নিষিদ্ধ_চাহনা
পর্ব_০৯ (ক)
লেখিকাসারাচৌধুরী
🚫অনুমতি বাদে কপি করা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ🚫
পিহুর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে অনবরত।যে মানুষটাকে সে ঘৃনা করেছে নাম অব্দি শুনতে পারে নাই এত বছর আজ তার সামনে তার বাড়িতে থাকতে হচ্ছে।তাও আবার তার হাতে মার খেয়ে।।পিহুর মন বিষিয়ে উঠলো।। পিহুর চোখ দিয়ে পানি ঝরছে।।মনে শুধু একটা কথা বাঝছে।।
-“উপরের যিনি আছেন তিনি মাফ করলেও আমি আপনাকে মাফ করবো না।যে যন্ত্রনা দিয়েছেন আমায় সে যন্ত্রনার শেষ আপনাকে দিয়েই করাবো..!!
পিহুর মন দুর্বল।। তবে একটু বেশি চঞ্চল।।এখানে আসার আগে ফ্লাইট এ বসে আতিয়া মাথায় হাত দিয়ে কসম কাটিয়ে নিয়েছেন।। যেনো পিহু সাদির সাথে ভালো আচরন করে।।আর পুরোনো কোনো কথা না তুলে পড়াশোনায় ফোকাচ করতে।। বাবাই সুস্থ হলেই চলে যাবে।।তাই পিহু চুপচাপ।।তবে ঘৃনায় শরীর বিষিয়ে যাচ্ছে।।পিহু ওয়াশরুমে গিয়ে আয়নাতে তাকাতেই দেখতে পেলো পাঁচ আঙুলের ছাপ স্পষ্ট তার বাম গালে।।পিহুর খুব রাগ হলো।।না সাদির উপর না নিজের গালের উপর।। সাবান নিয়ে চড় বসা জায়গাই ইচ্ছা মতো ঘষতে থাকলো।।যেখানে পাচ আঙুলের ছাপ ছিলো সেখানে এখন পুরো গাল লাল টকটকে হয়ে গেছে।।এবার পিহুর গাল জলা শুরু হলো পিহুর থেমে গেলো।।
পিহু মুখে পানি দিয়ে আয়নায় তাকালো।।বাম গাল স্পষ্ট লাল টকটকে হয়ে আছে ফর্সা হওয়ায় বেশি বোজা যাচ্ছে।।পিহুর চোখ ও লাল।।কান্নার কারনে মুখ টাও লাল,, পিহু চোখ বুজে একটা দীর্ঘ শাস নিয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে টাওয়েল দিয়ে মুখ মুছে বিছানায় গিয়ে বসলো..!
সাদি রুমে এসে নিজের হাতের দিকে তাকাল,হাত টাও লাল,, তাহলে মেয়েটার মুখে কেমন লেগেছে,,সে একজন ডাক্তার হয়ে কিভাবে একটা বাচ্চা মেয়েকে টরচার করছে,, সাদির ভিতরে অনুশুচনা জন্মালো,,পকেটে হাত দিতেই হাতের সামনে চলে আসলো সাদি হাতের মুঠ খুলে মোবাইল সিম দেখলো এটা সে পিহুর জন্য রেখেছে কাল থেকে পিহুর কলেজ,, সাদি কলেজ এর প্রিন্সিপাল এর সাথে কথা বলে সব ঠিক করেছে কাল কাগজ জমা দিয়ে কাল থেকেই ক্লাস শুরু।।
সাদি কি মনে করে আবার রুম থেকে বেরিয়ে গেলো,,পিহুর রুমের সামনে এসে নক করতে ইতস্ততবোধ করছে,,তাও সাহস জুগিয়ে রুমের দরজায় জোরে ঠেলা দিতেই ভিতর থেকে পিহু দরজা খুলে দিলো,,আকশশ্বিক দরজা খুলায় টাল সামলাতে না পেরে সাদি ঠাস করে পিহুর উপরে পড়লো পাকা মেজেতে সাদি দ্রুত নিজের হাত পিহুর মাথার পিছনে দিলো সাথে সাথে দুজনেই পড়ে গেলো,,পিহু জোরে চিল্লিয়ো উঠলো..
