নিষিদ্ধ_রংমহল 🥀
পর্ব_২১
আতিয়া_আদিবা
রুবিনা নাক সিঁটকে সুলতানার কানের নিকট মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল,
- দেখুন, এই বাঈজীটি কী উদ্ধত! নাচের ছলে বারবার জমিদারপুত্রের দিকে এমনভাবে তাকাচ্ছে, যেন তার ওপর একচ্ছত্র অধিকার আছে।আভিজাত্য নেই বলেই হয়ত এমন চটুলতা দেখাচ্ছে।
সুলতানা টিপ্পনি কাটল। বলল,
- এর নামই তো বাঈজী! এরা রাজপুরুষদের বশ করার মন্ত্র আওড়ায়! কিন্তু তাতে কি আর রাজপুরুষদের মন গলে?
তাদের এই ব্যঙ্গাত্মক কথাগুলো জমিদার সিকান্দার গজনবীর শ্রবণগোচর হচ্ছিল। তিনি একাকী এই গোপন দৃশ্যপট উপভোগ করছিলেন।
তবে তাইমুর আর হেমাঙ্গিনী কীভাবে চোখের ভাষায় একে অপরের সাথে এক নিষিদ্ধ কথোপকথনে মগ্ন, তা জমিদারের দৃষ্টি এড়ায় নি।
সিকান্দার গজনবী মনে মনে হাসলেন। অতি নিমজ্জিত স্বরে বললেন,
- তাইমুর, তুমি যতবার ওর চোখে আশ্রয় খুঁজবে, আমি ততবার তোমাকে এই রূপসীদের শিকলে বাঁধব। দেখি তুমি কতদিন মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারো!
নাচ যখন দ্রুত লয়ে পৌঁছাল, হেমাঙ্গিনী যেন আগুনের এক শিখা হয়ে মঞ্চময় ঘুরে বেড়াতে লাগল। সে পনেরোজন মহাজন কন্যার সামনে দিয়ে এমনভাবে যাচ্ছিল যে তার ওড়নার ঝাপটা তাদের দামি প্রসাধনের গন্ধে ধাক্কা দিচ্ছিল। তার প্রতিটি পদক্ষেপে এক নীরব ঔদ্ধত্য ছিল, যা মহাজন কন্যাদের সাজানো আভিজাত্যকে ম্লান করে দিচ্ছিল বার বার।
সুলতানা বারবার চেষ্টা করছিল তাইমুরের মনোযোগ তার দিকে ফেরাতে। সে একটি হীরাখচিত নস্যদানি তাইমুরের দিকে এগিয়ে দিল। তাইমুর সেটি নিলেন না, কেবল উপেক্ষাভরা দৃষ্টি সুলতানার ওপর নিক্ষেপ করলেন।
তাইমুরের বিরক্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। তা প্রকাশ করার ঠিক আগ মুহুর্তে তিনি হেমাঙ্গিনীর চোখের দিকে তাকালেন। হেমাঙ্গিনী তখন অতি দ্রুততার সাথে চক্কর দিচ্ছিল। সেই ঘূর্ণনের মাঝেই সে তাইমুরকে ইশারায় নিষেধ করল। যেন সে বলতে চাইল,
- হুজুর, আপনি জমিদারপুত্র। আপনার মেজাজ যেন এই ক্ষুদ্র চক্রান্তে নষ্ট না হয়। আপনি নিজের গাম্ভীর্য বজায় রাখুন।
পুরো নক্ষত্র-সভা তখন এক অদৃশ্য যুদ্ধের ময়দান। একদিকে পনেরোজন উচ্চবংশীয় ললনা যারা তাইমুরকে জয় করতে মরিয়া, অন্যদিকে এক নিঃস্ব বাঈজী যে কেবল চোখের ভাষায় তার প্রেমিককে আশ্বস্ত করে চলেছে।
নাচ শেষ হলো। হেমাঙ্গিনী মঞ্চের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে অবনত মস্তকে কুর্নিশ জানাল। সে যখন মাথা তুলল, দেখল তাইমুর গজনবী তার আসনের হাতল ধরে স্থির হয়ে বসে আছেন। তার মাঝে এখন কোনো অস্থিরতা নেই, বরং হেমাঙ্গিনীর শীতল আশ্বাসের প্রভাবে তিনি এখন এক গভীর প্রশান্তিতে আচ্ছন্ন।
