সুখময়যন্ত্রনাতুমি
neela_rahman
পর্ব_১৩৩
রহমান ভিলায় সবাই সন্ধ্যায় একত্রে নাস্তা করছে ।সামিহা বেগম তাকিয়ে আছে রিমার দিকে ।এমন সময় সাইমন ধীরে ধীরে উপর থেকে শার্টের হাতা গোটাতে গোটাতে নামছে ।গতকাল থেকেই খুব সিরিয়াস হয়ে লেখা পড়া শুরু করেছিল সাইমন আজ থেকে তো আরো বেশি সিরিয়াস ।যখন বড় আম্মু কথাগুলো বলে বুঝিয়েছে তখন থেকে লেখাপড়া ছাড়া আর কিছুই বুঝছেনা তেমন ।সারাদিন ফোন হাতে নিয়েও দেখেনি রিমা কেউ একবার ডিস্টার্ব করিনি।
যেন কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সায়মন পুরো বদলে গিয়েছে ।সামিহা বেগম হঠাৎ অবাক হয়ে গেলেন ।সায়মন আজ দৌড়ে দৌড়ে নামছে না খুব ধীর স্থির সুন্দর করে নামছে ।উনি চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে বললেন ,”এত দেরি করলি কেন ?”
সায়মন বলে উঠলো,”একটু পড়ছিলাম ।”
সামিহা বেগমের মাথায় যেন আকাশটা ভেঙে পড়ল ।কি বলল ছেলে পড়ছিল !ছেলের মাথা ঠিক আছে ?জ্বর টর আসেনি তো ?
সামিহা বেগম টেবিলে চায়ের কাপটি রেখে সাথে সাথে উঠে দাঁড়িয়ে সাইমনের কপালে হাত রাখল ।দেখলো যে না সবকিছু ঠিক আছে ।
বললো সবই তো ঠিকঠাক। সমস্যা টা কই।মনে মনে।
রিমা অবাক হয়ে শুনল সাইমনের কথা ।এমনি তে ও রিমা অবাক সারাদিন সায়মন ফোন দেয়নি ।মেসেজ দেয়নি তার উপরে নাকি পড়ছিল ! দিনের বেলা তাও ভাবা যায়?
অবাক হয়নি শুধু নওরিন আফরোজ ।নওরিন আফরোজ জানে সাইমন বুঝতে পেরেছে ওর কি করতে হবে ।এক বছরের সময় দিয়েছে তাই উনি চুপচাপ টেবিলে বসেই চা নাস্তা করছিল।Nurun Nahar Nila
সায়মন সামিহা বেগমের এ অবস্থা দেখে বললা ,”মা কি করছো ?কপালে হাত দিয়ে দেখার কি আছে ?অসুস্থ হলে তো বলতামই ।বললাম তো মা পড়ছিলাম সামনে পরীক্ষা ফাইনাল পরীক্ষা এজন্য পড়ছিলাম।”
কথাটি বলে আড় চোখে তাকালো রিমার দিকে ।রিমা কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল সাইমনের দিকে ।রিমা অবাক আজ সায়মন একটি বারও খোঁজ নেয়নি রিমার এটা যেন মানতে পারছে না ইগো হার্ট হয়েছে রিমার।
সায়মন হা হু কিছু করলো না ।চুপচাপ সোফায় বসে বা পাকোড়া হাতে নিয়ে খেতে লাগলো ।আরেক হাতে কফি মগ হাতে নিয়ে খেতে লাগলো যেন রিমা সামনে নেই ।এমনভাবে চুপচাপ নিচের দিকে তাকিয়ে খাচ্ছে ।রিমার আর সহ্য হচ্ছিল না ।কিছুই সহ্য হচ্ছিল না ।কেন হঠাৎ করে এভাবে ইগনোর করছে বুঝতে পারছে না রিমা।
নওরিন আফরোজ সবই খেয়াল করছেন। রিমার অভিব্যক্তি এমনকি সাইমনের আচরণ সবই বুঝতে পারছেন ।নরিন আফরোজ চুপ করে শুধু অবলোকন করলেন দুজনের কর্মকান্ড ।চুপচাপ নাস্তা করতে লাগলেন।
এদিকে নূরের নাস্তা বানানো শেষ ।বেলকনিতে দোলনায় বসলো কফি এবং পাকড়া নিয়ে ।নূরের খুব ভালো লাগছে আজ নিজ হাতে সাদাফের জন্য কফি আর পাকোড়া বানিয়েছে ।নিজের ভেতর কেমন বউ বউ ফিল আসছে ।নিজেকে মিসেস সাদাফ মনে হচ্ছে।নিজের সংসার মনে হচ্ছে ।খুব ভালো যাচ্ছে দুইজনের এই দুই দিনের সংসার।
সাদাফ এক দৃষ্টিতে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে নুরের দিকে ।হঠাৎ করে সাদাফ বলে উঠল ,”নূর ?”
