নীভৃতেপ্রেমআমার_নীলাঞ্জনা
নাজনীননেছানাবিলা
পর্ব_৭
অনুমতি ব্যতীত কপি করা নিষেধ ❌❌❌❌❌❌
বিঃদ্রঃ সবাই অবশ্যই নিচের দেওয়া নোট করবেন ⤵️⤵️⤵️
খাওয়ার টেবিলে বসে আছে বাড়ির সকলে।কেবল বাড়ির মহিলারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাবার পরিবেশন করছেন।নীলা, ইবাদ এবং আবিরের মাঝখানে বসেছে। এবং তাদের সামনেই বসেছে ইরফান ও আরশি। তাদের পাশে তার বাবা, চাচারাও আছে সেখানে। ইরফান খেতে খেতে বলে উঠলো _
নীলা তোর তো বয়স কম হয়নি এখন বিয়ে করে ফেলা উচিত।
ইরফানের কথা শুনে উপস্থিত সবাই ইরফানের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকালো।কেবল আরশি এবং নীলা বাদে। ইরফান ও আরশি নীলার দিকে তাকিয়ে আছে।তারা নীলার মতিগতি বোঝার চেষ্টা করছে।আর নীলা নিজের মতো খাবার খাচ্ছে কারোর দিকে তাকানোর প্রয়োজন বোধ করছে না সে। ইরফান নীলার এমন ঠান্ডা আচরণ দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো।সে আবার বলে উঠলো _
দিন দিন বড় হয়ে যাচ্ছিস আর কত বাপ চাচার ঘারে বসে খাবি?
ইরফানের এমন কথা শুনে আরশি হাসলেও ইমরান মির্জা এবং তার স্ত্রী দুজনেই একসাথে হুংকার দিয়ে উঠলো।
ইরফান!!!
ইরফান কিছুটা দমে গেল। এমন সময় নীলা বলে উঠলো__
আহা বড় আব্বু ও বড় আম্মু এত চিৎকার করো না তোমরা অসুস্থ হয়ে পড়বে।
তারপর নীলা ইরফানের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বলতে লাগলো_
ওমা! বিয়ের পর দেখছি তোমার স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে। ডিড ইউ ফরগেট দ্যাট ইরফান ভাইয়া যে, তুমি বিজনেসে হাত লাগিয়েছো মাত্র কিছু মাস। কিন্তু আমার বয়স যখন ১৬ ছিল তখন দেখি আমি বাবার সাথে অফিসে যেতাম। এবং বয়স যখন ১৮ হয় তখন থেকেই বাবার সাথে বিজনেসের কাজের হাত লাগাই। সেই হিসেবে সেখানে আমারও অবদান রয়েছে। বিজনেসে হাত লাগানোর আগ পর্যন্ত তো তুমি নিজের বাবা চাচাদের ঘাড়ে বসে বসে খেয়েছো। এমন কি নির্লজ্জের মত তোমার ছোট বোন অর্থাৎ আমার কাছ থেকেও টাকা নিতে দ্বিধা দ্বন্দ্ব করোনি। এখন এই কথা কোন মুখে বলছো? তুমি কি ভাবছো তোমার কথা শুনে আমি ভেঙ্গে পড়বো? তোমার মতন নির্লজ্জ মানুষের কথা শুনব আমি? তোমার সাথে যে এক খাবার টেবিলে বসে আমি খাচ্ছি এটা তোমার কপাল।
নীলার কথা শুনে ইরফান স্তব্ধ হয়ে গেল। পদে পদে নীলা তাকে এত অপমান করছে এ যেন তার সহ্য হচ্ছে না। সে খাবারে প্লেট ধরে মাটিতে ছুড়ে ফেলল। কাঁচের প্লেট থাকায় সঙ্গে সঙ্গে প্লেট ভেঙে গেল শব্দ করে। সবাই খাবার টেবিলে বসার থেকে উঠে পড়ল কেবল নীলা বসে রইল। ইরফান নীলার দিকে রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল_
যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা? ফেরত দিয়ে দিবো তর টাকা।বল কত টাকা দিয়েছিস।