-“আল্লাহগো আমার কোমর শেষ আমি মরে গেছি..বলে কান্না শুরু করে দিলো।।
এদিকে সাদি অবাক হয়ে পিহুর দিকে তাকিয়ে আছে মেয়েটা চোখ বুজে কাদছে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে,, হয়তো বেশি লেগেছে,,সাদি তাড়াতাড়ি উঠে দাড়ালো পিহুর উপর থেকে,,সাদি উঠতেই পিহুর নিজেকে কেমন হালকা লাগলো।।চোখ বন্ধ রেখেই বলে উঠলো..-“আল্লহ আমি কি মরে গেলাম আমার আর পানি খাওয়া হলো না।
পিহুর কথায় সাদির ভ্রু কুচকে গেলো।মেয়েটা কি আসলে এই সিরিয়াস মুহুর্তে কি সব বাজে কথা বলছে সাদি বিরক্তি সুরে বললো…
-“স্টুপিড মরিস নাই তুই উঠে বস..!
সাদির কন্ঠ শুনে পিহু পিটপিট করে চোখ খুললো,,সেতো ভেবে নিয়েছিলো সে উপরে চলে গেছে দরজা খুলতেই দাবাং মার্কা কি তার উপরে পড়েছে সে তো চ্যাপ্টা হয়ে গেছে..!
-“এই মেয়ে কি ভাবছিস উঠ..?
পিহুর হুস আসলো সাদিকে সামনে ভাবলেশহীন ভাবে বুকে হাত গুজে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পিহুর প্রচন্ড রাগ হলো আর এটাও বুজতে কষ্ট হলো না সাদিই পিহুর উপরে পড়েছে,,পিহু রাগী সুরে বলে উঠে..
-“যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই মারছেন লজ্জা করে না আপনার,,আমার উপরে ইচ্ছা করে পড়ে আমাকে মারার খুব ইচ্ছা তাই না,,তিন বছর আগে পুরো পুরি মারতে পারেন নি তাই তো।।
পিহু কথা গুলো বেশ রেগেই বললো কিছুক্ষন আগের রাগ আর এখন এর মিশ্রিত হয়ে বেশ ভালোই রেগে,,সাদি চোখ ছোট ছোট করে বলে উঠে…
-“মানেহ?আমি তোকে মারতে চাই মানে..?
-“মানে বুজেন না এখন ই তো মারবেন বলে মাজা ভেঙে দিলেন।
-“তোর কোমর ভেঙেছে?
-“ভাঙেনি তো কি?
-“উঠ..!
-“কই উঠবো?
সাদি পিহুর হাত ধরে জোরে টেনে তুললো,,পিহু কোমরের অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে কুকড়ে গেলো।।ব্যাথায় কেদে উঠে দাতে দাত চেপে বলে উঠে..
-“ছাড়েন অসভ্য লোক আমার পুরো লাইফ টা নষ্ট করে ফেলছেন আপনি,,এখন আমার কোমর শেষ করে দিলেন ছাড়েন আমাকে..?
-“আমি তোর জীবন নষ্ট করেছি মানে?(ভ্রু কুচকে সাদি জিজ্ঞাসা করলো)
-“মনে নেই আপনার অসভ্য লোক আমাকে আপনি রে*..!
আর কিছু বলার সাদি পিহুর গাল নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে চেপে ধরলো,,পিহুর চোখ লাল রাগে,,কোমর আর গালের ব্যাথায় চোখ দিয়ে পানি পড়ছে,,সাদি বেশ রাগীকন্ঠেই বললো….
-“তোর লাইফ আমি নষ্ট করিনি,,ওটা এক্সিডেন্ট ছিলো আর সেই ভুলের মাশুল দিতেই আমি এদেশে ভলে এসেছি,,আর অসভ্য কাকে বলিস তুই জানিস এর মানে?
পিহুর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে পিহু আরো রেগে গেলো।। এক প্রকার জোরে খামচি দিলো সাদির হাতে সাথে নোক সাদির ফর্সা হাতে বসে গিয়ে রক্ত পড়তে লাগলো,,তাও সাদি পিহুর গাল ছাড়লো না,,পিহুর মনে হচ্ছে গালের চামড়া ছিড়ে যাবে,, পিহু এবার ফুফিয়ে উঠলো,,পিহুর চোখে পানি দেখে সাদি এবার ছেড়ে দিলো পিহুকে।বাম হাত দিয়ে পকেট থেকে সিম আর মলম বের করে কঠিন কন্ঠে বলে উঠলো..