সিকান্দার গজনবী উঠে দাঁড়ালেন। তিনি গম্ভীর স্বরে ঘোষণা করলেন,
- আজকের এই নক্ষত্র-সভা পূর্ণ হলো। আপনাদের যোগ্য কন্যারা আজ এই প্রাসাদকে আলোকিত করেছেন।
এরপর সিকান্দার সরাসরি হেমাঙ্গিনী-র চোখের দিকে তাকিয়ে বললেন,
- বাঈজী, আপনার পরিবেশনা সমাপ্ত। আপনি এখন বিদায় নিতে পারেন।
হেমাঙ্গিনী ধীরে ধীরে মঞ্চ থেকে নেমে এল। সে যখন মহাজন কন্যাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তখন সুলতানা অত্যন্ত নিচু স্বরে বলল,
- সুন্দর নেচেছ, বাঈজী। তবে মনে রেখো, নক্ষত্র সভায় চাঁদ একটাই থাকে। সেই চাঁদ তুমি নও।
হেমাঙ্গিনীর পায়চারি থামল না। সে কোনো উত্তরও দিল না। কেবল এক পলকের জন্য তাইমুরের দিকে তাকাল। তাইমুর তখন সুলতানার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে হেমাঙ্গিনীর চলে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে আছেন। সেই চাহনিতে মিশে আছে প্রগাঢ় তৃপ্তি।
সহসা হেমাঙ্গিনী-র কানে জমিদার সিকান্দার গজনবী-র কণ্ঠস্বর ভেসে এলো,
- মনসুর আলীর কন্যা, সুলতানা-কে আমার বড় পুত্র নবাব তাইমুর গজনবী-র ভাবি বেগম হিসেবে মনোনীত করা হল!
গতরাতের সেই প্রদীপ্ত নক্ষত্র-সভার রেশ মেঝের ঝাড়লণ্ঠন থেকে ঝরে পড়া মোমের অবশিষ্টাংশের মতোই ম্লান হয়ে এসেছে। তবে সেই স্তব্ধতার নিচে আজ ধিকধিক করে জ্বলছে এক গভীর ষড়যন্ত্রের অনল।
জমিদার সিকান্দার গজনবী তার খাস কক্ষে আসীন। তার প্রশস্ত ললাটে চিন্তার রেখা নিয়ে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছেন জানালার বাইরের আঙিনার দিকে। মুখাবয়বে এক কুয়াশাচ্ছন্ন গাম্ভীর্য রয়েছে।
পাদশব্দে কক্ষের নিস্তব্ধতা ভঙ্গ হলো। বিশ্বস্ত অনুচর দাউদ মস্তক অবনত করে আরজ জানাল,
- হুজুর, রহমান আলী তার দুহিতা সুলতানাকে নিয়ে তোরণদ্বারে দণ্ডায়মান। আপনার অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
সিকান্দার গজনবী ধীরস্থিরভাবে উঠে বসলেন। তার ওষ্ঠের কোণে এক নিগূঢ় হাসির রেখা ফুটে উঠল। তিনি দাউদকে তাদের ভেতরে নিয়ে আসার সংকেত দিলেন।
কক্ষে প্রবেশ করলেন ধনাঢ্য তুলা ব্যবসায়ী, মনসুর আলী। তার প্রতিটি পদক্ষেপে এক ধরনের উদ্ধত দম্ভ বিদ্যমান, যা কেবল অগাধ বিত্ত হতেই আগত। তার ঠিক পশ্চাতেই ধীর পদক্ষেপে প্রবেশ করল সুলতানা। সুলতানার রূপ ভোরের প্রথম শিশিরের মতোই স্নিগ্ধ হলেও তার চোখের মনিতে জ্বলছে এক অদম্য উচ্চাকাঙ্ক্ষার আগুন। তার চাহনিতে গজনবী অন্দরের ভাবী কর্ত্রী হওয়ার এক প্রচ্ছন্ন অধিকারবোধ স্পষ্ট।
সিকান্দার গজনবী আসন ত্যাগ করলেন না। বরং তার দক্ষিণ হস্ত তুলে তাদের বসার ইঙ্গিত দিলেন।
- আসুন মনসুর আলী সাহেব। সুলতানা মা, তুমিও আসীন হও।
