উড়ালমেঘেরভেলায়
লেখনীতে— #ঝিলিক_মল্লিক
পর্ব_১০
[কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।]
রানিয়া নিজের হাতটা ছাড়ানোর প্রাণপণ চেষ্টা চালালো। তবে ওই বলিষ্ঠ হাতের জোরের কাছে পেরে উঠলো না। ও বিরক্তিস্বরে আভিয়ানকে উদ্দেশ্য করে বললো, “হাতটা ছাড়ুন।”
“না ছাড়লে?”
“লাথি মারবো।”
“পা বেঁধে রাখবো। তারপর লাথি মেরো।”
“থুতু মারবো।”
“মুখে কসটেপ লাগিয়ে রাখবো।”
“রুড আপনি। ট্যু মাচ রুড! হাত ছাড়ুন বলছি!”
“আমার বাড়িতে এসে আমাকেই হম্বিতম্বি দেখাচ্ছো?”
“বাড়ি নিয়ে কত বড়াই! এই বাড়ি শুদ্ধ ভেঙে আপনার মাথায় পড়ুক!”
“বেয়াদব। তোমাকে…”
আভিয়ান রেগে কিছু একটা বলতে যাবে তার আগেই পেছন থেকে আলিশার ডাক শোনা গেল। রানিয়াকে ডাকছে ও। বলছে, “ভাবী জলদি আসো। আমরা লুডুর কোর্ট-গুটি বের করেছি। তুমি না আসলে খেলা শুরু হবে না।”
আলিশার কন্ঠস্বর শুনতেই আভিয়ানের মুঠো করে রাখা হাতটা ক্ষণিকের জন্য আলগা হয়ে গেল। এই চমৎকার সুযোগে রানিয়া ওর হাতের মুঠো হতে কচি হাতখানা গলিয়ে বের করে এনে পেছন দিকে ছুটে পালালো।
.
.
লুডু খেলতে খেলতে রাত প্রায় আটটা বেজে গেছে। এরমধ্যে কাঁকন গিয়ে উঠে দেখে এসেছে, বড়রা সবাই রান্নার আয়োজন করছে৷ মামা-খালুরা সোফায় বসে আড্ডা দিচ্ছে। আর মহিলারা রান্নাঘরে রাতের খাবার রান্না করছেন। সাথে নাকি পিঠাপুলির আয়োজনও চলছে৷ এতোটা সময় বসে থাকার কারণে ওদের চট করে খিদে পেয়ে গেল। মাইশা উঠে গেল চা-নাস্তা নিয়ে আসার জন্য। তখনই বারান্দার মাথায় ওর আভিয়ান ভাইয়ার সাথে দেখা হয়ে গেল। আভিয়ান বাইরে গিয়েছিল। সিগারেট শেষ হয়ে গেছে ওর। সেটাই আনতে গিয়েছিল৷ হঠাৎ এভাবে বোনের সাথে দেখা হয়ে যাওয়ায় বিব্রত হয়ে বেনসনের প্যাকেটটা মুঠো করে হাত পেছনে নিয়ে নিলো। অপ্রস্তুত হলো আভিয়ান। ভ্রু কুঁচকে মাইশার দিকে তাকাতেই মাইশা ভাইকে দেখে আচনক বলে উঠলো, “ভাইয়া তোমার কোনো কাজ আছে?”
“কেন?”
“আগে বলো আছে কিনা।”
“না নেই।”
“তাহলে আসো এদিকে।”
আভিয়ান কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওর হাত ধরে টেনে ভেতরের সেই গেস্ট রুমে নিয়ে গেল মাইশা।
চতুর্থ ম্যাচ শেষ হয়ে এবার পঞ্চমবারের মতো খেলা শুরু করার আয়োজন চলছে। কাঁকন কিছুক্ষণের জন্য ব্যালকনিতে গিয়েছে বলে রানিয়া সবে ওড়নাটা একটু সরিয়ে বসেছিল। রুমের মধ্যেও ওড়না পরে থাকতে অসুবিধা হয় ওর। হাসফাঁস লাগে।
এখন তো এখানে কোনো পুরুষ মানুষ নেই। মেয়েদের সামনে আবার এতো বিড়ম্বনা কীসের? একথা ভেবেই ওড়না গলার কাছ থেকে সরিয়ে রেখেছিল ও৷ হঠাৎ মাইশার সাথে সাথে আভিয়ানকে রুমের মধ্যে ঢুকতে দেখে চমকে উঠলো রানিয়া। হতভম্ব বনে গেল কিছুক্ষণের জন্য। মুহূর্তের মধ্যে হুঁশে ফিরতেই পাশ ফিরে আগে ওড়নাটা টেনে গায়ে জড়িয়ে নিলো। আভিয়ানের দিকে তাকাতেই চোখে চোখ পরলো। দেখলো, আভিয়ান ভ্রু কুঁচকে সরু চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। রানিয়া সঙ্গে সঙ্গে চোখ সরিয়ে নিলো। নতমুখে বসে রইলো। একটু আগে আভিয়ানের সাথে জড়ানো বাকবিতন্ডার কথা মনে পড়ে গেল ওর। নিজেকে একা ছাড়াই যাবে না রানিয়ার। একা ছাড়লেই লোকটা ওকে খপ করে ধরবে। তারপর হাজারটা জেরা করা, মারামারি, হানাহানি!
