নিষিদ্ধ_চাহনা
পর্ব_১৩
লেখিকাসারাচৌধুরী
🚫অনুমতি বাদে কপি করা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ🚫
সাদি বসতে বলে সামনে তাকাতেই ছেলেটি উতফুল্ল হয়ে বলে উঠে..
-“সাদি ভাইয়া আপনি..?
সাদি ছেলেটির দিকে দৃষ্টিপাত করে। চেনার চেষ্টা করে। সাদির এমন তাকানো দেখে ছেলেটি বেশ উৎফুল্ল হয়ে বলে উঠে…
-“ভাইয়া আমাকে চিনছেন আমি নাবিল!ওইজে আপনার কাছে কোচিং করতাম ফিজিক্স এর।
এতক্ষনে সাদির মনে পড়ে নাবিলের কথা আসলেই সময়ের ব্যাবধানে কত চেনা পরিচিত মুখ অচেনা হয়ে যায়।যেমন সাদি নাবিল কে চিনতে পারলো না।সাদি ও নাবিলের সাথে হাত মিলালো।তারপর নাবিল কে জিজ্ঞাসা করলো….
-“কার কি হয়েছে নাবিল…?
নাবিল দীর্ঘ শ্বাস ফেলে পাশে থাকা মধ্যেবয়সি লোকটির দিকে তাকিয়ে বলে উঠে…
-“আমার বাবার হার্ট এর প্রবলেম দেখা দিচ্ছে।
সাদি লোকটির দিকে তাকিয়ে সালাম দিলো। লোকটি ও হাসি মুখে সালামের প্রতিউত্তর করলো।সাদি লোকটির মুখ থেকে সমস্ত সমস্যার কথা শুনে কয়েকটা টেস্ট করাতে দিলো। একজন নার্স কে ডেকে লোকটিকে তার সাথে পাঠিয়ে দিলো নাবিল বাবার সাথে যেতে চাইলেও সাদির কথাই বসে রইলো।
লোকটি চলে যাওয়ার পর সাদি হেসে বললো..
-“তো নাবিল তোমার খবর কি..?
নাবিল হেসে বললো…
-“আরে ভাই আগে আপনার খবর বলেন।
সাদি স্মীত হেসে বললো..
-“এই আলহামদুলিল্লাহ চলছে সব কিছু এবার তোমার টা কও শুনি…?
-“এই তো ভাই আমারো চলছে মোটামুটি।
-“তো শুনলাম প্রেম করছো…?
নাবিল একটা লজ্জা পেলো সাদির এই কথা।স্যার সমতুল্য সাদি যদিও বড় ভাইয়ের মতোই আচরন করে বন্ধুর মতো।নাবিল কে চুপ থাকতে দেখে সাদি বলে উঠলো..
-“বাংলা ডিপার্টমেন্ট এর ক্রাশ বয় নাকি প্রেম করে পুরো ক্লাস এর মেয়েদের মন ভেঙে দিয়েছে,, ভাবা যায়।
-“কি যে বলেন ভাই..?
-“আচ্ছা বাদ দাও বলো চা নাকি কফি..?
-“না ভাই কিছু খাবো না।
-“আরে বলো বলো…?
