প্রেমতৃষা
ইশরাতজাহানজেরিন
পর্ব_৪৮
“সব প্রশ্নের উত্তর জানা মানেই মুক্তি নয়। কিছু রহস্য আছে, যা ছুঁতে গেলেই মানুষ নিজের ভেতরের গোলকধাঁধায় হারিয়ে যায়। তাই কিছু অজানাকে অজানাই থাকতে দেওয়া উচিত, কারণ সেখানে যাওয়া মানে অস্থিরতার এক অন্তহীন নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ার সমান। আর যে রহস্যের শেষে কেবল দহন, সেখানে পৌঁছে কী লাভ? কিছু না জানা মানেই কখনও কখনও বেঁচে থাকা, কারণ সত্যের ভার সব কাঁধ বহন করতে পারে না।”
প্রেম একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ল। ধোয়াশা হওয়া একফালি অতীত তারও মনে পড়ে গেল। যেই অতীত সেও লুকিয়ে এসেছে। লুকিয়ে এসেছে কারণ কিছু সত্য বের হলে হয়তো সুন্দর জীবন নষ্ট হতো। সিদ্দিক নেওয়াজের কিছু সত্য তো সে জানে, তবুও আজীবন না জানার ভান করেছে, আর করবেও। তা নিয়ে প্রেমের মাথা ব্যথা নেই। সে আপাতত সুস্থ একটা জীবন চায়। এর বেশি কিছুই নয়। সিদ্দিক নেওয়াজ ভেতর ভেতর একটা নিশ্বাস ছাড়েন। মনে পড়ে যায় অতীতের এক ঝলক। রাফা কি সত্যি আত্মহত্যা করেছিল? তার ছেলে পরাগ নেওয়াজ কোথায়? প্রেমের মা হিমিকা কি সত্যি তার স্বামীর হাতেই খুন হয়েছিল? আর তার স্বামী মরল কি করে? ওই এক্সিডেন্ট কি করে হলো তার? কত কত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া বাকি এখনো তাইনা? তাহলে উত্তর খোঁজা যাক। প্রেমের মায়ের খুনটা মূলত হয়েছে প্রত্যুষের হাতেই। তার মৃত্যুর সময় তার স্বামী সবটা দেখে ফেলে। বিষয়টি প্রত্যুষের বুঝতেও সময় লাগল না। লোকটা যখন সেইদিন রাতেই থানার উদ্দেশ্যে যেতে নেয় তখন প্রত্যুষই তার গাড়ি এক্সিডেন্ট করায়। এমন ভাবে লোকটা আহত হলো যে কথাবার্তা বন্ধ হয়ে বিছানায় পড়ল। মাসখানেক হয়তো বড়জোর বাঁচবে। তাই অযথা একটা রক্ত নিজের হাতে লাগানোর কোনো ইচ্ছে হলো না প্রত্যুষের। আর পরাগ কোথায়? সিদ্দিক নেওয়াজ আরেকটা আহত শ্বাস ছাড়লেন। ছেলের পাপের কোনো ক্ষমা ছিল না৷ এত নোংরা পাপ মেনে নেওয়া যায় না। তাছাড়া ওই ছেলে বিপথে চলেই গিয়েছিল। তাকে ফিরিয়ে আনাও সম্ভব নয়। মেয়ের পাপকে ধামা-চাপা দিয়ে, আস্কারা দেওয়ার ফলে ঘটনা এই পর্যন্ত চলে এসেছে। ছেলের বেলায় আর নয়। সেদিন পরাগ যখন নেশা করে বাড়ি ফিরে তখন নিজ হাতে ছেলেকে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মোখলেসের মাধ্যমে খুন করান তিনি। আর মাটি চাপা কোথায় দেন? প্রেমের সেই প্রিমরোজ ফুলের বাগানে। প্রেম হয়তো কখনো জানতেও পারবে না, তার মাটির উর্ব্বর সার তার বাবার পচনশীল দেহ থেকে নিষ্কৃত হচ্ছে। আর রাফা মেয়েটাও তো পরাগের সমান পাপি ছিল। তবে সে আত্মাহত্যা করেনি বরং তাকেও মেরে সিদ্দিক নেওয়াজের কথায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ফ্যানের সাথে। পুলিশকে সেইবার টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করিয়েছে। আসলে টাকা যার, ক্ষমতা তার এটাই