নিষিদ্ধ_চাহনা
পর্ব_১৮
লেখিকাসারাচৌধুরী
🚫অনুমতি বাদে কপি করা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ🚫
পিহু আর কিছু বলার আগেই সাদি ঠাশ ঠাশ করে পর পর দুইটা চড় মারে পিহুর নরম গালে।সাথে সাথে ছিটকে দূরে চলে যায় পিহু।চোখ ছাপিয়ে পড়তে থাকে নোনাজল।ভুমিকম্পের ন্যায় নাড়িয়ে দিয়েছে সাদি তার গাল কে।যেনো গালের সব দাত গুলো খুলে এখোনি বের হয়ে চকে আসবে।পিহু কিছু বলতে পারে না। তার আগেই সাদি প্রচন্ড রাগে পিহুর লাল হয়ে যাওয়া গাল চেপে ধরে কঠিন রাগী কন্ঠে বলে উঠে…
-“ইউ আর এ ব্রেইনলেস গার্ল৷এই তুই কি বললি তোরে আমি ছুতে চাই বলে তোর গায়ে হাত দিছি।
সাদি পিহুর গাল চেপে রেখেই ঘাড়ে হাত দেই সেই রক্ত মাখা স্থানে হাত দেই পিহু চোখ বন্ধ করে নেই। তখন বিছানা থেকে আলপিন ফুটে গেছিলো ঘাড়ে সেটা ভুলেই গেছিলো সে।সাদি রক্ত এনে পিহুর সামনে ধরে দেখাই।পিহুর গাল ধরাই ওর চোখ দিয়ে বাধাহোন ভাবে পানি পড়ছে।পিহুর মনে হচ্ছে গালের চামড়া ভেদ করে হাত গালের ভিতরে প্রবেশ করবে।সাদি পিহুকে ছেড়ে দেই।পিহুর রাগ কমা যেমন আরো বেড়ে যাচ্ছে খুব কষ্ট হলে যেমন রাগ বাড়ে ঠিক সেটা পিহুর ক্ষেত্রে হচ্ছে।সাদি নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পিহু কে ছেড়ে দেই।
সাদি পিহুকে ছেড়ে দিতেই পিহু আবারো বলে..
-“কি হলো মারবেন না আমাকে মেরে ফেলুন আমারে। আমারে তো মেরে ফেলতেই চান মরছি না আমি তাই রাগ হচ্ছে আপনার।আরো জোরে মারেন আমাকে।
এবার সাদির রাগ আকাশে উঠে যাই যদিও রাগ কন্ট্রোল করতে চাচ্ছিলো তবে তা আর হয় না। ঠান্ডার মাঝেও গা থেকে টি-শার্ট এক টানে ছিড়ে খুকে ফেলে ছুড়ে মারে মেঝেতে।সাথে সাথে উন্মুক্ত হয় সাদির জিম করা খালি বক্ষ।যেকোনো মেয়ে দেখলেই ক্রাশ খাবে।বাইরের কান্ট্রি এমনিতেও অনেক তে সাদির উপরে ক্রাশ খাওয়া পাবলিক ছিলো।সাদির এ অবস্থা দেখে পিহু ঘাবড়এ যায়।
সাদি পিহুর মুখ আবার চেপে ধরে সাথে এক হাত দিয়ে টেনে এনে বিছানায় ফেলে দিয়ে পিহুর দিকে ঝুকে যায়।পিহুর আর বাধ মানে না ভয়ে কলিজার পানি শুকিয়ে যায়।সাদি রাগে গর্জে উঠে বলে…
-“তোরে সত্যিই মেরে ফেলবো কু/ত্তার বাচ্চা,, তুই নাবিলের সাথে পার্কে কেন গেলি,,ও তোর কি লাগে,, আমার কষ্টে গড়ে তোলা রাজত্বে ওই নাবিক বসবাস করবে তার আগে আমি রাজত্ব ধ্বংস করে দিবো।
পিহু জানতো সব কথা আজ উঠবেই আজ সকাল এ সে হেসেছিলো বলে আজ এখন রার কপালে এত দুঃখ। পিহু মুখ চাপা অবস্থাতেই বললো আমারে ছাড়েন অস্ফুট স্বরে এতে সাদির রাগ আরো দিগুন হলো.সাদি আরো রাগে বলে উঠলো…
-“তোর জন্যই আমার জীবন শেষ হয়েছে আমাকে তিনটা বছর পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়েছে।তুই কি বললী তোকে ছোয়ার জন্য আমি বসে থাকি এই শোন তোর মতো হাজার টা রাস্তায় পাওয়া যায়।তুই আছিস বলেই এতো প্যাড়া আমার লাইফ এ।ভালো মুখ দেই বলে যা ইচ্ছা অপবাদ দিবি কি আছে তোর এই শ/রীরে কিছুই নেই।চলে যেতে পারিস না আমার বাপ মার দিকে চাস কেনো লজ্জা করে তোর বের হো।নিজের বাপ মাকে খেয়েছিস এখন আমার টাও তাই চাস।