নাবিল কিছু বললো না কেমন লজ্জা পাচ্ছে সে।সাদি একজন স্টাফ কে ডেকে দুইটা কফি দিতে বললো তারপর এটা সেটা নিয়ে গল্প শুরু করে।
জেরিনের সাথে পিহু বসে আছে সেই জলপাই গাছের নিচে বেঞ্চ এ।হাতে ঝালমুড়ি।খাচ্ছে আর গল্প করছে আর এদিকে জেরিন শুধু শুনে যাচ্ছে।কিছুক্ষন পর দুজন উঠে হাটা শুরু করে। হাটতে হাটতে গেটের বাইরে চলে আসে। পিহু জেরিন কে বিদাই দিয়ে রিকশায় উঠে পড়ে। সাথে জেরিন ও অন্য রিকশায় উঠে পড়ে। দুজনের বাড়ি দুই দিকে।
রিকশা চলতে শুরু করে। পিহু ঝালমুড়ি খাওয়া শেষ করে ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে পানি খেতে থাকে বেশ কিছুক্ষন পর রিকশা এসে থামে সেই চেনা পরিচিত চৌধুরী বাড়ির সামনে।
পিহু রিকশা থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে বাড়ির গেটের দিকে পা বাড়াই।দারোয়ান গেট খুলে দিলে পিহু ধিরে ধীরে বাড়ির ভিতরে ঢুকে সদর দরজার দিকে অগ্রসর হয়।পিহুর মন উতফুল্ল।সামনে পরিক্ষা আগামী এক সপ্তাহ কলেজ জাওয়া লাগবে না শুধু কচিং এ গেলেই হবে।
পিহু সদর দরজা দিয়ে ঢুকে ডাইনিং রুম ফাকা।আতিয়া বেগম রান্না করছে ইলিয়াস চৌধুরী মনে হয় ঘরে।পিহু সোজা রান্না ঘরের দিকে এগিয়ে গেলো মাথা থেকে হিজাব খুলতে খুলতে।রান্না ঘরের দরজার কাছে গিয়ে উকি মেরে দেখলো আতিয়া বেগম বেশ ব্যাস্ত ভাবেই রান্না করছে।
পিহু হিজাব খুলে হাতে নিয়ে দরজায় দাড়িয়েই আতিয়া বেগম কে পিছন থেকে ডাক দিয়ে বললো…
-“মামুনি খুব খিদে লেগেছে।
পিহুর কন্ঠ পেয়ে আতিয়া বেগম পিছু ফিরে দেও পিহুর দিকে তারপর বেস্ত কন্ঠেই বললো…
-“তুই কখন এলি…?
-এই মাত্র এলাম বাবাই কই…?
-“ঘরে আছে তুই ফ্রেশ হয়ে আই আমি খাবার বাড়ছি..!
-আচ্ছা যাচ্ছি।
পিহু চুপচাপ সিড়ি বেয়ে দোতলায় চলে এলো। নিজের রুমের ঢুকতে গিয়েও দাঁড়িয়ে পড়লো উকি দিলো সাদির ঘরের পানে।না দরজা খোলা না লাগানো বাইরে থেকে।পিহু কিছু একটা ভেবে নিজের রুমে ঢুকে ব্যাগ টা টেবিল এ রেখেই ছুটে বেরিয়ে আসলো রুম থেকে তারপর সাদির রুমের বন্ধ দরজার সাম্বে দাঁড়িয়ে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলো।
রুমে ঢুকে পিহুর ভ্র কুচকে গেলো। হুম সব গোছানো শুধু মাত্র পর্দা গুলো লাগানো।পিহু প্রতিদিন ই কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে সাদির রুমে ঢুকে চুপচাপ পরে পর্দা শরিয়ে পুরো ঘরটাকে আলোকিত করে।সুর্যের চকচকে তেজি আলো রুমের ভিতরে পড়তে রুম টা জলজল করে উঠলো। পিহু রুমের চারিদিকে তাকালো সে মুলত এসেছে কাল বিকালে এই বেলকোনিতে বসে বই পড়ছিল ভুলে সেই বই থুয়ে গেছে।
পিহু একে খোজা শুরু করলো স্টাডি টেবিল এ চোখ যেতেই দেখলো বেশ কয়েকটা বই এখানে ওখানে ছড়িয়ে আছে পিহু এগিয়ে সেগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে রাখে।পিহুর চোখ যায় সোফার উপরে পিহুর বই রাখা।পিহু এগিয়ে যায়,, সে জানতো সাদি বই রুমের ভিতরে নিয়ে আসবে,, কারন সাদি রাতে বেলকোনি তে টাইম স্পেন্ড করে।
পিহু সোফা থেকে বই হাতে তুলে নিতেই চোখ বড় বড় হয়ে যায়।স্টিকি নোটস দিয়ে সাদির হাতে লেখা একটা চিরকুট মারা বইয়ে..পিহু বিড়বিড় করে পড়ে….