স্বাভাবিক। তবে এসবের আচঁ সে কখনোই নাতির ওপর পড়তে দিবে না। নাতির ভবিষ্যতে যাতে কেনো ঝামেলা না হয়, তাই তো এসব করেছে। খারাপ মানুষদের মাঝে নাতিকে কি করে বেড়ে উঠতে দিতো। সিদ্দিক একবার আড়চোখে প্রেমের দিকে চাইল৷ বলল, “মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দাদুভাই তোমার সুখের জন্য লড়বো। প্রয়োজনে তোমার জন্য আরো হাজারটা পাপ করতে রাজি। তবুও তোমার চোখে আমার জন্য ঘৃণা আমি সইতে পারব না। দুনিয়া আমায় ঘৃণা করুক, আপত্তি নেই। তুমি দাদুভাই আমার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিও না। সইতে পারব না। তোমার সুখ দেখে মরতে চাই আর কোনো ইচ্ছে নেই আমার।”
প্রেম থানার সামনে এসে দাঁড়ায়। দাদুকে বিদায় জানায়। দাদু চলে যাওয়ার সময় তার দিকে কত করুণ চোখে চাইছিল। আহা কি মায়া ওই বৃদ্ধ মুখটায়। এই মায়া যেন সর্বদা থাকে। এই বুড়ো মানুষটাকে আর চিন্তায় ফেলতে ইচ্ছে করছে না। থাক না দুই-চারটে গল্প ভেতরেই দাফন হয়ে। তাতে বরং ভালো কিছুই হবে। দাদুকেও সে কখনো বুঝতে দিবে না, মাটি খুঁড়তে গিয়ে বাবার লাশের খোজ পেয়েছে সে, মোখলেস চাচার থেকে সব ঘটনা বহু বছর আগেই জেনেছে।
প্রেম কল্পনা থেকে বেড়িয়ে আসে। হাতের সিগারেটটা ফেলে তৃষার পাশে শুয়ে তার ঠোঁটে চুমু খেতে যাবে তার আগেই তৃষা প্রেমের মুখ চেপে ধরে বলল,” হারে বজ্জাত প্রেম ভাই দূরে গিয়ে মরেন।”
“শালীর ঘরের বউ তুমি তো মহা চালাক, এই মহিলা ঘুমাস নাই কেন?”
“তোর জ্বালায় বেডা ঘুমাতে পারি। একটু পর পর তোর ভাঙা রেলগাড়ি সাইরেন বাজায়।”
“এই হোয়াট ডু ইউ মিন বায় ভাঙা রেলগাড়ি? শালী রেলগাড়ি ভালোই আছে, চোখ দিয়ে দেখ তোর রাস্তায় ঝামেলা। “
“কিহ! এই দূরে যান। আর কাছে আসবেন না কখনো।”
প্রেম নাছোড়বান্দা। বেহায়ার মতো বউকে ঠেলে-ঠুলে বিছানায় নিজের জায়গা করে নিয়ে বলল, ” চলো ভাঙা রেলপথটা মেরামত করে নেই। আমি ইয়া বড় ইন্জিনিয়ার।” বলেই সে ইন্জিনিয়ারিং গিরি করতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠল।
–
কক্সবাজারের মোলায়েম হাওয়া পেরিয়ে গাড়ি যখন পুরান ঢাকার সরু গলিগুলোয় ঢুকল, তৃষার বুকের ভেতর কেমন অদ্ভুত এক কম্পন উঠল। ধুলো ভরা পথ, পুরোনো ইটের গন্ধ, আর মাথার ওপরে ঝুলে থাকা রংচটা তার—সব যেন তাকে বলছে,
“স্বাগতম… তুমি আবার ফিরে এলে।”
প্রেম গাড়ি থেকে নেমে দরজা খুলতেই তৃষার চোখ আটকে গেল সামনের বিশাল লোহার ফটকে,
নেওয়াজ কুঠির। এই বাড়ি তার জীবন বদলে দিয়েছে।
দাদা সিদ্দিক নেওয়াজ দু’হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এলেন।
“আজ থেকে এই বাড়ি তুমি দেখে রাখবে।” বলেই বাড়ির চাবির ছোড়াটা তার হাতে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো। এই বাড়ি তাকে কত যন্ত্রণা দিয়েছে, কত স্মৃতি দিয়েছে, তবু আজ মনে হল, এখান থেকেই তার নতুন সুখের দিন শুরু হতে যাচ্ছে। এবার আর লুকোতে হবে না, ভেঙে পড়তে হবে না… কারণ প্রেম আছে।