নূর কফির মগে চুমুক দিচ্ছিল ঠিক এমন সময় ডাকায় চমকে উঠে বললো,”হুম কিছু বললেন?”
সাদাফ বললো,” হ্যাঁ কিছু বলতে চাই।”
নুর বললো,” কি?”
সাদাফ বললো,” আই লাভ ইউ নূর !তোকে আমি ভালোবাসি ,ভীষণ ভালোবাসি, হয়তো তুই কখনো কল্পনাও করতে পারবে না ঠিক এতটাই ভালবাসি ।তোর অনুমানে আসবে না ঠিক ততটাই ভালবাসি। আমি জানি এ কথাটি তুই বহু আগে থেকে শুনতে চেয়েছিস ।কিন্তু আমি বলিনি ।আজকে বলছি এখন বলছি তোকে আমি ভালোবাসি নুর ।
ভীষণ ভালোবাসি ।এই আকাশ বাতাস এই পৃথিবী আল্লাহকে সাক্ষী রেখে তোকে আমি বলছি ,আমি তোকে ভীষণ ভালোবাসি নুর ।তুই যদি আমার কাছে না থাকিস আমার থেকে দূরে কোথাও সরে যাস আমার হৃদয় স্পন্দন বন্ধ হয়ে যাবে ।ঠিক এতটাই ভালবাসি ।তুই যদি আমার চোখের সামনে না থাকিস আমার দৃষ্টিশক্তি অন্ধ হয়ে যাক ঠিক এতটাই ভালবাসি।
পাগলের মতো ভালোবাসি ।পাগলের মতো ভালোবাসা বুঝিস ?যে শুধু ভালোবাসে আর কিছু বোঝেনা ।আমিও দিন দুনিয়া সামাজিকতার লোক লজ্জা ভয় সব কিছু ত্যাগ করে তোকে শুধু ভালবাসি।”
নূরের চোখে পানি চলে এলো এইভাবে সাদাফ কখনো নিজেকে নিবেদন করেনি ।নূরের কাছে এর আগে বহুবার বুঝিয়েছে বহুবার ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ভালোবাসা বুঝিয়েছে কিন্তু এইভাবে অনুরোধের সুরে ভিক্ষা স্বরে কখনোই সাদাফ বলেনি নূরকে ভালবাসে ।
কখনোই বুঝায়নি নূর কে ছাড়া সাদাফের জীবন চলবে না ।নিঃশ্বাস থেমে যাবে । হৃদস্পন্দন থেমে যাবে ।কখনোই বুঝায়নি নূরকে ছাড়া দৃষ্টি দিয়ে পৃথিবীটা অব্দি দেখতে চায় না সাদাফ। নূর আর সহ্য করতে পারলো না ।দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলল ।কান্না করতে করতে হিচকি চলে আসলো ।হঠাৎ করে এইভাবে ভালোবাসি কথা শুনে নূর অনেক ইমোশনাল হয়ে গেল।
সাদাফ বলে উঠল ,”এই নূর পা*গল হয়েছিস তুই ?কাঁদছিস কেন ?তুই তো আমার মুখ থেকে কতবার ভালবাসি শুনতে চেয়েছিলি ?আমি তো আজকে ভালোবাসা স্বীকারোক্তি দিলাম !আজকে তোর খুশি হওয়ার কথা তুই কাঁদবি জানলে তো আমি কখনোই ভালোবাসি বলতাম না।”
সাদাফ উঠে এসে নুরের সামনে দাঁড়িয়ে নূরকে জড়িয়ে ধরল ।নূর সাদাফের কোমর জড়িয়ে পেটের মধ্যে মুখ গুঁজে দিয়ে নাক ঘষতে লাগলো ।সাদাফ নুরের এলোমেলো চুল গুলো গুছিয়ে দিতে দিতে বললো,” পা*গলি আমি যে তোকে ভালবাসি এটা জানাতে হবে না?”
