Golpo romantic golpo চার বছরের চুক্তির মা

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৭


বছরেরচুক্তির_মা

পর্ব_০৭

লেখিকাসারাচৌধুরী

🚫অনুমতি ব্যাতীত গল্প কপি করা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ..গল্প কপি করলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে🚫

শুভ্র সারাকে বললো তুমি বসো আমি আসসি বলে শুভ্র দরজা খুলে বাইরে চলে যায়…সারা গ্রামে একটা বান্ধবী ছিলো.. যাকে বলে গলাই গলাই ভাব..নাম লামিয়া আরো এক বছর আগে বিয়ে হয়েছে তার সেজন্য৷ সারার সাথে অনেক কিছু শেয়ার করেছিলো..সেহেতু সারা অনেক কিছুই ধারনা রেখেছে..সারার অল্প সল্প ভয় করছে এই তো শুভ্র যখন বাইরে ছিলো তখন একজন কাজের মহিলা এসে বলে গেলো আজ স্বামি যা বলে সব শুনতে কথা বেশি না বলতে..!

সারার ভাবনার মাঝে শুভ্র রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিলো ঠক করে তারপর এলো সারার সামনে দাঁড়িয়ে একটা শপিং ব্যাগ সারার হাতে দিয়ে বল্লো এটা বাসর রাতের গিফট দেখোতো পছন্দ হয় কিনা..?

সারা শুধু হা করে তাকিয়ে আছে..শুভ্র আঙুল দিয়ে তুড়ি দিয়ে সারার ধ্যান ফিরিয়ে বললো এই যে ভাবনার রানী আমি ফ্রেশ হয়ে আসি..পছন্দ হলে জিনিস গুলো পরিও বলে শুভ্র টাওয়েল হাতে নিয়ে ওয়াশরুম এ চলে গেলো..সারা কিছুটা লজ্জা পেয়ে গেলো কারন আগে কখোনো কেও তাকে গিফট দেই নি আর এভাবে লজ্জাও দেই নি..সারা ড্রেসিং টেবিল এর সামনে টুল এ বসে শপিং ব্যাগ টা খুললো… ব্যাগ এর ভিতরে তিনটা বক্স..!

সারা এক এক করে সব বক্স খুললো এক্টাই সোনার কানের..আর এক্টাই সোনার এক জোড়া বালা..আর একটা বক্স এ মেকাপ সামগ্রী।।সারা কিছুটা অবাক হলো যে শুভ্র এত জিনিস চিনলো কি করে তারপর ভাবলো তার তো আগেও স্ত্রী ছিলো অরুর আসল আম্মু.. তাই হয়তো চিনে..সারা চোখে হালকা কাজল দিলো সাথে ঠোঁটে হালকা গোলাপি লিপস্টিক..আর কিছু দিলো না..তার মতে মানুষ কি রাতে সাজে..রাতে সেজে কাকে দেখাবে..আগে তো শুধু ইদের দিন সারা সাজতো তাও বিকেল এ একটু তা ছাড়া কখোনো বের হতে দিতো না মামি..!

প্রায় পনেরো মিনিট পর লম্বা শাওয়ার নিয়ে বেরোলো শুভ্র..সারা খেয়াল করলো ভিজে চুল গুলো থেকে এখোনো টুপ টুপ করে পানি পড়ছে গায়ে তার ইয়াশ কালারের একটা শার্ট আর আর একটা ফোর কোয়ার্টার এর ব্লাক ট্রাউজার..গলার দিকে কয়েকটা বোতাম খোলা থাকায় শুভ্রর লোমশ বুকের কিছুটা অংশ দৃশ্যমান..শার্টের হাতা ফোল্ড করে কুনুই পর্যন্ত গুটানো টাওয়েল টা গলায় ঝুলিয়ে চুল মুছচে.. সারা মুগ্ধ হয়ে গেলো শুভ্র কে দেখে….!

শুভ্র টাওয়েল টা বারান্দায় দিয়ে এসে সারার দিকে চাইলো শুভ্রর চোখ জোড়া আটকে গেলো সারার মুখে..ইশ কি মায়া শুভ্রর খুব ইচ্ছা করছে মেয়েটাকে নিজের করে পাবার.. ইচ্ছা করবেই বা না কেন মেয়েটা যে মারাত্মক সুন্দরী.. সুন্দর টানাটানা দুটো চোখ.. হালকা গোলাপি চিকন ঠোঁটজোড়া..দুধে আলতা গায়ের রঙ সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর লাগছে সারাকে।।
গোলাপি ফ্রকটাতে….