তার পাশে, তার শ্বাসে, তার ভবিষ্যতে।
সন্ধ্যায় তৃষা সবচেয়ে বেশি সারপ্রাইজ হয় এই বাড়িতে নিজের বাবা-মা আর ভাইকে দেখে। প্রেম আগেই একবার বলেছিল নেওয়াজ বাড়িতে ফিরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করাবে। সে এত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের কথা রেখেছে। সবাইকে একসঙ্গে পেয়ে কি যে খুশি লাগছে। তারই মধ্যে খবর এলো শিমলার বাড়ি থেকে তাদেরকে মেনে নেওয়া হয়েছে। অংকুরের কোনো পরিবার নেই। অনাথ আশ্রমে বেড়ে ওঠা। শিমলাকে বিয়ে করে সুখে রাখার জন্য রাতে জীবন ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ বাইক রেইস করত। তৃষা কিছু কিছু বিষয় জানে। নীলগিরির হোটেল রুমে একদিন যখন সে রাত করে প্রেমের জন্য আনা পুতুলটার চুল রঙ করার জন্য, হেয়ার কালার আনতে বলে হোটেলকর্মীকে সেদিন রাতে অংকুরকে হোটেল লবিতে দেখেছিল। ছেলেটার সঙ্গে সেদিন কিছু কথাবার্তা বলে পরিস্থিতি জানতে পারে। আহা মানুষের জীবন। এখন সুখ করতে পারলেই হয়েছে। প্রেমের বাসায় আসার পরই দাদুর সঙ্গে কথা হয়। এখন থেকে নেওয়াজদের পারিবারিক ব্যবসা সে নিজ হাতে সামলাবে। দেরিতে হলেও তো সুবুদ্ধি হয়েছে এটাই বা কম কিসের? প্রেমাটা এতক্ষণ তৃষার সঙ্গে ছিল। মেয়েটার ওপর এতদিন তলে তলে অত্যাচার হয়েছে। আর সে কেবল চুপিসারে সহ্য করে গেছে সব। দুনিয়াটাও একটা আজব রঙের কারিগর। প্রেমকে কখনোই প্রেমা পছন্দ করত না, ওইসব তার মা হেতিজা ইচ্ছে করে করিয়েছে। যেদিন প্রেমা না করতে চাইত ওইদিন খাবার বন্ধ করে দিত। রুমে ইচ্ছেমতো শাস্তি দিতো। আহা কি জীবন! ভয়ে মেয়েটা চুপ হয়ে থাকত।
তৃষা কাঠের বাড়ির বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। এই বাড়িটা এখন তারও। যখন খুশি, যেখানে খুশি সেও যেতে পারবে। সে বেডরুমে প্রবেশ করতেই প্রেমের সঙ্গে কাটানো সেই সুন্দর স্মৃতি গুলো চোখের সামনে ভাসতে শুরু করে। হঠাৎ প্রেম পেছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরল। “সোনা অলরেডি ভূতের মুভিটা কিন্তু ছেড়েছি। তুমি আসছো না কেন?” প্রেম জিজ্ঞেস করেই প্রেম তৃষাকে নিয়ে বেডরুমে গেল। ল্যাপটপে ভূতের মুভি ছেড়েছে। ঘরটা পুরো অন্ধকার।
প্রেম আর তৃষা সোফায় পাশাপাশি বসে হরর মুভি দেখছে। হঠাৎ স্ক্রিনে জাম্পস্কেয়ার। তৃষা হালকা চমকে ওঠে। আর প্রেম খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে তার হাত চেপে ধরে। তৃষা ভ্রু কুঁচকে তার দিকে তাকায়। এই ব্যাটা হারে বজ্জাত প্রেম নেওয়াজ খালি ছোঁয়ার বাহানা খুঁজে। তৃষা কি এসব ফকিরা জিনিসে ভয় পায় নাকি?ছ্যাহ! তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই হরর মুভির শব্দে দুজনেরই গা শিউরে ওঠে। দুজন বসে থাকে কাছাকাছি… অযথাই। তৃষা তখনো বুঝতে পারছে প্রেম নেওয়াজ সুবিধার লোক না। একটু একটু করে কাছে আসা তাই না? সব বুঝে এই তৃষা।
“এসব কেন দেখছেন? আমাকে ভয় দেখাতে?”