-“মলম লাগিয়ে নে,,আর তোর ভুল শুধরাবো রেডি থাক আমি হসপিটাল যাচ্ছি..!
বলেই গটগট পায়ে সাদি রুম থেকে বের হয়ে গেলো,,সাদি বের হতেই পিহু জোরে কেদে উঠলো খুব লেগেছে তার,, রাগের বসে উলটা পালটা বলে ফেলেছে তার দরুন এই ভাবে মারবে পিহু বুজতে পারি নি।।পিহুর চোখ জুড়ে নোনাজল মেজে ঘষে ঘষে বিছানার পাশে গিয়ে বিছানায় মাথা রেখে ফুফিয়ে উঠলো,, পিহু কোমর অসহ্য ব্যাথা করছে তার। পিহুর চোখ গেলো একটা বক্স আর মলম এর দিকে যেগুলো সাদি চেলে দিয়ে গিয়েছে,,পিহু হাত বাড়িয়ে নিয়ে বক্স টা খুললো।।
সাদি রুমে এসে ফাহাদ কে কল করলো ফাহাদ কল রিসিভ করতে সাদি তাকে হসপিটালের বাইরে অপেক্ষা করতো বললো,,ফাহাদ মাত্র ঘুমাবে বলে প্রস্তুতি নিয়েছে সেই মুহুর্তে সাদির কল পেয়ে ধরেছে আর এখন তাকে হসপিটালের সামনে যেতে হবে।।এক লম্বা শাস নিয়ে ফাহাদ বাড়ি থেকে বের হলো।সিনিয়র ডাক্তার তার উপর প্রিয় বন্ধু কথা শুনা লাগবেই।
সাদি গায়ে শুভ্র রঙের শার্ট জড়ালো।হসপিটালে কল দিয়ে জানতে পেরেছে তার বাবার আজ অপারেশন হবে সেই চিন্তার মাঝে পিহুর সেই বিষাক্ত অতীত মনে করানো তে বেশি রেগে গিয়েছে,,ইলিয়াস চৌধুরী বড় সমস্যা নেই।।এর আগে চিকিৎসা করলে এতদিন পড়ে থাকা লাগতো না,,আজ অপারেশন করলে পনেরো দিনের মধ্যেই দেশে ফিরতে পারবে তবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে হাটাচলা করতে ছয় মাস লাগবে,, এতদিন পড়ে থাকার জন্য অনেক অঙ্গ৷ ডেমেজ হয়ে গেছে।।
সাদি গাড়ির চাবি নিয়ে আর ডয়ার থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো,,চোখ লাল মুখ গম্ভীর,, একজন ডিলারের সাথে দেখা করবে সে,, হসপিটাল থেকে ইলিয়াস চৌধুরী কে দেখে আসার পর..সাদি নিজের ব্লাক মার্সিটিজ গ্যারেজ থেকে বের করে স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে চলতে থাকে। ফাকা রাস্তায় শা শা শব্দে এগিয়ে চলছে সাদির কালো রঙয়ের মার্সিটিজ গাড়িটা..সাদি ফাকা রাস্তার ল্যামপোস্ট এর আলোয় গাড়ি চালাতে চালাতে সয়তানি হেসে বিড়বিড় করে উঠে বলে….
-“কাকে বললি যে জীবন নষ্ট করেছি,,এবার প্রত্যেক মিনিটে অনুভব করবি কুইন,,তোকে এবার বুজাবো এই সাদি কে,, তোর কপালে কি আছে তুই নিজেও জানিস না।
সাদি জোরে হেসে উঠলো,,ঠিক সে সময় ফোন টা বেজে উঠলো,,সাদি ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলো স্ক্রীনে স্পষ্ট লেখা.. “ডিলার এলেক্স” সাদি বিড়বিড় করে বললো ওই কল চলে এসেছে এবার সাদি হেসে ফোন রিসিভ করে কানে দিয়ে বলে উঠলো..
-হ্যালো…!
চলবে………..
