সুখময়যন্ত্রনাতুমি
neeela_rahman
emotionalmanipulation
পর্ব_১২৫
নুরকে কোলে নিয়ে ধীরে ধীরে বিছানায় সুন্দর করে বসিয়ে দিল সাদাফ।বসিয়ে দিয়ে হাঁটু ভে*ঙ্গে বিছানার সামনে বসে এক দৃষ্টিতে অপলক চেয়ে রইলো নূরের দিকে।
এই দিন এইখন এই মুহূর্ত মনে মনে কত প্রতীক্ষা করেছে সাদাফ।
এই প্রথম নুরকে দেখে সাদাফের ঠোঁট বারবার শুকিয়ে যাচ্ছে ।সাদাফ জিভ দিয়ে বারবার শুষ্ক ঠোঁট জোড়া ভিজিয়ে নিচ্ছে আর শুকনো ঢোক গিলছে বারবার।
নুরের দিকে এইভাবে সাদাফ তাকিয়ে থাকার কারণে নূর যেন লজ্জায় মাথা তুলতে পারছে না ।মুখ দিয়ে একটি কথা ও বলতে পারছে না নূর। নীলা রহমান
সাদাফ এক হাত বাড়িয়ে ধীরে ধীরে নূরের ডান হাতটি নিজের হাতে নিল ।সাদাফের হাতের তালু ঘেমে উঠেছে।
নূরের হাত নিয়ে ধীরে ধীরে হাত টি সাদাফ নিজের গালের কাছে এনে নূরের উষ্ণ গরম হাত গালে ছোঁয়ালো ।তারপর ধীরে ধীরে হাতের পৃষ্ঠে একটু চু*মু খেয়ে গভীরভাবে বেলি ফুলের নিঃশ্বাস নিলো হাত থেকে।
নুর সাথে সাথে চোখ জোড়া বন্ধ করে ফেলল ।ঠোট দুটো অস্বাভাবিকভাবে তির তির করে কাঁপছে নূরের।সাদাফ নুরের দিকে তাকিয়ে বার বার শুকনো ঢোক গিলছে ।নূরের দিকে তাকিয়ে কেন এমন হচ্ছে সাদাফ বুঝতে পারছে না।
এমন তো নয় নুরকে প্রথমবার স্পর্শ করতে সাদাফ এর আগেও নূরকে ছুঁয়েছে জড়িয়ে ধরেছে চু*মু খেয়েছে ।কিন্তু আজকে কেন যেন সবকিছু অদ্ভুত এবং অবাক মনে হচ্ছে সাদাফ এর কাছে।
সাদাফ নুরের হাত ধরে থাকায় নুরের শরীরের কম্পন স্পস্ট অনুভব করছে।সাদাফ উঠে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে বিছানায় নুরের কাছে এসে বসলো। কিছকিছুক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো। ধীরে ধীরে নুরের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললো,” এই প্রথম আমার ভয় লাগছে নুর।হয়তো তোর চেয়েও বেশি।
নুর চোখ তুলে তাকালো সাদাফের দিকে।সাদাফ মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে নুরের দিকে।নুর কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো,” পানি খাবেন?”
সাদাফ,” না সুচক মাথা নাড়ল।”বললো,”না।এই তৃষ্ণা পানিতে মিটবে না।আমার শুষ্ক ঠোঁট আজ অন্য কিছু চায় নুর।তোর ইষৎ উষ্ণ আলিঙ্গন, তোর কম্পমান ঠোঁট জোড়ার স্পর্শ।
তোর হৃদয় নিংড়ানো ভালো বাসা তোর কোমল শরীরের উষ্ণতা, তোর বুকে চুমু খাওয়ায় অনুভূতি তোর মাঝে ডুবে যাওয়ার স্বাদ পেতে চায় নুর।দিবি? বিনিময়ে একটু সুখময় যন্ত্রনা দিবো তোকে।আমার সব টুকু ভালোবাসা উজার করে দিবো।নিবি না?”