প্রেম হাসল, “বিক্রিয়া শুরু করার এক ধরনের প্রসেস। বুঝো না আমার সোনা?”
অন্ধকার রুমের জানালা দিয়ে বাগানের ল্যাম্পপোস্টের হলুদ আলো ঢুকে দেয়ালে হালকা ছায়া ফেলছে। তৃষার শীত শীত করছে। সে সোফা থেকে খাটে উঠে যায়। গায়ে কম্বল জড়ায়। প্রেমও তার পেছন পেছন খাটে এসে বসল। গায়ে কম্বল জড়ালো। ল্যাপটপটা তার কোলে। হঠাৎ তার শীতল অবৈধ হাত তৃষার গা ছুঁতেই সে কেঁপে উঠে। পরমুহূর্তেই প্রেম রেগে বলল, “কি বাল পড়েছো? এটার আগামাথা পাই না কেন?”
“আপনি হাত সরান।”
“উঠে ক্লোজেটে যাও। ওখানে দেখো একটা শপিং ব্যাগ আছে। তাতে যা রাখা আছে একবার পড়ে আসো তো।”
“পারব না।”
“আমি উঠে নিয়ে আসলে কিন্তু নিজে পড়িয়ে দেব।”
“আরে বাবা যাচ্ছি।”
“শালীর ঘরের বউ, কয়দিন পর তোর আন্ডাবাচ্চার বাবা হব, আর তুই কিনা আমায় বাবা ডাকিস। নাউজুবিল্লাহ, আল্লাহ সইবে না।”
“আরে….”
“যাও আগে।”
কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃষা সাদা রঙের একটা মিনি স্কার্ট আর মিনি টপস পড়ে হাজির হয়। এই ঠাণ্ডার মধ্যে এসব কি অত্যাচার? প্রেম তৃষাকে নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত একবার পরখ করতেই তৃষা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলল। প্রেম হাত বাড়িয়ে তৃষাকে নিজের কাছে এনে বসায়। গায়ের ওপর কম্বল জড়িয়ে নিজের হাত ভেতরে দিতেই শিরশির করে উঠল তৃষার শরীর। মুখ দিয়ে বেড়িয়ে এলো, “প্রেম।”
“ডোন্ট মেইক অ্যা নয়েজ।”
তৃষার শরীর যখন এই গরম হাতের উষ্ণতা আর সহ্য করতে পারছিল না তখন প্রেম বাঁকা হেসে গায়ের ওপর থেকে কম্বল সরিয়ে দেয়। খাটের থেকে নিচে নেমে জিজ্ঞেস করে, “ওয়াইন আনছি। উফ কি গরম যে লাগছে।” প্রেম গা থেকে টিশার্ট খুলে সোফার ওপর ফেলে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই তৃষা তার পেছন পেছন নিচে আসে। প্রেম তাকে দেখে গ্রানোফোনে গান ছেড়ে কিচেনে আসে। তৃষাও তার সঙ্গে। হঠাৎ প্রেম, তৃষাকে কিচেন টপে বসিয়ে দিলো। প্রেমের আবদার মেটাতে মিনি টপসের সঙ্গে মিনি সাদা রঙের স্কার্টটা পড়েছে। এত ছোট জামা ইহ জিন্দেগীতে কখনো পড়েনি। লজ্জা করছে তার। প্রেম গ্লাসে ওয়াইন ঢেলে তৃষার