-(আজকের পর্ব এলোমেলো এই কয়েকটি না লেখার কারনে সব উলাট পালট হয়ে গেছে কাল থেকে বড় পর্ব দেওয়ার চেষ্টা করবো আশা করি আজকের পর্ব ভালো লাগবে,তোমাদের ভালো রেসপন্স পেলে পরের পর্ব দিবো)-
নিষিদ্ধ_চাহনা
পর্ব_০৯ (খ)
লেখিকাসারাচৌধুরী
🚫অনুমতি বাদে কপি করা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ🚫
সাদি হসপিটালের রিচিপশনে দাড়িয়ে ডাক্তার দের সাথে কথা বলছে,,আজ ইলিয়াস চৌধুরীর অপারেশন,, সাদি নিজের বাবার চিন্তায় ঘেম্ব যাচ্ছে,,ডাক্তার রা তাকে শান্তনা দিলো চিন্তার কিছু নেই অপারেশন এর পরে দেশ এ নিয়ে যেতে পারবে চাইলে এখানেও রাখা যাবে তবে হসপিটালে বন্দি জীবন থেকে দেশ এ মুক্ত বাতাসে রাখা ভালো।
সাদি ডাক্তার দের সাথে কথা বলে ইলিয়াস চৌধুরীকে অপারেশন থিয়েটর এ পাঠিয়ে দিলো এদিকে মিসেস আতিয়া বেগম কাদছেন,,সাদি আতিয়া বেগম কে শান্তনা দিয়ে একটা নার্স ডেকে তার সাথে পাঠিয়ে দিলো হসপিটালে কেন্টিন সাইডে।আতিয়া বেগম চলে যেতেই সাদি পকেট থেকে ফোন বের করে চেক করলো”ডিলার এলেক্স”এর চার টা কল সাদি ফোন ব্যাক করে হাটা শুরু করলো পার্কিং এর দিকে।।
নাবিল রাস্তার ফুটপিত দিয়ে এগিয়ে চলছে সামনে,,বাবার ব্যাবসা হাতে নিয়েছে,,মনে একটা সুপ্ত ইচ্ছা,,পিহুকে নিজের রানী বানানো,,পিহুকে নিয়ে একটা রাজ্য তৈরি করবে যেখানে তাদের সুখের সংসার হবে,,সেখানে রাজা নাবিল আর রানী হবে পিহু,,এসব ভাবতে ভাবতে মুচকি হাসি দেই নাবিল।
পিহুর সাথে কথা হয় না।তবুও নাবিল জানে পিহু তাকে অসম্ভব ভালোবাসে,,যাকে বলে অন্ধ ভালোবাসা,,নাবিল চোখ বুজে বলে দিতে পারবে সে সত্যিই একটা ভালো মেয়ে পছন্দ করেছে।নাবিল জানে সে একটা ভালো পর্যায়ে দাড়াতে পারলে সে পিহু কে পাওয়ার জন্য ইলিয়াস চৌধুরীর কাছে হাত পাততে পারবে,, সেজন্য সে ব্যাবসায় মন নিবেশ করেছে।।
জেরিন কলেজের সেই বিখ্যাত জলপাই গাছের নিচে বসে ইফার সাথে কথা বলছে,,ইফা হলো জেরিনের ক্লাসমেট,,মেয়েটা খুব ভালো,,ইফা যখন জেনেছে যে নাবিল জেরিনের ভাই তখন থেকে জেরিনের পিছে সুপার গ্লুর মতো চিপকে গেছে..সেই সকাল থেকে জেরিনের কাছে নাবিলের নাম্বার চাচ্ছে,,জেরিন ভেবে পাইনা গার্লফ্রেন্ড আছে শুনেও পিছনে পড়ে এ কোন ধরনের অসভ্য মেয়ে,,জেরিন বিরক্ত হয়ে নাম্বার দিয়ে দেয়,,ইফার হাসি দেখে কে আনন্দে জেরিন কে চুমু দিয়ে ফেলে,পরে নিজেই লজ্জা পাই,, জেরিন বুকে হাত গুযে বলে উঠে….
-“নাবিল ভাইয়া পিহু বাদে আর কাওকে ভালোবাসবে না..!
-“আমি হাল ছাড়ার পাত্রি না জেরিন..!