রানিয়াকে আরো বেশি আতঙ্কিত করে দিয়ে আভিয়ান এসে বিছানার ওপরে বসলো। প্রথমে মাইশারা ওকে লুডু খেলার জন্য খুব করে অনুরোধ করলেও আভিয়ান রাজি হয়নি। নাকচ করে দিচ্ছিল। কিন্তু রানিয়ার ওরকম বিরক্তিকর চাহনি দেখে ইচ্ছা করেই লুডু খেলতে বসেছে ও। রানিয়ার ভ্রুকুটি আরো বেশি ঘন হলো। ওর ঠিক পাশ ঘেঁষেই বসেছে আভিয়ান। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আজ ঠান্ডা পরেছে বেশ ভালোই। সেই ঠান্ডার কারণে ওরা গায়ে কম্বল টেনে বসে ছিল। আভিয়ান রানিয়ার পাশ ঘেঁষে আরো ভালোভাবে উঠে বসে গায়ে কম্বল টেনে নিলো। রানিয়ার গায়ের ওপর থেকে কম্বল নিচে পরে গিয়েছিল। মেয়েটা শীতে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে৷ আড়চোখে ব্যাপারটা খেয়াল করলো আভিয়ান। এক হাতে রানিয়ার গায়ের ওপরে কম্বলটা টেনে দিলো ও। রানিয়ার এতে অস্বস্তি আরো বেশি বেড়ে গেল। সরাসরি তাকালো না লোকটার দিকে। আড়চোখে একবার দেখলো। লোকটার পরনে একটা স্যান্ডো গেঞ্জি আর সেই ট্রাউজার। কিছুক্ষণ আগেও উদাম শরীরে থাকা লোকটার বেশভূষা পাল্টেছে এবার। গালে হালকা খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। গতবার যখন এসেছিল, তখন এমন দাঁড়ি ছিল না। শেভ করেনি বোধহয়। চুলগুলো এবার কিছুটা ঝাঁকড়া হয়েছে। তবে ডিসেন্টভাবে কাটা। ঝাঁকড়া হলেও যে চুলের এমন ভদ্রতা বজায় থাকে বা দেখতে ভদ্র লাগে — ব্যাপারটা এই প্রথম দেখলো রানিয়া। আভিয়ান উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের। কয়েকটা স্পেসিফিক রঙের পোশাক-আশাকে প্রায়শই ফরসা বর্ণের মনে হয়। রানিয়া একবারের বেশি তাকায় না। আড়চোখে পর্যবেক্ষণ করে লুডুর কোর্টের দিকে মনোযোগ দেয়। এরমধ্যে ওর মনে হলো, আভিয়ান ওর দিকে একবারও তাকায়নি। ব্যাপারটা মনে হতেই রানিয়া আরো শক্ত হয়ে বসে থাকে। এবার আড়চোখেও ফিরে তাকায় না আভিয়ানের দিকে।
.
.
একজোড়া শীতল পায়ের ছোঁয়া নিজের পায়ে অনুভূত হতেই চমকে উঠলো রানিয়া। এবার ঘাড় ঘুরিয়ে সরাসরিই পাশে বসে থাকা লম্বাচওড়া লোকটাকে দেখলো। লোকটার কোনো হেলদোল-ই নেই৷ দিব্যি চাল দিচ্ছে কোর্টে। রানিয়া স্বরে বসার চেষ্টা করলো। কিন্তু ওপাশে আর জায়গা নেই। ওর পাশে বসে আছে আলিশা। তারপর মাইশা। মাইশার ওপাশে কাঁকন। রানিয়া কটমট চোখে আভিয়ানের দিকে তাকালো। বিরবির করে বললো, “পা সরান অসভ্য।”
এমনভাবে কথাটা বললো, যেন শুধুমাত্র আভিয়ান-ই শুনতে পায়। অন্য কেউ শুনতে না পায়৷ আভিয়ান কথাটা শুনলোও। পা সরানোর বদলে উল্টো আরো জেদ ধরে বললো, “সরাবো না।”
কথাটা বলেই রানিয়ার পায়ের ওপর পা ঠেলে দিলো আভিয়ান। রানিয়ার পা ঠান্ডা ছোঁয়া পেয়ে কেঁপে উঠলো শীতে। ওর মন চাইলো চাকু দিয়ে আভিয়ানের পায়ের ওপর কোপ বসাতে। কিন্তু সেটা পারলো না করতে। রানিয়া এবার একটা অসম্ভব কাজ করে বসলো৷ কম্বলের নিচে হাত ঢুকিয়ে নিজের পায়ের ওপর তুলে রাখা আভিয়ানের পায়ে জোরে খামচি বসালো। সঙ্গে সঙ্গে আভিয়ান “উহ” শব্দ করে উঠতেই খেলা থেমে গেল। সবাই একসাথে আভিয়ানের দিকে তাকালো৷ আভিয়ান ওদের তাকানো দেখে স্বাভাবিক হলো। গম্ভীর মুখ করে বললো, “তোরা কন্টিনিউ কর। আমার কাজ আছে। আসছি।”