উপস্থিত সবাই তাকিয়ে আছে ইরফানের দিকে। কতটা নির্লজ্জ হলে এমন কথা বলতে পারে তা ইরফান কে দেখেই বোঝা যায়। ইমরান মির্জার ইচ্ছে করছে ছেলের গালে ঠাস করে চড় বসিয়ে দিতে। কিন্তু তিনি নীলার প্রতিবাদ দেখতে চান বলে নিশ্চুপ আছেন এখনো।আবির এবং ইবাদ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ইরফানের দিকে। বরাবরই ইরফান আলাদ ছিল সবার থেকে কিন্তু এতটা ছোট মনে হবে তা কারোর কল্পনায় ছিল না।
নীলা হাসতে হাসতে বলল __
দান করে কি কেউ হিসাব রাখে সে কত টাকা দান করেছে? আর না কেউ দান বক্স খুলে আবার টাকা নেওয়ার জন্য উঠে পরে লাগে? আমি তোমার মতোন এত নিচু মনের অধিকারী না ইরফান ভাইয়া। তোমার মাঝে আদৌও মির্জা বংশের রক্ত আছে তো? না মানে হাব ভাবে বোঝা যায় না এবং কেমন জানি ছোট লোকেদের গন্ধ আসে।
ইরফানের মুখ চুপসে গেল।ইবাদ শব্দ করে হেসে উঠলো। আবিরেরও হাসি পেল বটে কিন্তু বড় হিসেবে এখন তার হাসা মানায় না তাই ঠোঁট কামড়ে হাসি চেপে রাখলো।
আরশি চিৎকার করে বলে উঠলো _
নীলা এইসব কি হচ্ছে? ছোটদের সামনে কি বলছিস তুই? কখন কোনো কথা বলতে হয় তা তুই জানিস না? আর ইরফান তো তোর ভালোর জন্যই বলেছে।বিয়ে তো করতেই হবে। বিয়ে না করে কি এখানেই পরে থাকবি।
এমন সময় ইমরান মির্জা বলে উঠলেন _
বাড়ির বউ বাড়ির বউয়ের মতোনই থাকো।যেদিন বাড়ির মেয়ে হতে পারবে সেদিন না হয় বাড়ির মেয়েকে কিছু বলার অধিকার দেখিও।এখন নিজের সীমা অতিক্রম করার সাহস দেখিও না হিতে বিপরীত হতে পারে মেয়ে।
শশুরের শান্ত হুমকিতে আরশি দমে গেল।মাথা নিচু করে ফেলল। নীলার এতক্ষণে খাবার খাওয়া শেষ।সে খাবারের প্লেট বেসিংএ নিয়ে ধুয়ে আবার খাবার টেবিলে ফেরত এলো।
তারপর বলতে শুরু করল __
আমি প্যারিসে এপ্লাই করেছিলাম AUP তে ৮০% পার্সেন্ট স্কলারশিপে চান্স পেয়েছি তাও অর্থনীতি বিভাগে।
নীলার বলা কথাটা যেন ড্রয়িং রুমে বোমা ফাটালো।সবাই অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে রইল নীলার দিকে। কারণ ইরফান নিষেধ করাতে নীলা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে স্টাডির জন্য অ্যাব্রড যাবে না। কিন্তু তার পরিবারের বড়রা চাইতো নীলা যাক।এখন নীলা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে শুনে সবার মুখেই হাসি ফুটে উঠল। কিন্তু খুশি হলো না কেবল দুজন।আরশি এবং ইরফান।আরশির মুখে ঈর্ষার ছাপ ফুটে উঠল কিন্তু ইরফানের মুখে ভয়ের ছাপ। হয়তো তার করা কোনো কুকাজ আছে।
সে মনে মনে বলল _
না না নীলা কিছুতেই যেতে পারে না।আর প্যারিস তো একেবারেই না।তার ওপর AUP তে তাহলে সব ফাঁস হয়ে যাবে।এত কষ্টে গড়ে তোলা সাম্রাজ্য আমি নিমিষেই শেষ হতে দিতে পারি না।নীলা খুবই ধূর্ত মেয়ে সে সেখান গেলে সব সত্য জানতে তার সময় লাগবে না।তার ওপর সেখানে আগে থেকেই আত পেতে বসে আছে একজন হৃদয়হীন মানুষ।সে আমার কাছে পৌঁছানো জন্য সব কিছু করতে পারে।আর যদি কেউ তার একদম নাগালে চলে যায় তাহলে তো আমি শেষ।যে করেই হোক নীলা প্যারিসে যাওয়া তাকে আটকাতেই হবে।