-“চেষ্টা করে দেখতে পারো,, কিন্তু কোনো লাভ হবে না।।
-“লাভ লস জানিনা আমি তুমার ভাবি হলাম বকে খুব তাড়াতাড়ি মিলিয়ে নিও।।
জেরিন নাক মুখ কুচকে ভেংচি কেটে বলে,,দেখবো নি,, আমার ভাইয়ের ভালোবাসা সস্তা না,,সরো তো বাড়ি যাবো,,ইফা বিরক্ত হলো পিহুকে সে চিনে মেয়েটা সুন্দর কিন্তু তার মতো ক্ষমতাশালো বাবার মেয়ে না,,ইফা যা চাই তা নিজের বাবার ক্ষমতার জোরে পেয়ে যায়।
ইফা ও একটু জোরে হেসেই বললো তাহলে দেখো জেরিন আমার হবু ননদিনী,,এখনই তোমার ভাইকে পটাচ্ছি,,বলেই কল দিলো নাবিলের নাম্বারে,, জেরিনের বিরক্তির শ্বাস ফেলে গাছের নিচে গিয়ে বেঞ্চে বসলো,,বেশ শান্তি পুর্ন জায়গাটা,,এমনিতে পিহুর সাথে কথা হয় না তিন দিন ধরে মেয়েটা ঠিক মতো পৌছেচে কিনা শিউর না তার উপর উঠকো ঝামেলা।।ইফা হেসে জেরিনের পাশে বসলো,, তারপর নিজের ফোনে লাউড স্পিকার দিয়ে বললো তোমার ভাইকে পটানোর প্রথম ধাপ ফলো মি ননদিনী।।।
নাবিল বাড়িতে ঢুকে সোফাই বসতে যাবে ঠিক সেই মুহুর্তে নিজের ফোনটা ভাইব্রেট হয়ে বেজে উঠে,,নাবিল বিরক্ত হয় কিছু একটা ভেবে ফোন হাতে পেয়ে অচেনা নাম্বার পেয়ে খুশি হয়ে জায়,,নিঃশ্চয় পিহু ফোন দিয়েছে,,নাবিল কল রিসিব করে হ্যালো বলতেই মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে যায়,, ওপাশ থেকে ইফা বলে উঠে……
-“হ্যালো ভাইয়া কেমন আছেন..?
-“কে আপনি নাম্বার কই পাইলেন..?
-“ভাইয়া আমি ইফা..?
-“কোন ইফা..?
-“এমপি মিন্টুর একমাত্র মেয়ে ইফা।
-“ওহ..!
নাবিলের গা ছাড়া কথা শুনে ইফার মাথায় রক্ত টগবগিয়ে উঠলো,,তার সাথে মিষ্টি ভাবে কথা না বলে কেমন ভাবে কথা বলছে,,ইফার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে নাবিল বলে উঠলো…
-“কিছু বলার থাকলে বলুন নইতো কেটে দিলাম আপু।
-“আমি আপনার আপু হয় না।।
-“তো কি হন..?
-“আমি ইফা ইন্টার ফাস্ট ইয়ারের আপনাদের কলেজের ছাত্রী।
-“আচ্ছা আর কিছু,, বাই দা ওয়ে আমার পারশোনাল নাম্বার কই পেলেন..?
-“না মানে ভাইয়া।।
-“সম্মানের সাথে বলছি আপু প্লিজ আর কল দিবেন না ধন্যবাদ রাখছি আসসালামু আলাইকুম।।
নাবিল কল কেটে দিলো,, সাথে সাথে ইফা গাছের নিচে বসে জোরে চিল্লিয়ে উঠলো,,ফোনের কলেও কেও এভাবে রিজেক্ট করে ভাবা যায়,,, সে তো এখোনো পেম পত্র দিলোই না,,তার আগেই রিজেক্ট,,এদিকে জেরিন হাসতে হাসতে দম আটকে জাচ্ছে,,জেরিনের হাসি দেখে ইফা রেগে চলে যেতে নিলে জেরিন বলে উঠে…
-“ইফা বাকি দশটা ছেলের মতো ভাই না আমার এক পিস ই তাও আবার পিহুর,, চেষ্টা চালিয়ে যাও বলেই হাসা শুরু করলো,,ইফা কোনোদিক না তাকিয়ে রেগে কলেজের ভিতর চলে গেলো,,জেরিন ও নিজের বাড়ি যাবার জন্য মেইন রাস্তার দিকে পা আগালো।।
সাদি এলেক্স এর সাথে কথা বলে পিহুকে বাড়ি থেকে তুলে এনেছে,,উদ্দেশ্য পিহুকে নিজের সাথে নিয়ে যাবে,, এদেশে এসে পিহুকে কোথাও নেওয়া হলো না তাই পিহুকে নিয়ে সব ঘুরবে বলে পিহুকে তুলে এনেছে,,তবে পিহু কোনোমতে আসতে চাই নি এই মানুষটাকে তার খুব ভয় করে,, সাদি পিহুকে এক প্রকার টেনে নিয়ে এসেছে,,।
বেশ কিছুক্ষন পর ফাকা হাই ওয়ের পাশে একটা গোডাউনের সামনে গাড়ি থামল।সাদি গাড়ি থেকে নেমে পিহুকে নামালো,,পিহুর ভয় করছে এমন ফাকা যায়গায় কাকে ঘুরাতে নিয়ে আসে,,পিহু কিছু বলার আগেই সাদি পিহুর হাত ধরে গোডাউনের ভিতরে প্রবেশ করে,,প্রবেশ করতে পিহুর চোখ যায় একটা লম্বা লোক লম্বা কোট পড়া,,সে মোবাইল এ দেখেছে কিডন্যাপার রা এমন হয়,,পিহু ভ্রু কুচকে সাদির উদ্দেশ্যে বললো…
-“এখানে কি করতে এসেছি আমরা..?
