নিষিদ্ধ_রংমহল 🥀
পর্ব_১০
অন্দরমহলের খাস কামরায় তখন বিরাজ করছে এক অদ্ভুত নীরবতা। নবাব সিকান্দার তার মসনদের নিকট রাখা রত্নখচিত গ্লাস থেকে বিলেতি মদের শেষ চুমুক দিলেন। তার মন আজ বহুদিনের ক্লান্তি ভুলে এক নতুন উদ্দীপনায় পূর্ণ। তাইমুরের মাতা জুলেখা মারা যাবার পর তার মনে এক শূন্যতার উদয় হয়েছিল। সিমরানের উপস্থিতি যেন আজ সেই শূন্যতাকে অনেকটাই ভরাট করেছে।
এমন সময় খাস কামরার দুয়ারে টোকা পড়ল। নবাব সিকান্দার গজনবী বুঝলেন সিমরানের আগমন ঘটেছে। ক্ষণিককাল আগেই দাউদ এসে জানিয়ে গেছে, সিমরান তার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে উত্তেজনায় সিকান্দারের হৃদপিণ্ড ধরফরিয়ে উঠল। এই হৃদপিণ্ডের গর্জন বোধহয় এ ঘরে উপস্থিত যে কেউ শুনতে পাবে।
সিকান্দার হাসিমুখে বললেন,
- ভেতরে আসুন।
সিমরান জমিদার সিকান্দার গজনবীর খাস কামরায় প্রবেশ করলেন। কক্ষের মৃদু আলোয় তার সুসজ্জিত দেহ ঝলমল করছিল। সে শান্ত পদক্ষেপে কক্ষের কেন্দ্রে এসে নতজানু হয়ে জমিদারকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাল। এই গল্পের লেখিকার পেইজ ‘Atia Adiba – আতিয়া আদিবা’ তে প্রতিদিন বিকাল ৫ টায় গল্প পোস্ট করা হয় সবার আগে।
সিকান্দার গজনভী তার মসনদ ছেড়ে সামান্য উঠে দাঁড়ালেন। তার অহংকারী স্বভাবের তুলনায় এ ছিল এক বিরল সম্মান প্রদর্শন। তিনি মুগ্ধ দৃষ্টিতে সিমরানের দিকে তাকালেন। বললেন,
- সিমরান। এই প্রকোষ্ঠ আজ আপনার পদক্ষেপে আলোকিত হলো।
সিকান্দারের কণ্ঠে পরিলক্ষিত হল গভীর প্রশান্তি এবং ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতা।
- আপনার মত প্রতিভাময়ী বাঈজী, আমার আহ্বান এত সহজে মেনে নিয়েছেন। আপনি শুধু আমার তীব্র বাসনা পূর্ণ করেন নি বরং ব্যক্তিগত মর্যাদাকেও বৃদ্ধি করেছেন। আমি আপনার বিনয় এবং সম্মতির জন্য গভীরভাবে অভিভূত।
সিমরান এতক্ষণ মৃদু হাসি গালে ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এবার তার হাসি প্রশ্বস্ত হল। সে আরও বেশি বিনীত ভঙ্গিতে মাথা নত করল। নরম কণ্ঠে বলল,
- হুজুর, আপনি আমাকে যে সম্মান দিচ্ছেন তা সত্যিই অতুলনীয়। আপনার মতো গুণী এবং উদার ব্যক্তিত্বের মানুষের সান্নিধ্যে আসা যেকোনো শিল্পীর জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। আমি মনে করি, যে শাসক শিল্প এবং শিল্পীর কদর করতে জানেন তার নিকট শিল্পের শুদ্ধতা নিরাপদ। কাজেই, এই রাতের আহ্বানকে আমি শুধুমাত্র একটি সুখকর মুহুর্ত হিসেবে নয়, আপনার প্রতি আমার আনুগত্য স্বীকারের সুযোগ হিসেবে দেখছি।
সিকান্দার সিমরানের কথায় আরও বেশি প্রীত হলেন। তিনি বুঝলেন, এই বাঈজী অতি সাধারণ কেউ নয়। সে জানে কিভাবে শব্দকে ব্যবহার করতে হয়।
সিকান্দার ইশারায় সিমরানকে কাছে আসার আমন্ত্রণ জানালেন। সিমরান জড়তাবিহীন এগিয়ে গেল জমিদারের পানে। সে জানে জমিদারের সাথে রাত্রীযাপন তার প্রতিশোধের পথকে অতি সহজ করে তুলবে। এই দিনটির অপেক্ষায় সে ছিল দীর্ঘকাল।
সিমরানকে নিজের কোলের ওপর বসান নবাব সিকান্দার। লাজুক মুখটি জমিদারের বুকে লুকিয়ে ফেলার ভনিতা করে সিমরান। তার থুতনি আলগোছে ধরে সিকান্দার বলেন,
- এত সুন্দর নৃত্য রপ্ত করলেন কিভাবে?
