শুকনো ঢোক গিললো.. এখন যতটা শান্ত. মায়াবী শুভ্র কে দেখছে কাল রাতে ঠিক তার দ্বিগুন বেপরোয়া.. নেশালো শুভ্র কে দেখেছিলো সে…বস্ত্রহীন শুভ্র কে কল্পনা করতে বুক ক্রপে উঠে সারার..কাল রাতের শুভ্রর কিছু আকুলতার সেই কন্ঠস্বর ও ঘন নিশ্বাস এর শব্দ এখোনো কানে বাজছে..সারা কাল এক পাগল শুভ্রকে আবিষ্কার করেছেভ্যার ভিতর মায়া দরদ ছিলো না..!
শুকনো ঢোক গিলে ঘাড় ঘুরিয়ে অরুর দিকে তাকায় সারা..তারা তিনজন এক কম্বলের নিচে..সারার গায়ে শুভ্রর সেই ইয়াশ কালারের শার্ট.. উপরের বোতাম গুলা সব খুলা তার মাঝেই বাপ মেয়ের রাজত্ব..সারা কস্টের মাঝেও একটু হাসে..!
সারা ছোট হাত জোড়া চলে যায় শুভ্রর চুলের ভাজে.. শুভ্র দুহাত দিয়ে আকড়ে ঘুমিয়ে আছে সারার বুকে..সারা ফিসফিস করে বলে…
-খুব খারাপ মানুষ আপনি.. আমারে অনেক কস্ট দিছেন..!
সারার কথা শুভ্রর কানে যায় না কারন শুভ্র গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন..!
সারা উঠতে গেলেও উঠতে পারে না..বিড়বিড় করে বলে বাড়িতে কি বালিস নেই আমার বুকের উপর ঘুমাইছে কি লোক রে বাবা.. তারপর সারার আবার মনে হয় অরুর মায়ের কথা..আচ্ছা শুভ্র কি তার সাথেও এমন করতো এভাবে ঘুমাতো..ঘুম থেকে উঠলেই শুভ্র কে জিজ্ঞাসা করভে অরুর মায়ের কথা..সে কই..কেনো নেই এখানে…?
সকাল সাতটা শুভ্র উঠে গোসল করে সারাকেও গোসল করিয়েছে…সারা গোসল করতে গিয়ে পড়ে আর এক বিপদ এ পানি পড়ার সাথে গা জলে উঠে সারার..পুরোনো ক্ষত নতুন করে উঠছে..শুভ্র সারাকে কোনোমতে গোসল করে এনে বেড এ সুইয়ে দিয়েছে.. তারপর ব্যাথার ওষুধ ও পিল খাইয়ে দিলো সারাকে..সারা কোনো কথা না বলে খেয়ে নিলো…!
শুভ্রর খুব খারাপ লাগছে সারার জন্য তার জন্যই এসব হলো..নিজেকেই নিজে মনে মনে গালি দিলো কয়েকটা তারপর অরুর দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষন..শুভ্র মুচকি হাসি দিলো ভোর রাতে যখন অরু কাদছিলো তখন শুভ্র উঠে অরু কে ফিডার খাওয়াই আর সারার পাশে সারার হাতের উপর সুইয়ে দেই… মাথা শুভ্রর এটা করার কারন যাতে অরু কখোনো সারাকে নকল মা না ভাবে.. অরু যখন রেসপন্স করছিলো তখন অরুকে সারার বুক ঘেষে শুয়ায় দিয়ে সেও সারার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যায়…!
সারা এমন একটা মেয়ে যে গভীর কস্ট পেলেও হাসি মুখে মেনে নিতে পারে..কারন সেই ছোট থেকে মামা বাড়ি না থাকলেই মামি হুট মারতো মাঝে কেটে রক্ত বের হয়ে যেতো তো কখোনো রক্ত জমে কালো হয়ে যেতো।।সেজন্য সারা শুভ্রর দেওয়া কস্টে মুখ বুজে নিজের গভীরে লুকিয়ে নিলো হাসি এনে নিলো মুখে..!
সারার একটা কথা হাসি হলো সব কিছুর সমাধান কাওকে কখোনো নিজের কস্ট টা দেখাতে নেই..মানুষ উফাস করবে..!
শুভ্র সারাকে সকালের নাস্তা করাতে নিচে নিয়ে গেলো যদিও সারা খুড়িয়ে হাটছে.. শুভ্রর চোখ ফাকি দিতে চাইলো তবুও পারলো না..সারা ধীরে ধিরে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলো তার পর সোফায় বসতে যেতেই অরু কেদে উঠলো শুভ্রর কোলে শুভ্র তখন খাওয়া বাদ দিয়ে অরুর ফিডার হাতে নিতেই সারা বলে উঠে..
আপনি খেয়ে নিন ওকে আমার কাছে দিন আমি খাইয়ে দিবো..!
শুভ্র কিছু না বলে অরুকে সারার কোলে দিয়ে গেলো হাতে অরুর ফিডার টা দিতেই শুভ্রর চোখ গেলো সারার ঘাড়ে..কাল শিটে পড়ে গেছে কতটা নির্মম হয়েছিলো সে কালরাতে..!
শুভ্র নিজেই মনে মনে অনুশোচনা করতে থাকে..আর সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই আর ভুল ক্রমেও সারাকে স্পর্শ করবে না..কারন সারা খুব বাচ্চা একটা মেয়ে..তাকে কি ভাবছে সে জানেনা…!
অরুর কান্নায় বাস্তবে ফিরে সারা সামনে বসে অবাক চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে শুভ্র..অরু হকচকিয়ে গেকো কিছুটা..শুভ্র তুড়ি বাজিয়ে সারাকে বললো কি ভাবছিলা.. সারা কোনো জবাব দিতে পারে না..সে কি করে বলবে সে কাল রাতের ভাবনায় বিভর ছিলো…শুভ্র অরুর মুখে ফিডার দিয়ে সারাকে বলে…..
চলবে……….
-(উফফস গাইজ কি বড় পর্ব লিখেছি.. ৫৬+ এলার্ট ভালো না লাগলে ইগনোর করবা..কালকের মতো রেসপন্স পেলে সত্যি আজ আর একটা পর্ব দিবো..আজকের পর্ব কেমন হয়েছে বলে জাবা আশা করি ভালো লাগবে)-
Share On:
TAGS: চার বছরের চুক্তির মা, সারা চৌধুরী
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৫
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৯
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৪
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ২
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১১
-
চার বছরের চুক্তির মা গল্পের লিংক
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৬
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৩
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১২