বলেই সাদাফ নুরের মুখটা তুলে দুই আঙ্গুল দিয়ে নূরে চোখের পানিগুলো মুছে দিয়ে তাকিয়ে রইল নূরের চোখের দিকে ।এখনো টলমল করছে চোখের পানিতে ।তারপর বললো,” ভুল বলেছি তোর চোখে যত পানি অত ভালো হয়তো বাসতে পারিনি ।সমুদ্রের চেয়েও বেশি পানি তোর চোখে।
আমি তো শুধু এক সমুদ্রই ভালোবাসতে পারব তোকে কিন্তু তোর তো দুইটা চোখে দুইটা সমুদ্র ।এখানে আমি হেরে গেলাম ।”
বলেই নূরের দুই চোখে চু*মু খেলো সাদাফ।
চুমু খেয়ে কপালে চুমু খেলো ।গালে চুমু খেলো ।ধীরে ধীরে নেমে এলো ঠোঁটে ।ঠোঁটে ঠোঁট রাখতেই নূর খামচে ধরল সাদাফের শার্টের কলার।
দীর্ঘ সময় চুমু* খাওয়ার পর সাদাফ নুর কে ছেড়ে দিল ছেড়ে দিয়েই নূরকে সাথে সাথে কোলে তুলে নিল ।নিয়ে রুমের দিকে রওনা দিল সাদাফ।ঘোর লাগা কন্ঠে ফিসফিস করে বললো সাদাফ,” আমার কোন দোষ নেই।সব তোর চোখের পানির দোষ।”
চলবে__
সামনের পর্বে ভরপুর রোমান্স চাইলে আমার পেইজের রিভিউতে গিয়ে রিভিউ দিয়ে আসুন ।পেজের লিংক কমেন্টে দিয়ে দিব।
সুখময়যন্ত্রনাতুমি
neela_rahman
পর্ব_১৩৪
সাদাফ নুরকে নিয়ে রুমে গিয়ে বিছানার কাছে আসতেই সাদাফের মোবাইল ফোন বেজে উঠলো ।নুরকে ধীরে ধীরে বিছানায় বসিয়ে বিরক্ত হয়ে পকেট থেকে ফোন বের করে দেখলো হুমায়ূন রহমানের ফোন।
ফোনের দিকে তাকিয়ে সাদাফ ভ্রু জোড়া কুচকালো।নুর মুচকি মুচকি হাসছে সাদাফের বিরক্তি ভরা চেহারা দেখে ।সাদাফ বললো,” কোথাও নড়বি না এখানে থাকবি ।দ্বারা কথা বলে নেই ।”
বলেই ফোনটা হাতে নিয়ে বেলকনিতে চলে গেল সাদাফ।নূরের সামনে বাবার সাথে এভাবে কথা বলা যাবে না যেভাবে সাদাফ সাধারনত বলে।Nurun Nahar Nila
ফোন রিসিভ করতেই হুমায়ূন রহমান বললেন,” তোর জন্য কত কিছু করতে হচ্ছে ?মিথ্যা প্রেশারের নাটক বানিয়ে এখন শুয়ে থাকা লাগছে ।অথচ এসেছি বগুড়ায় একটু ঘুরতাম ফিরতাম তানা এখন সাতটার মধ্যে দেখ শুয়ে পড়তে হয়েছে কারণ আমি অসুস্থ।”
সাদাফ মুচকি হেসে বললো ,”তো এমন কি হয়েছে ? শুয়েই তো আছো।তোমাকে তো আর জগিং করতে বলিনি।আরামে শুয়ে আছো তাতেও সমস্যা?”