সিমরান সামান্য মুখ উঁচু করল। শব্দচয়নে বুদ্ধিদীপ্ত দৃঢ়তা মিশিয়ে নিমজ্জিত স্বরে বলল,
- হুজুরের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ এবং সত্যসন্ধানী। এটি কেবল নৃত্য নয়, হুজুর। আমার এই শিল্প মায়ের কাছ থেকে পাওয়া এক পবিত্র আমানত। আমি বিশ্বাস করি, আপনার মতো মহৎ পৃষ্ঠপোষকই পারেন এই পবিত্র আমানতের শুদ্ধতাকে রক্ষা করতে।
সিকান্দার মুগ্ধ হলেন। এই নারী অর্থ কিংবা বাহ্যিক সৌন্দর্যের কথা বলছে না। সে কথা বলছে ঐতিহ্য এবং বিশুদ্ধতার। এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা সিকান্দারের সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতাকে স্পর্শ করল।
”শুদ্ধতা…” সিকান্দার স্বগতোক্তি করলেন। বললেন,
- আপনার নৃত্য যেন এক ঝলক বিশুদ্ধ বাতাস। আপনার এই আনুগত্য আমি কোনোদিন ভুলব না, সিমরান।
আলোচনা যখন থামল, তখন বাইরে রাতের শেষ প্রহর চলছে। ঝাড়বাতির মোমগুলোর আলো প্রায় কমে এসেছে। যেন তাদের সময় প্রায় ফুরালো।
সিকান্দার এবং সিমরান এক নিবিড় নৈকট্যে এলেন। সিমরানের কাছে এই রাতটি ছিল তার আত্মত্যাগ এবং উদ্দেশ্য হাসিলের প্রতি অঙ্গীকার। ঘটে যাওয়ায় এক গর্হিত অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের দৃঢ় সংকল্প। আর জমিদার সিকান্দার গজনবীর নিকট এক অমূল্য রত্নকে পরখ করে দেখবার মহা সুযোগ!
শত শত মোমবাতির আলো যেন দেয়ালে আঁকল জমিদার এবং নবাগত বাঈজীর অতি আনন্দঘন মুহুর্তের ছবি। দুটো দেহ ছায়া যেন এক হয়ে গেছে। মেতে উঠেছে শরীরী যুদ্ধে। সিমরানের সুখময় মৃদু আর্তনাদে বহুদিন পর দারুনভাবে জাগ্রত হল নবাব সিকান্দার গজনবীর খাস কামরা।
রাতের শেষ প্রহর বিদায় জানাল। হালকা ভোরের আভা প্রকোষ্ঠের পর্দায় ছড়িয়ে পড়ল। ঝারবাতির মোমগুলো একেবারে নিভু নিভু। সিমরান তখন নবাব সিকান্দার গজনবীর লোমশ বুকে মুখ লুকিয়ে শুয়ে আছে। সিকান্দার তার লাজুকতা দেখে সামান্য হাসলেন। তিনি বড় তৃপ্ত আজ। সিমরানের ঘন কালো রেশমি চুলে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন,
- সিমরান, আমি বহু বাঈজী দেখেছি। কত রাত কাটিয়েছি এই খাস কামরায় তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু আপনার মাঝে আমি যে তেজ এবং পবিত্রতা খুঁজে পেয়েছি তা বড়ই দুর্লভ। আপনি আমার মাহফিলের সবচেয়ে দামী রত্ন। আমি আপনার কাছে ঋণী থাকতে চাই না। বলুন, এই সহযোগিতার প্রতিদান হিসেবে আপনি কী চান?