নুরের বুকের মধ্যে তোলপাড় শুরু হলো সাদাফের কথা গুলো শুনে।
জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে নুর।বুকের উঠানামা ললক্ষ্য করছে সাদাফ।নুর কিছুই বলার সুযোগ না দিয়ে আকড়ে ধরলো নুরের উষ্ণ ঠোঁট জোড়া।নুর সাথে সাথেই চোখ জোড়া বন্ধ করে ফেললো।বাড়তে লাগলো সাদাফের চুমুর প্রখরতা।নুর পারছে না নিজেকে সামলে নিতে। খাঁমচে ধরলো সাদাফের শার্টের কলার।
এদিকে বাইরে হঠাৎ শুরু হলো ঝড় হাওয়া।যেনো সব ভেঙ্গে চুরে শান্ত হতে চাইছে।সাদাফ ছাড়লো নুর কে।নুর হাপিয়ে উঠেছে।সাদাফ এবার পাগলের মতো নুরের গালে কপালে থুতনি তে চুমু খেতে লাগলো।নুর দুহাতে জড়িয়ে ধরলো সাদাফের গলায়।
সাদাফ ধীরে ধীরে নুরের শাড়ীর আঁচলে হাত রাখলো। সাথে সাথেই নুর ধরে ফেললো সাদাফের হাত।সাদাফ তাকালো নুরের দিকে।ঘোর লাগা কন্ঠে ফিসফিস করে বললো,” হাত সরা।আজ কোন বাধা মানবো না।”
নুর বুঝতে পারলো সাদাফ আজ মানবে না তাই ধীরে ধীরে হাত আলগা করলো নুর।সাদাফ নুরের ঠোঁটে ঠোঁট দিয়ে আকড়ে ধরলো আবার।নুর চোখ বুজে ফেললো।ধীরে ধীরে সরিয়ে ফেললো নুরের বুকের আঁচল।নুর শরীর ধীরে ধীরে এলিয়ে দিলো বিছানায়।
যেনো শরীরের ভার আর বইতে পারছে না নুর।সাদাফ নুর কে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে গায়ের শার্ট খুলতে লাগলো।নুর দুহাতে নিজের মুখ ঢেকে ফেললো।সাদাফ শার্ট টি খুলে ছুড়ে ফেললো দুরে কোথাও।
চলবে__
Neela Rahman
সুখময়যন্ত্রনাতুমি
neela_rahman
পর্ব_১২৬+১২৭
নওরিন আফরোজ দেখল রাত দশটা বেজে গেছে ।সাদাফ তাহলে হয়তো আজ আর নুরকে বাসায় দিবে না বুঝতে পারছে ।ছেলে যেহেতু ছেলের বউকে নিয়ে গেছে এখন ফোন দেওয়াটাও ঠিক হবে না।
সামিহা বেগম রান্নাঘর থেকেই সবকিছু গোছগাছ করতে করতে বললেন,”ভাবি সাদাফ কখন দিয়ে যাবে নূরকে?”
নওরিন আফরোজ কি জবাব দিবে জানে না ।আমতা আমতা করতে করতে বললেন,”কি জানি আমার সাথে তো কথা হয়নি দিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ।এমনও হতে পারে রাত হয়ে গেলে নাও আসতে পারে ।তুই কি কিছু মনে করবি?”
সামিহা বেগম অবাক হয়ে তাকালো নওরিন আফরোজের দিকে ।তারপর একটু কাছে এসে ধীরে ধীরে বললেন,” ভাবি আজকে ওরা আসবে না তাই না?”
নরিন আফরোজ তাকালেন সামিহা বেগমের দিকে ।তারপর বললেন ,”ওদের নতুন নতুন বিয়ে হয়েছে যদি বাসায় রেখে দিতে চায় তুই কি কিছু মনে করবি?
বুঝতে পারছিস নতুন বিয়ে হয়েছে নতুন বাড়ি নিয়েছে। ওদের স্বামী স্ত্রীর ব্যাপার এখন ফোন করে আমি আসতে বলবো বা কিছু বলব এটা কি ঠিক দেখায়?
যদি ১১ঃ০০ টার মধ্যে না দিয়ে যায় তাহলে বুঝবো দিয়ে যাবে না ।কিন্তু আমি ফোন করতে পারব না আজকে ।আমার সংকোচ হচ্ছে মা হয়ে কিভাবে ছেলেকে ফোন করবো?”