সাদির পিহুর গাল ছেড়ে দেই। রাগে হিতাহিত জ্ঞান শুন্য হয়ে কি থেকে উলটা পালটা বলেছে সে জানেনা তবে একটাও তার মনের কথা ছিলো না।এদিকে পিহু শান্ত হয়ে যায়।চোখের মনি শান্ত সাদি দূরে সরে যেতেই পিহু উঠে বসে।সাদির শেষ কথা গুলো পিহুর বুকে তীরের মতো বিধেছে।আসলেই তো সে কেন আছে এখানে।আর তার বাপ মাকেই কেন চাচ্ছে।সাদি রাগ কন্ট্রোল করার জন্য গকাসে থাকা পানি গুলো ঢক ঢক করে খেয়ে নেই।পিহু শান্ত ভাবে উঠে দাঁড়ায়।তারপর উলটো দিকে ফিরে থাকা সাদির দৃশ্যমান পিঠের দিকে তাকিয়ে ভাঙা কন্ঠে বলে উঠে…
❝বুজলেন আমি যখন আমি হীন একটা পুরো পৃথিবী আপনাকে উপহার দিয়ে চলে যাবো, ঠিক সেদিন বুজবেন আমার শুন্যতা❞
পিহু হেটে চলে আসতে চাই দরজার দিকে তবে পা যেনো চলছে না।খুব কষ্ট হচ্ছে তার,,আঘাত যখন বুকে গিয়ে লাগে তখন আর কিছু ভালো লাগে না,,একটা কথা কত বড় আঘাত দিতে পারে সেটা পিহুর শিরাই শিরাই উপলব্ধি করতে পারছে।সাদি বিছানায় বসে পড়ে।কি থেকে কি বলে ফেলেছে নিজেও বুজতে পারছে না হয়তো একটু বেশিই করছে সে।
পিহু ধিরে ধীরে দরজার কাছে এসে একটানে দরজার ছিটকানি খুলে ফেলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।সাদি এক পলক সেদিকে তাকিয়েও কিছু বললো না। পিহু রুম থেকে বেরিয়ে কিছুদুর যেতেই নিচ থেকে আতিয়া বেগম পিহু ডাকলেন তবে অভিমানী পিহুর পা দাড়ালো না সোজা সাদে উঠে গেলো পিহু।
বেশ জোরেই বৃষ্টি হচ্ছে। পিহু সাদে পা রাখতেই কাক ভেজা হয়ে গেলো সাদের শেষ মাথার এক কোনে গিয়ে রেলিং ঘেঁষে বসে পড়লো পিহু।প্রচন্ড অভিমান মনে তার। কার উপর হয়তো নিজের ভাগ্যর উপর। পিহু বৃষ্টির মাঝে আবারো চোখের পানি ছেড়ে দিলো ছোট বেলাই শুনেছে বৃষ্টিতে ভিজে কাদলে নাকি এই বৃষ্টির পানির সাথে মনের কষ্ট গুলো ধুয়ে চকে যায়।
পিহু কাদতে থাকে। আর মনের কষ্ট গুকো আল্লাহ কে বলতে থাকে।পিহু মনে মনে ভেবে নেই। যার জন্য এতো কিছু সেই নাবিল ভাইয়ের সাথে আর দেখা করবে না,, সব বলে দিয়ে এতো মার খাওয়ালো তাকে বেচে থাকতে আর কথা দূর চোখের সামনে যাবে না।সাদির সামনে থেকেও এড়িয়ে চলবে আর তার বাবা মাকে কখোনো ডাকবে না।সে তো এতিম এর মতো যার মা বাবা নেই তার আবার বাবা মা ডাকার শখ রাখতে নেই।পিহুর খুব কষ্ট হচ্ছে..দোম আটকে আসছে।বেশিক্ষন ভিজলে ঠান্ডা লেগে যায়।
পিহুর চোখ লাল হয়ে গেছে মাথাটাও ব্যাথা৷ করছে খুব।তবুও সাদের রেলিং ঘেঁষে বসে থাকে টপ টপ করে বৃষ্টির৷ স্নিগ্ধ পানির ফোটা মুখে এসে পড়ছে। চোখের পানির সাথে মিশে চলে যাচ্ছে।সাদির হটাৎ করে পিহুর বলে যাওয়া কথাটা মস্তিষ্কে নাড়া দেই।মুহুর্তেই মনে হয় সে কত বড় ভুল করেছে।নিজের উপরেই নিজের রাগ হয়ে যায়।