মনসুর আলী কুর্নিশ জানিয়ে বহুমূল্য গালিচায় উপবেশন করলেন। সুলতানা অত্যন্ত বিনীত ও পরিশীলিত ভঙ্গিতে মস্তক অবনত করে একপাশে বসল।
সিকান্দার গজনবী তাঁর গম্ভীর কণ্ঠে আলাপ শুরু করলেন,
- মনসুর সাহেব, আপনার কন্যাকে আমি মনোনীত করেছি। গজনবী বংশের জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূ হওয়ার মতো পরিমার্জিত রূপ ও বংশীয় আভিজাত্য তার মাঝে বিদ্যমান। তবে গজনবী অন্দরমহল কোনো সাধারণ বাসগৃহ নয়। এখানকার প্রতিটি ইট এক একটি প্রাচীন ঐতিহ্য ধারণ করে। শুধুমাত্র রূপই একটি বংশের গরিমা টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়।
মনসুর আলী কিছুটা সংশয়াচ্ছন্ন কণ্ঠে শুধালেন,
- হুজুর, আমি আপনার গূঢ় অভিসন্ধি ঠিক অনুধাবন করতে পারলাম না।
সিকান্দার গজনবী সুলতানার দিকে একবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিপাত করে পুনরায় মনসুর আলীর দিকে ফিরলেন। বললেন,
- এই অন্দরমহলের আদব কায়দা, মেহমানদারি আর এই বিশাল এস্টেটের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সবকিছু আয়ত্ত করার জন্য একনিষ্ঠ সাধনা প্রয়োজন। আমি স্থির করেছি, সুলতানা বিবাহের মাসখানেক পূর্ব থেকেই এই অন্দরমহলে বসবাস করবে। সে অন্দরমহলে থেকেই বংশের রীতিনীতি আর গরিমা রক্ষা করার দীক্ষা নেবে। বিবাহের পূর্বেই সে এই প্রাসাদের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে নিজের আধিপত্য ও কর্তৃত্ব বুঝে নিক। এটাই আমার একান্ত অভিপ্রায়।
মনসুর আলী অত্যন্ত প্রীত হলেন। তিনি জানতেন, বিবাহের পূর্বে অন্দরমহলে কন্যার অবস্থান মানেই গজনবী এস্টেটের ক্ষমতার ওপর তার দখল আরও সুদৃঢ় হওয়া।
- হুজুর, আপনার এই প্রস্তাব আমার মস্তকধার্য। সুলতানা আজ থেকেই আপনার এই মহানুভব ছায়ায় আশ্রিত হবে। আমি নিশ্চিত, আপনার এই প্রাসাদের উপযুক্ত সম্রাজ্ঞী হিসেবেই সে নিজেকে গড়ে তুলবে।
সুলতানার চোখের কোণে এক চিলতে কুটিল হাসি খেলে গেল। সে মনে মনে সংকল্প করল, অন্দরে প্রবেশের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সে প্রথমেই নবাব তাইমুর গজনবীর হৃদয়ে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করবে।
সিকান্দার গজনবী এবার সুলতানাকে অন্দরের পরিচারিকাদের সাথে অন্তঃপুরে যাওয়ার অনুমতি দিলেন। সুলতানা প্রস্থান করার পর কক্ষের পরিবেশ আকস্মিক গাম্ভীর্যে পরিপূর্ণ হলো।
এবার শুরু হলো আসল রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক মন্ত্রণা।
সিকান্দার গজনবী মাসনদে গা এলিয়ে দিয়ে নিচু স্বরে বললেন,