সামিয়া বেগম বললেন ,”ঠিক আছে ফোন দিতে হবে না ।দেখি ১১ টা পর্যন্ত যদি চলে আসে আসবে আর না হলে আর ফোন দিও না ।এখন মেয়ের বিয়ে হয়েছে ছেলেরও বিয়ে হয়েছে আমাদেরও মেনে নিতে হবে দুজনের অনেক ব্যক্তিগত কথা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা থাকতে পারে ।আমরা সেখানে হস্তক্ষেপ করতে চাই না ।আর তাছাড়া ওদের বাবারাও বাসায় নেই তাই সমস্যা নেই।”
এদিকে ফজলুর রহমান হুমাব রহমান এখনো গাড়িতে বসে আছে ।হঠাৎ করে ফজলুর রহমান বলে উঠলো ,”ভাইজান যদি আমার মেয়েটা কখনো বাচ্চা না হয় আপনি ওকে তো মেনে নিবেন তাই না কোন সমস্যা নেই?”
হুমায়ূন রহমান অবাক হয়ে তাকালো ফজলুর রহমানের দিকে। বললেন,” তুই কি পা*গল হয়ে গেছিস ?ও আমার মেয়ে ।ওকে আমি মেনে নিব না কেন ?”
ফজলুর রহমান বললেন ,”মেয়ে হিসেবে না ছেলের বউ হিসেবে। জেনেশুনে যে নূর মা হতে না পারলে সাদাফ কোনদিন বাবা হতে পারবেনা ।কখনো আপনারা নাতি নাতনীর মুখ দেখতে পারবেন না ।আপনাদেরকে একটু আফসোস হবে না কষ্ট হবে না?”
হুমায়ূণ রহমানের চোখ দুটো ছলছল হয়ে গেল । বললেন,”কষ্ট হবে ভীষণ কষ্ট হবে ।এটা ভেবে না যে আমার নাতি হবে না নাতনী হবে না ।এটা ভেবে হবে আমার নূর মা হতে পারবেনা আমার সাদাফ বাবা হতে পারবেনা ।ওদের জন্য কষ্ট হবে ।কিন্তু এখানে তো আমাদের কোন স্বার্থ নেই?ভুলেও এটা ভাবিস না যে নুর মা হতে পারবেনা তার জন্য আমি বা সাদা কেউ লুকিয়ে অবহেলা করব ।আমার ছেলেকে আমি চিনি ।সাদাফ কখনো নুরকে অবহেলা করবে না ।সাদাফ যদি জানতে পারে এই কথা ও নুরকে কোনদিনও বাচ্চার জন্য বলবেই না।
ফজলুর রহমান তাকিয়ে রইলেন হুমায়ূন রহমানের দিকে ।মনে মনে প্রার্থনা করলেন বগুড়া থেকে যেয়েই সাদাফের সাথে কথা বলবে ।যদি সত্যি এরকম হয় সাদাফ খুশি খুশি মেনে নেয় তাহলে ধুমধাম করে নূরের হাত সাদাফের হাতে তুলে দিবে।
কিন্তু সাদাফকে না জানিয়ে বা কথা না বলে নয় ।কারণ বাবা মা হতে পারবেনা এটা অনেক বড় একটা বিষয় ।এটা জানার অধিকার সাদাফের রয়েছে।
এদিকে গায়ের শার্টটা খুলে ছুড়ে মারল কোন একদিকে সেদিকে খেয়াল নেই সাদাফের ।নুর সাথে সাথে দুই হাত দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে ফেললো ।লজ্জায় আর তাকাতে পারছে না সাদাফের দিকে ।ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছে নুর ।এদিকে বুকের আঁচল ফেলে দিয়েছে সাদাফ। নূরের বুকের উঠা নামা ঘন ঘন শ্বাস নেওয়ার কারণে আরো মা*তাল করে তুলছে সাদাফ কে ।সাদাফ যেনো আর এই দুরত্ব সহ্য করতে পারছে না।