সবাই যখন নীলা কে কংগ্রেস করছিল এবং কবে যাবে তা নিয়ে কথা বলছিল তখনই ইরফান বলে উঠলো __
এইসব প্যারিস যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।৮০% পেয়েছিস কিন্তু বাকি ২০% তো বাড়ি থেকেই দিতে হবে।তোর পেছনে এত টাকা খরচ করার প্রয়োজন বোধ করি না।তাই কোনো দরকার নেই।
ইরফানের এমন কথা শুনে নিলয় মির্জা আর চুপ থাকতে পারলেন না। তিনি গম্ভীর কন্ঠে বললেন __
আমায় যথেষ্ট অর্থ সম্পদ আছে তাই আমার মেয়ে কে আমি সম্পূর্ণ টাকা দিয়েও প্যারিসে পড়ানোর ক্ষমতা রাখি তাই এই বিষয়ে তোমার না ভাবলেও চলবে।আমার কাছে আমার মেয়ের স্বপ্ন আগে।আর রইলো বাকি বিয়ে দেওয়ার কথা তাহলে সবে তো মেয়ের বসয় ২১ নিজের পায়ে দাঁড়াক তারপর অনেক ভালো, কর্মজীবী এবং মেধাবী পাত্র দেখে বিয়ে দিব।
গুণ গুলো বলার সময় নিলয় মির্জা কন্ঠের গাম্ভীর্য গভীর করলেন। মূলত তিনি ইরফান কে খোঁচা দিয়ে বললেন কথা গুলো কারণ ইরফানের মাঝে এগুলোর কোনোটাই নেই। ইরফানের মাথা হেড হয়ে গেল। কিন্তু সে আর যাই হোক নীলা কে প্যারিস যেতে দিবে না। ইরফান এইবার নীলার দিকে তাকিয়ে অসহায় স্বরে নীলা কে ম্যানিপুলেট করার জন্য বলতে শুরু করল_
তুই না আমকে কথা দিয়েছিলি তুই যদি আমাকে সত্যিকারের ভালোবেসে থাকিস এবং সত্যি আমাকে বিয়ে করতে কথাটি বলেই ইরফান থেমে গেল।
এবং বাকিরা নির্বাক হয়ে গেল ইরফানের এমন কথা শুনে।
ইরফান আবার বলতে শুরু করল _
তাহলে তুই,,তুই,তুই কখনোই বিদেশে পড়াশোনার জন্য যাবি না।তাহলে কোই গেল সেই নীলা মির্জার কথা? তাহলে কি নীলা মির্জার কথার কোনো দাম নেই? তুই না বলতি মির্জা পরিবারের সদস্যরা কখনো কথা দিয়ে কথার খেলাপ করে না। তাহলে তোর মাঝে কি মির্জা পরিবারের রক্ত চলাচল করছে না?
ইরফানের এমন নির্লজ্জ মার্কা বক্তব্য শুনে সবাই অবাক কারোরই বিশ্বাস হচ্ছে না মির্জা পরিবারের বড় ছেলে এমন নির্লজ্জ হতে পারে। নীলার মোটেও অবাক হয়নি কারণ যেই পুরুষকে সে নিজের সবটা দিয়ে ভালবেসেছিল সেই পুরুষ যদি তাকে ঠকাতে পারে তাহলে সেই পুরুষের দ্বারা সবকিছু সম্ভব। আর ইরফান? সে নিজের এক দোষ ঢাকতে গিয়ে আরো হাজার দোষ করতেও রাজি তাই এখন সে নিজের মধ্যে নেই। মুখ দিয়ে যা আসছে তাই বলছে।
নীলা ঠোঁটে বাঁকা হাসি বজায় রেখে বলতে শুরু করল_
আমি এখনো বলবো মির্জা পরিবারের সদস্যরা কখনো কথা দিয়ে কথার খেলাপ করেনা। আর আমি তোমাকে কথা দিয়েছিলাম যে আমি যদি তোমাকে সত্যিকারের ভালোবেসে থাকি এবং সত্যি তোমাকে বিয়ে করতে চাই তাহলে আমি কখনোই বিদেশে পড়াশোনার জন্য যাবো না। কিন্তু বিয়ের কথা তো এখন বাদই আমি তো তোমাকে ভালোওবাসি না। সেই ক্ষেত্রে এ কথা রাখার মানেই নেই। তাই এখন যদি আমি বিদেশে পড়াশোনার জন্য যাই এটা কথার খেলাপ হবে না।