- মনসুর সাহেব, আমাদের এই আত্মীয়তা কেবল দুটি পরিবারের মিলন নয়। এটি এই অঞ্চলের রাজন্যবর্গের মাঝে এক নতুন শক্তির উত্থান। বর্তমানে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেবদের কুঠিতে কুঠিতে আমাদের নীল চাষের যে চাপ বাড়ছে, তাতে এই অঞ্চলের মহাজনরা দিশেহারা। রাজস্ব আদায়ের হারও ক্রমান্বয়ে নিম্নমুখী। গজনবী এস্টেটের প্রভাব অক্ষুণ্ণ রাখতে হলে আমাদের তুলার ব্যবসায় নিরঙ্কুশ আধিপত্য কায়েম করতে হবে।
মনসুর আলী অত্যন্ত নিবিষ্ট মনে শ্রবণ করছিলেন। তিনি একজন ঘাগু ব্যবসায়ী।
- হুজুর, আপনি যথার্থই বলেছেন। যে সকল পরগনা আপনার অধীনে রয়েছে, সেখানে যদি আমি আমার নিজস্ব তুলার আড়ত ও তাঁতশালাগুলো সুসংগঠিত করতে পারি, তবে রাজস্বের হার বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া নদীর ঘাটে যদি গজনবী এস্টেটের প্রহরী মোতায়েন থাকে, তবে পণ্য পরিবহনে আমাদের কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হবে না। এই একচেটিয়া ব্যবসার অধিকার আমাদের উভয়ের সিন্দুককেই পূর্ণ করবে।
সিকান্দার গজনবী মাথা নাড়লেন।
- আমিও ঠিক সেটাই কামনা করছি। রাজস্বের যাবতীয় হিসাব ও আদায় আমি আপনার ওপর ন্যস্ত করব। বিনিময়ে গজনবী এস্টেট পাবে বাৎসরিক মুনাফার একটি নির্দিষ্ট অংশ এবং রাজনৈতিক সংহতি। অন্যান্য জমিদার যখন সাহেবদের পদলেহন করছে, তখন আমরা আমাদের নিজস্ব ব্যবসায়িক সম্রাজ্য গড়ে তুলব।
মনসুর আলী আর সিকান্দার গজনবীর মাঝে আগামী কয়েক বছরের রাজস্ব নীতি আর আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণের এক নিগূঢ় সন্ধি মৌখিকভাবে সম্পন্ন হলো। গজনবী এস্টেটের শৌর্য আর মনসুর আলীর বিত্ত এই দুইয়ের মেলবন্ধনে এক অপরাজিত শক্তির ভিত্তি স্থাপিত হলো।
আলাপ যখন সমাপ্তির পথে, তখন সিকান্দার গজনবী অত্যন্ত তৃপ্ত মনে মনসুর আলীর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন। বললেন,
- আমি আপনার সূক্ষ্ম ব্যবসায়িক বুদ্ধিতে বিমোহিত। আমাদের এই শুভ পরিণয় ও ব্যবসায়িক সন্ধি স্মরণে আমি আপনাকে এক বিশেষ নজরানা প্রদান করতে ইচ্ছুক। বলুন কী উপঢৌকন পেলে আপনি প্রীত হবেন? গজনবী এস্টেটের রত্নভাণ্ডার আপনার জন্য অবারিত।
মনসুর আলী ক্ষণকাল স্তব্ধ রইলেন। তার চোখের ভেতরে এক আদিম লালসা হঠাৎ প্রদীপ্ত হয়ে উঠল। গতরাতের মাহফিলের সেই অপার্থিব নৃত্য তার স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করে উঠল। হেমাঙ্গিনীর নৃত্য মনসুর আলীর অবচেতন মনে কামনার বহ্নি জ্বালিয়ে দিয়েছে।
জমিদারি প্রথায় শ্রেষ্ঠ বাঈজীদের উপহার হিসেবে আদান-প্রদান করা ছিল আভিজাত্যের এক অঘোষিত কলঙ্কিত ঐতিহ্য। এ বিষয়ে জ্ঞাত মনসুর আলী। তিনি ঈষৎ সম্মুখপানে ঝুঁকে এসে অত্যন্ত নিচু ও গাঢ় স্বরে আরজ করলেন,