নূরের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললো,” তোর শরীরের এই কম্পন বুকের এই উঠানামা আমাকে উন্মাদ করে তুলছে নূর ।আমাকে মাতাল করে তুলছে ।আমি এই নেশার ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারছি না।
আজ নিজেকে আমার কাছে সঁপে দেয় নূর।তোর স্বামী নিজের অধিকার চায় আজ।”
কথাগুলো বলেই বেলি ফুলের মালা পরিহিত নূরের হাত দুটো নিজের হাতে নিয়ে সাদাফ পাগলের মত চুমু খেতে লাগলো নুরের হাতে।
নুরকে আর সামলাবার সময় দিলো না সাদাফ ।সাথে সাথে হাত ছেড়ে নুরের ঠোঁট আঁকড়ে ধরল সাদাফ নিজের উষ্ণ গরম ঠোঁট দিয়ে।
ধীরে ধীরে সাদাফের হাতের বেপরোয়া স্পর্শ চলে গেল নূরের বুক অব্দি ।নুর কেঁপে উঠল ।সাদাফ কে জড়িয়ে ধরল সাথে সাথে।
সাদাফ যেন আরো উন্মাদের ন্যায় নূরকে নিজের গায়ের সাথে চেপে ধরল ।এদিকে বাড়ল সাদাফের হাতে বেপরোয়া স্পর্শ।চু*মুর গভীরতা বাড়তে লাগলো । নিঃশ্বাস থেকে থেকে ভারি হতে লাগলো সাদাফের।নুর সহ্য করতে পারছে না সাদাফের বেপরোয়া চুমুর গভীরতা।
সাদাফের হাত দুটো দিয়ে নূরের গলার মালাটা ধীরে ধীরে ছিড়ে ফেলল। সম্পুর্ন বিছানায় বেলী ফুলের ছড়াছড়ি। সন্ধ্যায় সম্পুর্ন রুম নিজ হাতে সাজিয়ে দিয়ে গেছে সোহান ও সাবা রাত। গোলাপের এ বেলী ফুলের সুগন্ধে পুরো রুম মুহু মুহু করছে।
তারপর ধীরে ধীরে সাদাফের হাত দুটো নামলো নূরে ব্লাউজের হুকে।নুর হাত থামাতে চাইলো কিন্তু পেরে উঠলো না সাদাফের শক্তির কাছে।নুর শাড়ীর আঁচল পুনরায় বুকে টেনে নিলো।সাদাফ নুরের ঠোঁট ছেড়ে তাকালো নুরের দিকে।ঘোর লাগা কন্ঠে ফিসফিস করে বললো,” কেনো নিজেকে ঢাকার বৃথা চেষ্টা করছিল? আজ তোর আমার মধ্যে বিন্দু মাত্র সুতার আবরন ও থাকবে না।”
বলেই নুরের শাড়ীর কুচি ধরে টান দিয়ে এক ঝটকায় খুলে ফেললো শাড়ী।
নুর লজ্জায় শিহরনে ভয়ে চিৎকার করে উঠলো।সাদাফ বললো,”যত লজ্জা পাস পা যতটা চিৎকার করতে হয় কর। কিন্তু আজ আমার তোকে চাই নুর । সম্পুর্ন তোকে চাই। মাঝখানে কোন কিছুর আবরন চাইনা।কোন পর্দা চাইনা।”
বলেই নুরের পায়ে চুমু খেলো সাদাফ।নুর মুখ সম্পুর্ন ঢেকে রেখেছে। পারছে না। খুলতে। কিছু বলতে । শুধু ঠক ঠক করে পায়ের হাটু জোড়া কাপতে লাগলো।সাদাফ তাকালো নুরের দিকে।বললো,” তোর লজ্জা তোর কম্পন আমাকে তোর দিকে উন্মাদের মতো টানছে নুর।আজ আমাকে উ*ন্মাদ হতে দে।আজ আমাকে তোর সুখময় যন্ত্রনা হতে দে।”
বলেই নুরের মধ্যে মত্ত হল সাদাফ।নুরের গলায় বুকে চুমু খাচ্ছে সাদাফ।সারা রুম জুড়ে শুধুই দুজন মানবীর নিঃশ্বাসের গভীর শব্দ।নুর কে আর এক মুহুর্ত সময় না দিয়ে নুরের শাড়ীটি ফেলে দিলো সাদাফ।নুর কে মিশিয়ে নিলো নিজের বুকের মধ্যে। মিশিয়ে দিলো ঠোটে ঠোট।নুর ও সাদাফের চুল খা*মচে ধরলো।