নীলার মুখ থেকে বের হওয়ার কথাগুলো ইরফানের বুকে তীরের মত গিয়ে বাধলো। সে কখনোই ভাবতে পারেনি নীলা তার চোখে চোখ রেখে বলবে যে সে তাকে ভালোবাসে না। এত সহজেই নীলা কি করে বলে দিল যে আর তাকে ভালোবাসে না। ইরফান আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না খাবার টেবিল থেকে উঠে নিজের রুমের উদ্দেশ্যে চলে গেল। কেউই তার যাওয়ার দিকে তাকালো না আর না তাকে থামালো।আরশির কোনো কিছুই সহ্য হচ্ছে না।না নীলার এত উন্নতি, না নীলার এত প্রশংসা, আর না প্রতি ইরফানের এখনো মনের কোণে থেকে যাওয়া টান।আরশি নীলাকে একবার ভালো করে দেখে নিয়ে সেও ইরফানের পিছনে চলে এলো।
ইমরান মির্জা এক হতাশার নিঃশ্বাস ছাড়লো এবং আস্তে আস্তে চেয়ারে বসে পড়লো। তারপর অপরাধি দৃষ্টিতে নীলার দিকে তাকিয়ে আহত কন্ঠে বললেন_
আমাকে তুই মাফ করে দে নীলা মা। আমি কখনোই ভাবতে পারিনি আমার ছেলে এমন কুলাঙ্গার হবে। ওর জন্য আমি তোর দিকে তাকানোর পর্যন্ত সাহস পাচ্ছিনা। লজ্জায় মাথা আমার নিচু হয়ে গেছে। আর তারপরও এই ছেলে কি করে তোর সাথে এমন ভাবে কথা বলে। আমার তো ইচ্ছে করছে এখনই এই ছেলেকে ত্যাজ্য পুত্র করে দিতে।
নীলা নিজের বড় আব্বুথ কাছে এসে তার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে তার পায়ের রানের উপর নিজের হাত রেখে কোমল কন্ঠে বলল__
তুমি নিজেকে কেন দোষারোপ করছো বড় আব্বু? আমি কি তোমার মেয়ে না? বাবা কি তার মেয়ের সাথে ইচ্ছা করে এমন কিছু করে? এটা আমার ভাগ্যে লেখা ছিল। ভাগ্যের লিখন কি ওই খন্ডাতে পারে না। আর আমি তো খারাপ নেই? এই যে দেখো তোমার কুলাঙ্গার ছেলে আমার জীবন থেকে যাবার পরেই আমার ভাগ্য আরো খুলে যাচ্ছে। কত সুন্দর এখন আমি প্যারিস গিয়ে পড়তে পারবো। নিজের জীবনটাকে আরো সুন্দর করে গোছাতে পারবো। শুধু শুধু নিজেকে দোষারোপ করো না বরং আমার জন্য দুহাত ভরে দোয়া করো।
নীলার এমন কথায় ইমরান মির্জার চোখে পানি চলে এলো। তিনি নীলার কপালে চুমু খেলেন। তারপর জিজ্ঞেস
করলেন _
তুই কবে এপ্লাই করলি?
তারপর নীলা সব ঘটনা খুলে বলল যে সে ইকরার কথা শুনে এমনিতেই এপ্লাই করেছিল। তো এখন সেটি কাজে লেগে গিয়েছে। এবং তার সাথে ইকরাও যাবে। এই কথা শুনে সবাই খুশি হয়ে গেল।
কিহ্? তোর মাথা নষ্ট হয়ে গিয়েছে? আমি কোন বিবাহিত মেয়ের সাথে প্রেম করতে পারবো না।
মুনভি মিহালের দিকে ভ্রু কূচকে তাকিয়ে কথাটি বলল।
মিহাল ঠোঁট কামড়ে হেসে বললো _
আমি তো তোকে প্রেম করতে বলছি না প্রেমের নাটক করতে হবে।কিছু করার নেই।সেই বাস্টার্ড দেশে গিয়ে নাকি নিজের চাচাতো বোনকে বিয়ে করে ফেলেছে। যার সাথে নাকি আবার তার ছোটবেলার প্রেম ছিল। ছোটবেলার প্রেমিকা কে বিয়ে করেছে তার মানে ভালোবাসা অনেক গভীর। এবং এই দুর্বলতা কেই আমি কাজে লাগাবো। তার ভালোবাসার মানুষটিকে আমি ব্যবহার করব। এবং সেই মেয়েটিকে তোর দূর্বল করতে হবে।ছলে বলে কৌশলে যেভাবেই হোক না কেন।