-“কেও একজন রোজ নিয়ম করে গুছিয়ে দেই বলে এই গোছালো আমি টাও অগোছালো হয় বার বার।
চিরকুট টা পিহু বইয়ের ভাজে রেখে হেসে বেরিয়ে গেলো।সে এতোদিন ভেবেছে পিহু রুমে আসে সেটা হয়তো সাদি বুজে না কিন্তু আজ সাদির চিরকুট দেখে পিহু বুজলো সাদি বুজে গেছে।পিহু একটু লজ্জা পেলো সেও এও ভেবেছিলো সাদি মনে হয় মনে করে তার রুমে আতিয়া বেগম যায়।
পিহুর কেন জানি লজ্জা লাগলো নুইয়ে যেতে ইচ্ছা করলো।পিহুর ভাবনার মাঝেই আতিয়া বেগম এর গলা শোনা গেলো পিহু তাড়াহুড়ো করে দরজা লাগিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে গেলো।তারপর প্রায় মিনিট বিশেক পর লম্বা শাওয়ার নিয়ে চুল মুছতে মুচতে বের হলো পিহু।পরবে সাদা রঙের থ্রি-পিস ফর্সা শরীরের সাথে বেশ মানিয়েছে।
পিহু চুল মুছে নিচে খেতে চলে আসলো।নিচে এসে ডাইনিং টেবিল এ বসে মামুনি বলে ডাক দিতেই আতিয়া বেগম হুইল চেয়ারে করে ইলিয়াস চৌধুরীকে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো।পিহু ইলিয়াস চৌধুরীর কে দেখে মাথায় উড়না তুলে দিলো। তারপর চেয়ার থেকে উঠে ইলিয়াস চৌধুরীর দিকে এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলো…
-“বাবাই কেমন আছো তুমি..?
-এইতো মা ভালো আছি কলেজ থেকে কখন আসলি..?
-এই মাত্র এসেছি।
আতিয়া বেগম ইলিয়াস চৌধুরীকে ধরে চেয়ারে বসিয়ে দিলো পিহু ও পাশে বসলো আতিয়া বেগম সবাইকে খেতে দিলেন।পিহু খাচ্ছে আর ইলিয়াস চৌধুরীর সাথে এটা সেটা গল্প করছে।এতে ইলিয়াস চৌধুরী ও বেশ খুশি।পিহু খাওয়া শেষ করে হাত ধুয়ে সিড়ি বেয়ে উপরে যাবে তখনই দরজার কলিং বেল বেজে উঠে।
আতিয়া বেগম তখন ও ইলিয়াস চৌধুরী কে খাবার দিচ্ছেন। তাই বলে পিহুকে দরজা খুলতে বলে। পিহু ও দরজা হাসি মুখে দরজা খুলতে এগিয়ে গেলো।দরজা খুলতেই পিহুর চোখ ছানা বড়া। পিহু কাপা কাপা কন্ঠে বলে উঠে….
-“ন..ন..নাবিল ভা..ভাই আ..আ..আপনি….?
চলবে……..
-(আমি প্রথমেই মাফ চাচ্ছি এই গল্প টা ছোট দেওয়ার কারনে। মিনিমাম পাঁচ বার লিমহে আবার ডিলেট করে দিছি মন মত হচ্ছে না।এখন অধৈর্য হয়ে তাই ছোট করে খাপছাড়া পর্ব দিয়েছি।আজ মানিয়ে নাও কাল থেকে ভালো করে নিয়মিত গল্প দিবো কেও বাজে কমেন্ট করবা না)-
Share On:
TAGS: নিষিদ্ধ চাহনা, সারা চৌধুরী
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
চার বছরের চুক্তির মা গল্পের লিংক
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ২১
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ৭
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১২
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ২২
-
নিষিদ্ধ চাহনা গল্পের লিংক
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ৬
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ২
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ২৩