চলবে_
সুখময়যন্ত্রনাতুমি
lovestory
neela_rahman
পর্ব ১২৭
ভয় পাচ্ছিস নুর ?কম্পমান শরীরের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল সাদাফ ।নূর কাঁপতে থাকা ঠোঁট গুলো দিয়ে ধীরে ধীরে বলল হুম।
বলল ভয় পাস না ।একটু কষ্ট হবে কিন্তু সয়ে নিস প্লিজ আমার সো*না।
বলে নূরের গালে কপালে গলায় অজস্র চুমু একে দিতে লাগলো সাদাফ ।নূর যেন অধৈর্য হয়ে গেল সাদাফের আগ্রাসী আ*দরে।
নুর মৃদ চিৎকার করে উঠে সাদাফের ঘাড়ে চুলে আঁকড়ে ধরল ।সাদাফ যেন আরো সায় পেল আরো উন্মাদ হতে লাগলো ।মত্ত হতে লাগলো নুরের মাঝে।
ধীরে ধীরে সাদাফ চোখ তুলে নুরের দিকে চাইল ।তারপরে বললো,”একটু কষ্ট হবে সোনা পাখি আমার প্লিজ সহ্য করে নিস ।”
বলেই নূর কিছু বলবে তার আগে নুরের ঠোঁট আঁকড়ে ধরল সাদাফ নিজের গরম উষ্ণ ঠোট দ্বারা ।নুর আর কিছুই বলতে পারল না কিছুই করতে পারল না ।খামচে ধরলো সাদাফের ঘাড়ের চুল ।সাদাফ নূরের মাঝে ডুবতে লাগলো।নূরের চোখ দিয়ে যেন বেয়ে পড়লো দু এক ফোঁটা অশ্রু। ব্যাথায় যন্ত্রনায় যেন কুকড়ে গেলো নুর।সাদাফ থামলো না।নিজের করে নিতে লাগলো নুর কে। বন্ধ রুমে শুধু দুজন মানুষের চাপা নিঃশ্বাসের শব্দ সাথে নুরে মৃদ আ*র্তনাদে রুম ভারী হয়ে উঠলো।
সাদাফ নিজের করে নিলো নুর কে ।
দীর্ঘ সময় পর ক্লান্ত সাদাফ শুয়ে পড়ল নূরের বুকের মধ্যেই।
নূর ধীরে ধীরে সাদাফ কে দেখতে দেখতে মাথার এলোমেলো চুল গুলো হাত বুলিয়ে দিতে দিতে কখন ঘুমিয়ে গেছে বলতে পারবে না ।
ঠিক বারোটার দিকে ফোনের আওয়াজে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল সাদাফের। চোখ খুলে নিজেকে আবিষ্কার করলো নূরের বুকের মধ্যে শুয়ে আছে ।নুর সাদাফের মাথাটা বুকের সাথে আঁকড়ে ধরে রেখেছে যেন সাদাফ কোথাও পালিয়ে যাবে।
মাথাটা তুলে তাকালো নুরের দিকে
নূরের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে মুচকি হেসে নুরকে বুক অব্দি চাদর দিয়ে ঢেকে দিল ।গায়ে কিছুই ছিলো না নুরের।তারপর ফোনটি হাতে নিয়ে সাথে সাথে নিয়ে তাকিয়ে দেখল হুমায়ন রহমানের ফোন ।তাড়াতাড়ি ফোনটি সাইলেন্ট ধরলো সাদাফ। ট্রাউজার টা ঠিক করে পরেই ফোন রিসিভ করে বিছানা থেকে নেমে গেল সাদাফ।
ফোন রিসিভ করার সাথে সাথে হুমায়ন রহমান বলে উঠলেন,” কিরে নুর কোথায় ?সত্যি করে বল নুর কি তোর বাসায় কিনা ?”
সাদীফ মুচকি হাসল ।চোখের দৃষ্টি এখনো নুরের দিকে আবদ্ধ ।নূরের দিকে তাকিয়ে থেকে বললো,” জানো যখন তাহলে জিজ্ঞেস করছ কেন ?ছেলেকে এসব কথা জিজ্ঞেস করতে লজ্জা লাগে না কেমন বাবা তুমি?”