“ও আরাম করে শুয়ে আছি তাই না ?অসুস্থ রোগীর মত চুপচাপ পরে শুতে হচ্ছে ।না একটু হাঁটাচলা করতে পারছি না একটু কিছু করতে পারছি ।দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম আর তোর খুব হাসি পাচ্ছে?”বললো হুমায়ূন রহমান।
সাদাফ এবার সিরিয়াস হয়ে বললো,” আচ্ছা ঠিক আছে বাবা এবার ফোন রাখো ।আগামীকাল তো চলেই আসছো ছেলের জন্য না হয় দুইটা দিন একটু কষ্ট করলে ।কি এমন করেছ বলো শুনি? আমিও তোমার জন্য দুইদিন পরে পরে শুয়ে থাকবো ।খুশি এবার ?এবার ফোন রাখো আমার অনেক জরুরী কাজ আছে ।”
বলেই সাদাফ ফোন রেখে দিল ।ফোন রেখে মিটমিট করে হাসছে ।ওপাশে রিয়েকশন আর জানার ইচ্ছা নেই জানে এই মুহূর্তে বাবা শুধু বকাঝকা করবে ।সাদাফ মুড নষ্ট করতে চাইলো না ।ভিতরে তার নুরজাহান বেগম তার জন্য অপেক্ষা করছে দ্রুত ফোন সাইলেন্ট করে ভিতরে ঢুকলো সাদাফ।
এদিকে সন্ধ্যার নাস্তা শেষ করে আটটা নাগাদ উপরে চলে গেল সাইমন ।সাইমন উপরে যেতেই ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে হঠাৎ রুমে ঢুকলো রিমা ।সায়মন রিমা কে দেখে অবাক হয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে বললো,” তুই আমার রুমে কি করছিস কেন এসেছিস?”
রিমা অবাক হয়ে জানতে চাইলো ,”কি করছি মানে ?তুমি যখন আমার রুমে যেতে হঠাৎ হঠাৎ তখন কি কাউকে বলে যেতে ?জিজ্ঞেস করে যেতে ?তাহলে আমার কেন জিজ্ঞেস করে আসতে হবে তোমার রুমে ঢোকার জন্য?”
সায়মন চুপ করে রইলো ।সাইমন জানে রিমা মন খারাপ ।মেজাজ গরম হয়েছে ।সারাদিনও কোন খোঁজ খবর নেয়নি তাই সায়মন এদিক ওদিক তাকিয়ে বললো,” না মানে বড় আম্মু বা অন্য কেউ যদি দেখে ফেলে তাই বলেছি ।আচ্ছা বল কেমন আছিস ?কি করেছিস সারাদিন ?তুই তো চাস আমি যেন তোকে না জ্বালাই তাই আজকে জালাইনি।”
সাইমনের নরম কন্ঠে কথাগুলো শুনেই রিমার কেন যেন মন খারাপ হয়ে গেল ।কান্না কান্না পাচ্ছে রিমার অনেক কিন্তু কান্না করতে পারছে না ।মাথা নিচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। আসলেই পৃথিবীর নিয়মই এইটা প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া অবহেলা কেউ সহ্য করতে পারে না ।হোক সেটা এক মুহূর্ত বা একদিন ।রিমা ও যেন সহ্য করতে পারছে না ।যে ছেলে সারাদিন ওর পিছনে ঘুরঘুর করত সেই ছেলে সারাদিন ওর একটি খোঁজ নেয়নি এমন কি রিমা ফোন দিয়েছে সেই ফোন ব্যাক পর্যন্ত করেনি সাইমন।
সায়মন উঠে এসে রিমার সামনে দাঁড়ালো ।রিমা এখনো মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে ।এই প্রথম রিমা ঝগড়া নয় চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে ।সাইমন একটু মুচকি হাসলো ।হেসে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে রিমার থুতনি টা একটু উপরের দিকে তুলে তাকিয়ে রইল রিমার দিকে ।রিমার চোখে পানি টলমল করছে যে কোন মুহূর্তেই নিচে পড়ে যাবে।
এদিকে রুমে ঢুকেই দেখল নূর বিছানা থেকে নামবে ঠিক এমন সময় তারাহুরো করে এসে আবার নূরকে ধরে বললো,” বিছানা থেকে নামা যাবে না নুরজাহান বেগম ।আপনার সেলিম এখন প্রস্তুত ।সব ঝামেলা মিটিয়ে এসেছি ।”
বলেই পকেট থেকে ফোনটা বের করে দেখালো ফোন সাইলেন্ট করে রাখা হয়েছে ।তারপর বললো,”প্রয়োজন হলে অফ করে রাখবো।তবুও নুরজাহান বেগমকে আজকে বিছানা থেকে নামতে দেব না ।”