সিমরান সামান্য কৌতুক করে বলল,
- হুজুরের অতি বিচক্ষণ মন কি বলে তা জানতে ইচ্ছুক এই সামান্য বাঈজী!
সিকান্দার গালে মৃদু হাসি ঝুলিয়ে বললেন, - আপনার মতো তুখোড় শিল্পী এবং বুদ্ধিদীপ্ত নারী, ক্ষণস্থায়ী কিছু চাইবে না অবশ্যই?
সিমরানের হৃদয়ের গোপন কোঠায় তখন তীব্র উল্লাস। সে এক মুহূর্তের বিলম্ব করল না। সিকান্দারের মুখের ওপর ঝুঁকে তার আসল দাবি পেশ করল।
- হুজুর, আপনার দয়া অপরিমেয়। আমি এবং আমার শিষ্যরা গজনবী জমিদারবাড়ির আশ্রিতা হতে চাই। অর্থ কিংবা গহনার প্রতি আমার চাহিদা অতি যৎসামান্য। নেই বললেই চলে। আমি চাই আমার শিল্প এবং আমার দলের জন্য আপনার মহল হোক একটি স্থায়ী ক্ষেত্র।
’স্থায়ী ক্ষেত্র?’ কৌতূহলী সিকান্দার বললেন,
- আপনি আমার প্রধান বাঈজী হিসেবে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান পাবেন! কথা দিচ্ছি।
সিমরান মাথা নাড়ল। বলল,
- আমি শুধু প্রধান বাঈজী হতে চাই না, হুজুর। আমি আপনার গোটা বাঈজী মহলের উস্তাদনী হতে চাই। আমার দলটির পাশাপাশি এই মহলের স্থায়ী দলটিরও দেখভাল করতে চাই। তাদের শুদ্ধ শিল্প শেখাতে চাই। প্রতিজ্ঞা করছি, গজনবী মহলের শিল্পের মান যেন জগৎ বিখ্যাত হয় সে দিকে বিশেষ খেয়াল থাকবে আমার।
সিমরানের এই চতুর কৌশল ধূর্ত সিকান্দারকেও দ্বিধায় ফেলল না। বরং তিনি মুগ্ধ হলেন। এই নারী ক্ষমতার কাঠামোতে উক্ত স্থান শুধুমাত্র নিজের জন্য পেতে চাইছে না বরং এ মহলের শিল্পচর্চাকে আরোও সমৃদ্ধ করতে চাইছে। এছাড়া সিমরানের আজকের পরিবেশনার পর এ নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই যে, সিমরানকে উস্তাদনী বানালে তার মাহফিলের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ হবে আরোও দৃঢ়। সাংস্কৃতিক মান হবে আরোও উন্নত।
তবুও ক্ষণিককাল নীরব রইলেন সিকান্দার। এরপর বললেন,
- আপনার কথা যুক্তিযুক্ত। আজ থেকে আপনি আমার দরবারের উস্তাদনী। এবং আপনার দল আপনার সঙ্গেই থাকবে। আপনার ওপর বাঈজী মহলের সার্বিক পরিচালনার ভার আমি অর্পণ করলাম। আশা করি, আপনি সেই শুদ্ধতা রক্ষা করবেন, যা আপনি দাবি করছেন।
সিমরানের ওষ্ঠজোড়ায় চুমু খেয়ে সিকান্দার পালঙ্ক ছেড়ে উঠলেন। সিমরানও নিজের পোশাক পরিধান করল। সিকান্দার দাউদকে ডেকে পাঠালেন। হুকুম করলেন,
- দাউদ, সিমরান আজ থেকে আমার বাঈজী মহলের উস্তাদনী। তার জন্য সবচেয়ে খাস কামরাটি প্রস্তুত করো। আজ থেকে সে এবং তার দল এখানেই থাকবে। মনে রেখো, সে আমার দরবারের শিল্পের অভিভাবক। তার মর্যাদা এবং নিরাপত্তা রক্ষায় যেন কোনো ত্রুটি না হয়।