হাতে এক গ্লাস ধরিয়ে তার সঙ্গে চেয়ারস করে চুমুক বসিয়ে দিলো। পরক্ষণেই গ্লাস রেখে তৃষাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। তার নগ্ন বুক। পরনে কালো রঙের একটা জিন্স প্যান্ট। গলায় ঝুলতে থাকা কালো রঙা চেইনে গিটারের মতো দেখতে লকেটটা কেবল ঝুলছে। চুলগুলো এলোমেলো। কি অসাধারণ লাগছে। প্রেম তৃষার মুখের কাছ থেকে আলতো করে চুল সরিয়ে দিয়ে অপেক্ষা না করে শক্ত চুমু বসিয়ে দিলো ঠোঁটে। হারালো দু’জন অজানা দুনিয়া, অনাঙ্ক্ষিত ইচ্ছের স্রোতে। গ্রামোফোন ভেতরের রুমে তখনো বাজছে তার আপন তালে। প্রেম তৃষার একসূত্রে গাঁথা মিলনে সাই দিয়ে বাজিয়ে চলেছে আপন সংঙ্গীত,
~Baahon mein Jannat aa gayi, Khushnuma,
Tum jo hue ho Meherbaan
Jism se Jism ka, Yun taaruf hua,
Ho gaye Hum Sanam, Rooh tak Aashnaa
Ek zaraa jo chale Do Qadam saath mein,
Mil gaya hai Humein, Zindagi ka pataa~
হঠাৎ তৃষা হাঁপিয়ে উঠে। প্রেমের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া তার পক্ষে অসম্ভব বিষয়। তবে প্রেমের ধ্যান খেয়াল অন্যদিকে। সে তৃষাকে আরো গভীর ভাবে নিজের কাছে টেনে নেয়। তৃষা প্রেমকে বাধা দিয়ে জিজ্ঞেস করল, ” এখানে নয়।”
প্রেম সেই বাঁধা উপেক্ষা করে তৃষার গলা আলতো করে চেপে ধরে ঠোঁটের গভীরতায় হারিয়ে মৃদু শ্বাস নিয়ে বলে, “উঁহু সোনা এখানেই।”
চলবে?
( গল্পের আর মাত্র দুইটা পার্ট আছে। এখন অবশ্যই সবাই কমেন্ট করবেন আর ৩k রিয়েক্ট হলে পরবর্তী পার্ট দেওয়া হবে। কারণ লাখ লাখ ভিউ হয় অথচ আপনাদের কিছু না বললে রিয়েক্ট দিতেই চান না। এই গল্পটা শেষ করতে দেরি হলে চিত্রাঙ্গনা ২ আসতেও দেরি হবে। যাই জলদি ৩k রিয়েক্ট দিয়ে টার্গেট পূরণ করেন।)
Share On:
TAGS: ইশরাত জাহান জেরিন, প্রেমতৃষা
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
প্রেমতৃষা পর্ব ২৭
-
প্রেমতৃষা পর্ব ৪৬(১ম অর্ধেক)
-
প্রেমতৃষা পর্ব ২১+২২
-
প্রেমতৃষা পর্ব ২+৩
-
প্রেমতৃষা পর্ব ১৭+১৮
-
প্রেমতৃষা পর্ব ২৯+সারপ্রাইজ পর্ব
-
প্রেমতৃষা সারপ্রাইজ পর্ব
-
প্রেমতৃষা পর্ব ৩০(বিবাহ স্পেশাল পর্ব)
-
প্রেমতৃষা পর্ব ৪৯
-
প্রেমতৃষা ৪২ (প্রথম অর্ধেক)