বলেই যেই নূরকে ধরতে যাবে অমনি নুর বলে বসলো,” সরে থাকুন বলছি ।না হলে আমি আমার বাবা দের বলে দিব। নালিশ করবে আপনার নামে।”
সাদাফ মুচকি হেসে সাথে সাথে নুরের শাড়ির আঁচল ধরে টান দিয়ে বললো,” বল তোর বাবাদেরকে কি বলবি ?সাদাফ এভাবে তোর শাড়ি খুলেছে ।”তারপর আর একটু টেনে নুরকে সামনে এনে নূরের বুকে আঙ্গুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে বললো,” কি বলবি তোর সাদাব ভাই তোকে এখানে কা*মড় দিয়েছে ?বল আর কি বলবি? আচ্ছা এটা বল গতকাল রাতে সাদাফ ভাই তোকে কিভাবে ……….আর কথা বলে শেষ করতে পারলো না সাদাফ।নুর তার আগেই কান বন্ধ করে বললো,” চুপ করুন কিছু বলব না বাবাদের চুপ করুন প্লিজ।”
সাদাফ নুরের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ দুষ্ট হাসলো ।তারপর ধীরে ধীরে নূরের কানে কাছে ঝুকে এসে বললো,” যাকে ইচ্ছা তাকে বল কোন সমস্যা নেই ।আমি আমার বউকে আদর করবো সোহাগ করবো কামড় দিব শাড়ি খুলব শাড়ি পরিয়ে দিব যা ইচ্ছা তাই করব ।দেখি কার বাবারা আমাকে আটকাতে পারে ।”বলেই নুরের গালে চুমু খেলো সাদাফ।
নূর শিহরণে সাথে সাথে চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলল ।শরীরে কোথাও যেন ঠান্ডা শীতল স্রোত বয়ে যাচ্ছে নুরের ।থর থর করে কাঁপছে নূরে দেহ মন ।সাদাফ অস্থির হল ।আরেকটু ঘনিষ্ঠ হয়ে নূরের ঠোঁটের কাছে আসতেই হালকা করে একটি চু*মু খেয়ে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বললো,”কি আছে তোর মধ্যে নূর ?তোর থেকে আমি বের হতে পারছি না ।এই নেশার ঘোর মনে হয় আমাকে জীবনে ছাড়বে না।
কেন এত আসক্ত আমি তোর প্রতি নূর বলতে পারিস?”
বলে আবারো একটি চু*মু খেলো থুতনিতে সাদাফ।নুর কোন কথাই বলতে পারছে না ।থরথর করে কাঁপছে ।চোখ দুটো বন্ধ করে আছে ।সাদাফ আবার বললো,” কেন মনে হয় এক মুহূর্ত তোকে না দেখলে যেন আমার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাবে !পৃথিবীর আলো আমার জন্য অন্ধকার হয়ে যাবে !তুই যেন শুধু আমার রক্তে না আমার রুহুর সাথে মিশে গিয়েছিস তুই ।এক মুহূর্ত তুই না থাকলে মনে হবে এই রুহু যেন আর থাকবে না উড়াল দিয়ে কোথাও চলে যাবে ।”
বলেই আরো একটু ঘনিষ্ঠ হয়ে নূরের ঠোঁটে গভীর ভাবে চুমু এঁকে দিল সাদাফ।নুর যেন নিঃশ্বাস নিতে পর্যন্ত ভুলে গেল ।খামচে ধরলো সাদাফের শার্টের কলার।
সাদাফ নুর ছেড়ে দিয়ে নুরের হাত দুটো নিজের হাতের বন্ধনে নিয়ে হাতের পৃষ্ঠে চু*মু খেতে খেতে বললো,” কালকে তো চলেই যাবি আজকে রাতটা নূর আজকে রাতটা তুই আমাকে সপে দে নিজেকে ।আমার কাছে নিজেকে সঁপে দে নুর।”
বলে নূরকে ধীরে ধীরে বিছানায় শুইয়ে দিলো সাদাফ।
চলবে__
Share On:
TAGS: নীলা রহমান, সুখময় যন্ত্রণা তুমি
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ৯৬
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৫৮
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৭২
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৭০
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ৯৫
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৭৬
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৫৩
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৫৯
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৯০
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ৪৩