সিমরানের দুচোখ ভর্তি তখন কৃতজ্ঞতা। সেই কৃতজ্ঞতার আড়ালে অতি কৌশলে সে লুকিয়ে ফেলল বিজয়ের হাসি। এক রাতের বিনিময়েই সে তার লক্ষ্যের অতি সন্নিকটে।
নতুন উস্তাদনী সিমরান খাস কামরা থেকে বেরিয়ে বাঈজী মহলের দিকে রওনা হলো। তাকে অনুসরণ করল দুজন ব্যক্তিগত খিদমতগার। গজনবী জমিদারবাড়ির আঙিনায় আলস্য ঝেড়ে ভোরের আলো গাঢ় হয়ে নামছে। সিমরানের প্রতিটি পদক্ষেপে ছিল ক্ষমতার অহং। সিমরানের মুখের অর্ধচন্দ্র হাসি যেন নীরবে বলল,
- খেলা সবে শুরু!
দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে বাঈজী মহলের ‘উস্তাদনী’র ভার সামলানো বিলকিস বানুর কক্ষে আচমকা সিমরানের আগমনের হেতু, তিনি বুঝতে পারছেন না। হেমাঙ্গিনীর চোখে মুখেও রাজ্যের বিস্ময় এবং জিজ্ঞাসা। এই অসময় জমিদারের প্রধান খিদমতগার কেন বাঈজী মহলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কামরার সামনে দাঁড়িয়ে আছে? এই গল্পের লেখিকার পেইজ ‘Atia Adiba – আতিয়া আদিবা’ তে প্রতিদিন বিকাল ৫ টায় গল্প পোস্ট করা হয় সবার আগে।
তাদের বিস্ময়ের ঘোর কাটতে না কাটতেই, দাউদ এগিয়ে এলো এবং মহলের সমস্ত বাঈজীদের একত্রিত হওয়ার নির্দেশ দিল।
মহলজুড়ে শুরু হল ফিসফাস। কিছুক্ষণের মাঝে প্রায় সকল বাঈজী বিলকিস বানুর বৃহৎ কামরায় জড়ো হলো। তাদের সকলের দৃষ্টি সিমরানের দিকে। যার গায়ে তখনো লেগে আছে নবাবের একান্ত সান্নিধ্যের চিহ্ন।
দাউদ অত্যন্ত গম্ভীর এবং স্পষ্ট স্বরে ঘোষণা করল,
- শুনুন, বাঈজী মহলের সকল সদস্য। হুজুর সিকান্দার গজনবীর নির্দেশে আপনাদের জানানো হচ্ছে যে, আজ এই মুহূর্ত থেকে দিল্লি থেকে আগত বাঈজী সিমরান এই বাঈজী মহলের নতুন উস্তাদনী। তিনি শুধু এখানকার শিল্পচর্চার দেখভাল করবেন না, বরং এই মহলের সার্বিক পরিচালনার ভারও তাঁর উপর অর্পণ করা হলো।
ঘোষণাটি যেন বজ্রপাতের মতো শোনাল। বিলকিস বানুর মুখ মুহুর্তেই বিবর্ণ হয়ে গেল। তার পঁচিশ বছরের বিশ্বস্ততার প্রতিদান এইভাবে দেওয়া হবে, তা তিনি দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি।
হেমাঙ্গিনীর শরীরও শক্ত হয়ে গেল। অক্ষিজোড়া বিস্ফারিত হলো। সিমরানের এই ক্ষমতা লাভ তার সন্দেহকে দ্বিগুণ করে তুলল।
বিলকিস বানু ক্ষণিকের জন্য দ্বিধাগ্রস্ত হলেন বটে, পরক্ষণেই জমিদারী আমলের নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে একটি গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