সে নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারে না।যখন প্রচন্ড রেগে যায় তখন উল্টো পালটা কথা বলে আর সেটাই আজ পিহুকে বলেছে। সাদি বুজেছে পিহু প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছে। তাই আর দেরি না করে গায়ে টি-শার্ট জড়িয়ে রুম থেকে বের হয় ভুল কিছু করে না বসে মেয়েটা।সাদি রুম থেকে বেরিয়ে আগে পিহুর রুমে ঢুকে পুরো রুম তছনছ করে খুজে যখন পাই না তখন নিচে যাই।নিচে সব খুজে না পেয়ে কিচেনে আতিয়া বেগম কে জিজ্ঞাসা করে…
-“আম্মু পিহু কই জানো..?
-“কেন ওর সাথে তোর কি আবার…?
*”আরে বলো না দেখেছো কিনা..?
আতিয়া বেগম ছেলের দিকে তাকালো উদ্দিগ্ন ছেলের দিকে তাকিয়ে তিনি কপাল গুটালো তারপর বললো..
-“দেখলাম করিডোরে আছে আমি ডাকলাম শুনলো না আর জানি না।
আতিয়া বেগমের কথা শেষ হতেই সাদি উপরে চলে এলো সাদ বারান্দা চেক করে সাদের দিকে চললো সাদি রিতি মতো ঘামতে শুরু করেছে।সাদের গেটের কাছে এসে সাদির পা থমকে গেলো।সাদি বাইরে তাকিয়ে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে বিরক্ত হলো। নিশ্চয় এই পানিতে ভিজলে জর আসবেই আর ওই মেয়েটা সাদে ভিজে চলেছে।সাদি চারিদিকে চোখ বুলালো যখন দেখতে পেলো না তখন হুট করে সাদের কর্নারে নজর পড়তেই আবার রাগ মাথা নাড়া দিয়ে উঠলো…
সাদা জামাটা ভিজে গায়ে লেপ্টে গেছে।পুরো কুজো হয়ে হাটুতে মুখ গুজে বসে আছে।কোমর সমান চুল গুলো পানিতে এসে পড়েছে। শীতে থরথর করে কাপছে.।সাদি গেটের কাছে থেকেই ডাক দিলো কয়েকবার তবে পিহুর সাড়া পাওয়া গেলো না পিহু ইচ্ছা করেই উত্তর নেইনি।
সাদির যেনো আজ রাগ কমবে না।এই মেয়েটা এতো মার খেয়েও এর লজ্জা হয় না।সাদি পানিতে নেমে গেলো মুহুর্তে সেও ভিজে চাপ হয়ে গেলো।রক্তচক্ষু নিয়ে এগিয়ে যেতে লাগলো পিহুর দিকে…..
চলবে….
-(পড়াশোনার চাপ বেশি কি লিখেছি জানিনা একটু খাপ ছাড়া সময় করে এডিট করে দিবো শুধু তোমাদের জন্য এতো কষ্ট করে লিখেছি।ভালো রেসপন্স আশা করি,, কিছু মনে নিও না) –
Share On:
TAGS: নিষিদ্ধ চাহনা, সারা চৌধুরী
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ২২
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৩
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ১৬
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ১৭
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ১৫
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৮
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৫
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৬
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৪(ক+খ)
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১