শুভ্র কে অবাক করে দিয়ে সারা বলে উঠলো..

সারা:- আপনি আমার দিকে এভাবে কি দেখছেন….?

শুভ্র শুকনো ঢোক গিলে বললো কই কিছু নাতো..!

তাহলে এভাবে তাকিয়ে ছিলেন যে..?সারা ভ্রু কুচকে জিজ্ঞাসা করলো..!

শুভ্র প্রসঙ্গ বদলাতে বলে উঠে তুমি চুরি পরো নাই কেন আসো পরিয়ে দেই..?

সারা বেশ বুঝলো শুভ্র কথা লুকাচ্ছে তাও কিছু বললো না..!

-(বিঃদ্রঃ গ্রামের মেয়েদের শহরের মেয়েদের চেয়ে ম্যাচিউরিটি বেশি হয়.. গ্রামের মেয়েদের বেশির ভাগ বারো-তেরো বছরে বিয়ে হয় আমি নিজে দেখেছি)-

শুভ্র আবার বললো কই দাও পরিয়ে দেই বলে শুভ্র ড্রেসিং টেবিল এর সামনে এসে দাড়ালো..সারার দিকে তাকাতেই সারা বলে উঠে চুরি পরলে বাবুর গায়ে লাগবে আমি দেখেছি যাদের ছোট বাবু থাকে তারা চুরি পরে না.. আর আমিও চাই না বাবুর বেথ্যা লাগুক..সারার কথা শুনে শুভ্র একটু অবাক হলো সাথে খুশিতে তার মন ভরে গেলো..!

কেনোনা এই ছোট্ট মেয়েটা তার অরুর কথা ভাবছে বিয়ে হয়েছে ছয় ঘন্টাও হয় নি তার আগেই..সারা উঠে দাঁড়িয়ে শুভ্র সামনে থেকে যেতে নিবে ঠিক তখনই শুভ্র সারার হাত ধরলো সারা চমকে উঠলো..শুভ্র সারাকে জিজ্ঞাসা করলো..

-আমি তোমার কি হই..?

-সারা কাপা কাপা কন্ঠে উত্তর দিলো..আপনি তো আমার স্বামি..শুভ্র স্পর্শে সারার সমস্ত শরীর কাপছে.!

-শুভ্র আবার জিজ্ঞাসা করলো অরু তোমার কি হয়..?

-সারা এবার একটু বিব্রত বোধ করলো সে কি উত্ত্র দেবে ভেবে পেলোনা ঠিক তখনই শুভ্র সারার কাধে হাত দিলো সারা সারা শরীর বিদ্যুৎ বেগে কেপে উঠলো তারপর শুভ্র বললো…

-নিজের না ভাবলেও মেয়ে ভেবো..ও এখোনো ছোট আমি জানি তুমি অনেক বুঝো..মেয়েটা আমার মা হারা তুমি ওর সেই মা হয়ে থেকো..আমার আর কিচ্ছু চাই না তুমি ওকে কখোনো বুজতে দিও না ওর মা নেই..তুমি যা চাইবে তাই পেয়ে যাবে শুধু এই কথাটা রেখো..!

-সারা মিহি কন্ঠে বললো আমি নিজের মেয়ের মতোই বড় করবো..শুভ্র কথাটা শুনতে পেয়ে মুচকি হাসলো…!

শুভ্র সারাকে বল্লো যাও সব গুছিয়ে সুয়ে পড়ো আমি বারান্দায় যাচ্ছি..সারা কিছু না বলে ড্রেসিং টেবিল এর উপর থাকা বক্স গুলো গুছিয়ে রাখতে যেতেই.. শুভ্র সারার চাল চলন খুব মনযোগ দিয়ে দেখে নিলো..!

না শুভ্র আর পারছে না নিজের প্রতি কন্টোললেস হয়ে যাচ্ছে..নিজের বিবেক যতই বোঝাক মেয়েটা বাচ্চা.. কিন্তু মন তো অবাধ্য শুভ্রর মাথায় নেশা চড়ে গেলো..এ কোনো খারাপ নেশা না এ হলো নিজের বিবাহিত হালাল স্ত্রী কে কাছে পাওয়ার নেশা..!

সারা ড্রেসিং টেবিল এর থেকে পিছনে ফিরতেই….

চলবে………

-(ভালো রেসপন্স পেলে আজকে আরো একটা পর্ব আসবে..আজকের পর্ব কেমন হয়েছে বলে জাও আশা করি ভালো লাগবে)-

Share On:

TAGS: ,



CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
Related Posts
 

0 Responses

Leave a Reply