তিনি জানতেন, নবাবের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি শব্দ উচ্চারণ করাও চরম বেয়াদবি। তিনি তা কোনোদিন করবেন না।
অন্যান্য বাঈজীদের মনের মাঝেও ক্ষণিকের জন্য উদ্বেগ উঁকি দিয়েছিল। তবে সে উদ্বেগ কাটতে সময় লাগল না। গত রাতের মাহফিলের কথা মনে পড়ল তাদের। সিমরানের নৃত্যশৈলী ছিল পুরোনো ঘরানার চেয়ে অনেক বেশি মনমুগ্ধকর এবং নতুনত্বে মোড়ানো।
মহলের বাঈজীরা একে অপরের দিকে চাইল। তাদের চোখেমুখে ছিল নতুন নৃত্য শেখার প্রবল আগ্রহ।
এতদিন তারা বিলকিস বানুর পুরোনো ধাঁচের শিল্পকলা অনুসরণ করছিল। যা তাদের উন্নতির পথকে রুদ্ধ করে দিচ্ছিল। সিমরানের এই আগমন যেন তাদের নিকট শিল্পের মুক্ত গগনের ন্যায়।
একজন তরুণী বাঈজী ফিসফিস করে বলল,
- গত রাতে নতুন উস্তাদনী যে নৃত্য পরিবেশন করেছিলেন, তা শেখার জন্য আমি জীবনও দিতে রাজী।
অন্য একজন মাথা ঝাঁকাল,
- হুজুর, ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। আমাদের মহলে এখন নতুন শিল্পের প্রয়োজন। এবার আমাদের শিল্প শুধু কয়েকটি এস্টেটে নয় বরং জগৎজোড়া খ্যাতি পাবে।
সিমরান বিজয়ীর বেশে সবার দিকে একবার তাকাল। বিলকিস বানু এগিয়ে এসে সিমরানের হাতে চাবির গোছা গুজে দিলেন।
সিমরামের হাতে যেন চাবির গোছা ঝকমক করছিল। সে জানে তার আগমনে বিলকিস বানু এবং হেমাঙ্গিনী খুশি হয় নি। তবে এই মহলের অন্যান্য বাঈজীরা তার উপস্থিতিতে পুলকিত। তারাই সিমরানের কৌশলগত হাতিয়ার। তারাই হবে তার শক্তির মূল ভিত্তি।
★৫০০ কমেন্ট এবং ৩০০০ লাইক সম্পন্ন হলে আগামীকাল বিকাল ৫ টায় পর্ব ১১ আসবে। সাইলেন্ট রিডাররা কমেন্ট করে গল্প কেমন লাগছে জানাবেন আজকে।
উপন্যাসঃ #নিষিদ্ধ_রংমহল 🥀
লেখনীতে, Atia Adiba – আতিয়া আদিবা
Share On:
TAGS: আতিয়া আদিবা, নিষিদ্ধ রংমহল
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ১৬
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ১৫
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ১৭
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ৮
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ১৮
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ১২
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ১
-
নিষিদ্ধ রংমহল গল্পের লিংক
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ৪
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ১৪