সাদি নির্লিপ্ত ভাবে জবাব দেই..-“তোর মুখ বন্ধ করতে..!
-“মানে…?
-“কিছু না স্টপ…!
-“আচ্ছা ওই লোক কে…?
সাদি পিহুর ইশারা বুজে লোক্টির দিকে তাকাই সাথে সাথে লোকটি এগিয়ে আসলো সাদির হাতে হাত রেখে কুশল বিনিময় করলো,,পিহু লোক্টার অর্ধেক,, পিহু সাদির শার্ট খামচে ধরলোসাদি সেদিকে তাকিয়ে লোকটির সাথে কথা বলা শুরু করলো,,এক সময় লোকটি পিহুর দিকে তাকিয়ে সাদির উদ্দেশ্যে বল্লো…
-“হু ইজ সী..?
সাদি পিহুর দিকে তাকিয়ে বাংলায় বলে উঠে এটার নিয়ে ডিল হবে নিয়ে জান,,সাদির কথা শুনে পিহুর পিলে চমকে গেলো সাদির শার্ট ছেড়ে দিয়ে দূরে সরতে চাইলেই সাদির হাতের বাধন শক্ত হয়,,পিহু কাপা কাপা কন্ঠে বলে উঠে…..
-“আপনি কি করতে চাচ্ছেন..?
-“তোকে একটু ভালোবাসা দেখাতে,,দেখ এবার প্রতি মিনিট কেমন লাগে…!
পিহু শুকনো ঢোক গিলে কাপা কাপা কন্ঠে বলে উঠে….
-“আপনি এমন করতে পারেন না আমাকে ছাড়েন.. আপনার পায়ে ধরি ছেড়ে দেন আমাকে..!
সাদি:- শাট আপ ইডিয়েট..?
পিহু:- প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেন…!
সাদি:- সরি মাই ফাদার’স প্রিন্সেস..!
পিহু:- আমি কোনোদিন আপনার সামনে আসবো না ছেড়ে দেন দয়া করুন..!
সাদি:- এমনিতেই আসবি না আজকের পর..!
পিহু:-ছেড়ে দেন..!
সাদি:-ওকে ডান..!
সাদি পিহুর হাত ছেড়ে দিলো সামনে থাকা এলেক্স নামের লোকটার হাত থেকে একটা ব্যাগ নিলো ব্যাগের ভিতরে টাকা,, কত টাকা পিহু জানে না,,পিহু কাদতে কাদতে বললো এটা কিসের টাকা..সাদি এলেক্স এর হাতে একটা কাগজ দিয়ে বললো নিয়ে যাও…সাথে সাথে পিহু নাহহহহ বলে চিৎকার দিয়ে উঠে জ্ঞান হারিয়ে সাদির বুকে ঢলে পড়লো।।
চলবে…….
-(আজ গল্পের নতুন এক মোড় পেলো,,সামনে কি হবে জানিনা,,অপেক্ষা করো দেখা যাক সামনে কি হয়..আজকের পর্ব একটু এলোমেলো মানিয়ে নিও,,কেমন লাগছে বলে জাবা আশা করি ভালো লাগবে..কেও বাজে মমন্তব্য করবেন না,,ভালো ন্স লাগলে ইগনোর করবেন)-
Share On:
TAGS: নিষিদ্ধ চাহনা, সারা চৌধুরী
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১০
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ২২
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ১৭
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ৫
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ১৩
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৫
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ৭
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১২
-
চার বছরের চুক্তির মা গল্পের লিংক
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৪(ক+খ)