- জমিদার সাহেব, উপঢৌকন যদি প্রদান করতেই চান, তবে এমন কিছু দান করুন যা আমার কাছে অদ্বিতীয়। গতরাতের মাহফিলে আপনার সেই বাঈজী, তার নৃত্য আর তার অবয়ব আমার মস্তিষ্ককে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। আপনি তো বিদিতই আছেন, আমার জীবন বড় বৈচিত্র্যহীন। বাইজী-কে যদি এই অধমের হাতে উপহারস্বরূপ অর্পণ করেন, তবে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।
সিকান্দার গজনবী কয়েক মুহূর্ত গভীর মৌনতায় নিমগ্ন রইলেন। তার মনের গহীনে এক পৈশাচিক তৃপ্তি অনুভূত হলো। তার বড়পুত্র তাইমুর গজনবী হেমাঙ্গিনীকে তার হৃদয়ের সিংহাসনে বসিয়েছেন। তাইমুরকে অবদমিত করার এর চেয়ে বড় প্রলয়ঙ্করী অস্ত্র আর দ্বিতীয়টি হতে পারে না! হেমাঙ্গিনীকে প্রাসাদ থেকে নিষ্ক্রান্ত করে মনসুর আলীর নিকট প্রেরণ করলে যেমন প্রতিদ্বন্দ্বী নিপাত হবে, তেমনি একজন মিত্রকেও তুষ্ট করা সম্ভব হবে।
সিকান্দার গজনবী এবার এক গুমোট হাসিতে ফেটে পড়লেন। তার হাসির শব্দে কক্ষের দেয়ালগুলোও যেন এক ভয়ানক সংকেত প্রদান করল।
- আপনার রুচি আমাকে চমৎকৃত করল। আপনি বাঈজী হেমাঙ্গিনী-র কথা বলছেন? সে তো আমাদের বাঈজী মহলের শ্রেষ্ঠ মুকুট।
তবে যেহেতু আজ এই দিনটি অত্যন্ত শুভ এবং আপনি আমাদের নবীন কুটুম্ব, তাই আপনার এই প্রার্থনা আমি মঞ্জুর করলাম।
মনসুর আলী খুশিতে প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়লেন। তিনি বারবার কুর্নিশ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে লাগলেন।
এই পুরো কুটিল ষড়যন্ত্রের সময় নবাব তাইমুর গজনবী তার একান্ত পাঠশালায় ব্যস্ত। তিনি আঁচও করতে পারলেন না তার প্রাণের স্পন্দনকে এক পণ্য হিসেবে বিনিময় করা হচ্ছে। তার অগোচরে, তার আরাধ্য হেমাঙ্গিনী এখন এক কামার্ত ব্যবসায়ীর নজরানা হতে যাচ্ছে।
এক নতুন ও ভয়ংকর অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে গজনবী মহলে।
🚫 মনযোগ দিয়ে পড়ুন, ৪০০০ লাইক এবং ৬০০ কমেন্ট টার্গেট পূরণ না হলে আগামীকাল বিকাল ৫:৩৫ এ ২২ নং পর্ব আসবে না। এই গল্পের এক্টিভ পাঠক প্রায় ৫৫০০ জন। ৮০ ভাগ পাঠকের কাছে আজকের পর্ব না পৌঁছালে পরবর্তী পর্ব আসবে না।
উপন্যাসঃ #নিষিদ্ধ_রংমহল
লেখকঃ Atia Adiba – আতিয়া আদিবা
Share On:
TAGS: আতিয়া আদিবা, নিষিদ্ধ রংমহল
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ১১
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ৯
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ২
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ১৫
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ৮
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ১৬
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ২০
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ২২
-
নিষিদ্ধ রংমহল পর্ব ১৯
-
নিষিদ্ধ রংমহল গল্পের লিংক