“আমি কেমন বাবা সেটা রাখ তোকে কিন্তু বারবার আমি বলেছি নুর এখনো ছোট অসুস্থ আর তাছাড়া ফজলুর এখনো কিন্তু মেনে নেয়নি সম্পর্কটা।”বললো হুমায়ূন রহমান।
সাদাফ বললো ,”দেখো তোমার ভাইয়ের কথা বলবে না।যেখানে স্বামী স্ত্রী মেনে নিয়েছে সেখানে শ্বশুর আব্বা না মানলে কিছু করার নেই ।একবারে নাতী নাতনী কোলে নিয়ে বলবো তারপরে ঠিকই মেনে নিবে।”
হুমায়ুন রহমান অবাক হয়ে গেলেন ।সাথে চমকে উঠলেন ছেলের শেষের কথাটি শুনে ।কি বুঝাতে চাইলো সাদাফ ?তার মানে কি ,,,,,,,,,তবে সাদাফের কি বাচ্চা এতই পছন্দ? যদি সাদাফ শুনতে পারে নুর হয়তো সম্ভাবনা আছে মা হতে পারবেনা সাদাফের তখন কি রিঅ্যাকশন হবে ?মেনে নিবে সেটা জানে হুমায়ন রহমান কিন্তু সাদাফের কি খুব মন খারাপ হবে ?”মনে মনে ভাবতে লাগলো হুমায়ুন রহমান।
এদিকে সাদাফ ফোন কে*টে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নূরের দিকে ।নুর শুধু একটি চাদর পেচিয়ে সুন্দর করে ঘুমিয়ে আছে ।সাদাফের দেখে বড্ড লোভ হচ্ছে। বড্ড লোভ ভীষণ লোভ ।সাদাফ ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল নূরের কাছে।
নুরের ও যেন হঠাৎ করে কিভাবে ঘুম ভে*ঙে গেল ।হঠাৎ করে তাকিয়ে দেখল সাদাফ ঘোর লাগা দৃষ্টিতে নূরের শিওরের কাছে দাঁড়িয়ে আছে ।তাকিয়ে আছে নূরের দিকে।
নূর ভয় পেল ।চমকে উঠলো ।শুকনো ঢোক গিললো।”এখানে দাঁড়িয়ে আছেন কেন কিছু বলবেন ?”কাপা কাঁপা কন্ঠে কথাগুলো বলল নূর ।কারণ ব্যথায় জর্জরিত হয়ে আছে পুরো শরীর।
সাদাফ দুষ্টু হাসি রেখা টেনে বললো,”কিছু বলবো না ।আদর করবো ।আমার নুরজাহান বেগমকে আমি আবার আদর করতে চাই ।”বলেই নূরের উপর নিজের শরীর এলিয়ে দিল বিছানায় ।নুর বললো,” ছাড়ুন। কি করছেন ছাড়ুন আমাকে বলছি ।”
সাদাফ বললো,”না আরেকবার প্লিজ।”
নুর বললো ,”আমার সারা শরীরে ব্যাথা। প্লিজ না।”
সাদাফ বললো,” এই ব্যাথা একটু পর থাকবে না সোনা মনি প্লিজ সোনা।একবার প্লিজ।” বলেই আবারো নুর কে নিজের করে নিতে লাগলো সাদাফ।
রাত বাজে তিনটা সাদাফ বসে আছে ।নুরকে খাওয়াচ্ছে ।অনেক ক্ষুধা লেগেছিল নুরের আর সাদাফের ও।সাদাফ মিষ্টি হেসে নুরের দিকে তাকিয়ে বললো,” দেখলি কেন খাবার এনেছিলাম কারণ আমি জানতাম রাতে ক্ষুধা লাগবে । পরিশ্রম বেশী করলে ক্ষুধা তো লাগবেই।তাই আগে থেকে খাবার নিয়ে এসেছি ।এখন লক্ষী মেয়ের মত খাবার গুলো খেয়ে ওষুধগুলো খাবি।
ব্যথা থাকবে না সব চলে যাবে ।”বলেই পানি আনতে গেল সাদাফ।ওষুধ গুলো দিয়ে গেল নূরের হাতে।
দুই মিনিটের মধ্যেই পানি নিয়ে এসে দেখলো ওষুধ নিয়ে এখনো বসে আছে নুর ।পানি দিয়ে হাতে বললো,” তাড়াতাড়ি ওষুধটা খেয়ে নে সো*না ।আমি একটু ওয়াশরুম থেকে আসছি ।”
বলেই সাদা চলে গেল ওয়াশরুমে।ওষুধ হাতে নিয়ে বসে রইল নূর।
চলবে_
Share On:
TAGS: নীলা রহমান, সুখময় যন্ত্রণা তুমি
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৩৫+৩৬
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ১০১+১০২
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ১১১+১১২
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৭৩
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২৫+২৬
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৭১
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৬৫
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৫৩
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ১৫+১৬
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২