মুনভি হতাশার নিঃশ্বাস ছাড়লো।এই মিহালের জন্য তাকে কম জ্বালা পোহাতে হয়নি।এখন তাদের মধ্যে আগের মত বন্ধুত্ব না থাকলেও বিপদে পড়লে দুজন দুজনের পাশে থাকবেই। এখন তাদের মাঝে যা ঝামেলা তা কেবল মুখে মুখে। তো মনে মনে এখনো আগের মতোই বন্ধু আছে তারা। যার জন্য কেউ কারো কাছ থেকে দূরে থাকতে পারছে না। না মিহাল পারছে নিজের সমস্যার কথা মুনভি কে না বলে থাকতে। আর না মুনভি পারছে মিহাল কে সাহায্য না করে থাকতে। দুজনেই এই না পারার দিকে ব্যর্থ। মুনভি হার মেনে নিহার কে জিজ্ঞেস করল__
তাহলে তোর সেই শত্রুর বউকে ছলে বলে কৌশলে ফাঁসানোর জন্য কি এখন আমাকে বিডিতে যেতে হবে? দেখ ভাই আগেই বলে দিলাম এই ডাক্তারি ছেড়ে আমি কোন গভীর জলের ফিশ ধরার জন্য বাংলাদেশে যেতে পারবো না।
মিহাল আবার ঠোঁট কামড়ে হাসলো তারপর বললো __
আমার কাছে সলেট ইনফরমেশন এসেছে যে সেই মেয়েটি নাকি আমার ইউনিভার্সিটিতেই আমার সাবজেক্টেই চান্স পেয়েছে। আমাদেরকে কারো কাছে যেতে হবে না। মাছ ধরার জন্য আমাদেরকে জলে নামতে হবে না। মাছ নিজে থেকেই আমাদের জালে ফেঁসে যাবে।
কথাটি বলেই মিহাল বাঁকা হাসলো।মুনভি কেবল পকেটে হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে রইল।
আচ্ছা মিহাল কার কথা বলছে? কাকে নিজে জাত শত্রুর বউ ভাবছে? কিছু কি আপনাদের কাছে ক্লিয়ার হচ্ছে?
নোট: গল্পটা যেহেতু বর্তমান থেকে শুরু হয়েছে এবং এখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে অতীতের কিছু ঘটনা লুকায়িত। মানে অবশ্যই গল্পতে আমি অতীত তুলে ধরব। সবার মন রক্ষা কখনোই করতে পারবোনা। যতই চেষ্টা করি তা কখনোই সম্ভব না। এবং যেহেতু গল্পের লেখিকা আমি তাই কারো কথা শুনে গল্প আমি চেঞ্জ করবো না । যেমন অনেকেই বলে পরবর্তীতে যেন এইটা হয় সেইটা হয়, আমি একটা গল্প শুরু করেছি তার মানে আমার মাথায় আছে আমি কি করবো, কি লিখব। যদি অন্যদের কথায় আমি গল্পে কিছু লেখি তার মানে সেই গল্পটি আমার নিজ যোগ্যতায় লেখা না। অবশ্যই আমি নিজের মাথায় খাঁটিয়ে, নিজের যোগ্যতায় লিখব। ভুলত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা করবে এবং তা দেখিয়ে দিবেন। আপনাদের সহযোগিতায় আমি এগিয়ে যেতে পারবো।
Share On:
TAGS: নাজনীন নেছা নাবিলা, নীভৃতে প্রেম আমার নীলাঞ্জনা
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
নীভৃতে প্রেম আমার নীলাঞ্জনা পর্ব ৩+বোনাস পর্ব
-
নীভৃতে প্রেম আমার নীলাঞ্জনা পর্ব ৫(প্রথমাংশ+শেষাংশ)
-
নীভৃতে প্রেম আমার নীলাঞ্জনা পর্ব ১
-
নীভৃতে প্রেম আমার নীলাঞ্জনা পর্ব ৪
-
নীভৃতে প্রেম আমার নীলাঞ্জনা পর্ব ৬(প্রথমাংশ + শেষাংশ)
-
নীভৃতে প্রেম আমার নীলাঞ্জনা পর্ব ৯ প্রথম অংশ
-
নীভৃতে প্রেম আমার নীলাঞ্জনা গল্পের লিংক
-
নীভৃতে প্রেম আমার নীলাঞ্জনা পর্ব ৮+বোনাস
-
নীভৃতে প্রেম আমার নীলাঞ্জনা পর্ব ২