কথাটা বলেই জবাবের অপেক্ষা না করে দরজার দিকে পা বাড়ালো ও। দরজার কাছাকাছি পৌঁছে বের হওয়ার আগে পেছনে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো। রানিয়া ওকে দেখামাত্রই চোখে চোখ পরলো৷ আভিয়ান কটমট চাহনিতে দেখলো ওকে। ওর চোখের চাহনিই বলে দিলো, “রাতে ঘুমাতে আসবে না? তখন দেখবো তোমাকে।”
রানিয়াও চোখের ইশারায় বোঝালো, “রাত-দিন ছাড়েন, আপনার কাছে যাচ্ছে কে? আপনি বরং আমার অপেক্ষায় ক্ষোভ ধরে বসে থাকুন। আমি আসছি না জনাব।”
.
.
রাতের খাবারে আজ হরেক রকমের পদ রয়েছে। পুরো টেবিল ভর্তি খাবার। টেবিলে চেয়ার থাকে সচারাচর আটখানা। এখন আরো ছয়টা গাদাগাদি করে বসানো হয়েছে। লোকসংখ্যা তো নেহাৎ কম নয় পুরো টেবিল জুড়ে হৈ-হুল্লোড় চলছে। হৈ-হুল্লোড়টা রানিয়ার ননদ-দেবরেরা-ই লাগিয়েছে। রানিয়াও ওদের সাথে সায় দিচ্ছে টুকটাক। তবে নতুন বউ বলে যথাসম্ভব চুপচাপ থাকার চেষ্টা করছে।
মুরব্বিদেে মধ্যে মহিলারা সবাই খেতে বসেননি। পুরুষেরা বসে গিয়েছেন। রানিয়াদেরকেও জোর করে বসানো হয়েছে। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, রানিয়া যেখানে বসেছে; তার ঠিক সোজাসুজি চেয়ারেই টেবিলের অপর প্রান্তে এসে বসেছে আভিয়ান। ও বসতে বসতে সরাসরি একবার রানিয়াকে দেখেছে। এরইমধ্যে আভিয়ানের আম্মা আর খালাম্মা এসে সবাইকে খাবার বেড়ে দিতে লাগলেন। সবাই খাওয়া শুরু করলো। রানিয়ার প্লেটে প্রথমে মুগডাল-ভুনা দেওয়া হয়েছি; এরপর মটরভুনা। হঠাৎ কে যেন এসে ওর প্লেটে একটা কাতলা মাছের বড় টুকরো তুলে দিলো। রানিয়া মাছটা মুখেও তুলতে পারলো না৷ প্লেটে আসা মাত্রই ওটার গন্ধ নাকে যাওয়া মাত্রই দমবন্ধ হয়ে আসলো ওর, পেটের ভেতরে উগড়াতে লাগলো। মনে হলো, পাকযন্ত্র শুদ্ধ কেউ টান মেরে বের করে নিয়ে আসতে চাইছে। রানিয়ার মাথা চক্কর দিতে লাগলো বসা থেকেই। বহুকষ্টে উঠে দাঁড়ানোর নিমেষ মাত্র পেল ও। দ্রুত উঠে দাঁড়িয়ে দৌড় দিলো বাইরের ঘরের সর্ব-ব্যবহৃত ওয়াশরুমটার দিকে। পেছনে রেখে গেল সবার চোখে-মুখে এবং মনে একরাশ কৌতূহল এবং উদ্বিগ্নতা। এমন পরিস্থিতিতে ও খেয়াল করলো না, কতগুলো মানুষ খাওয়া থামিয়ে ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ছিল। বিশেষত একজন ব্যক্তি; তীক্ষ্ণ চাহনিতে ওর যাওয়ার পানে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। সরু চাহনি ফেলে কি যেন ভাবছে!
এখনো কেউ খাচ্ছে না। একে-অপরের দিকে মুখ চাওয়াচাওয়ি করছে। অপেক্ষা করছে মেয়েটার ডাইনিং-এ ফিরে আসার। ততক্ষণে রানিয়ার শাশুড়ি এবং খালা শাশুড়ি ওর কাছে ছুটে গিয়েছে। তারা গিয়ে দেখলেন, মেয়েটা হড়হড় করে বমি করছে একনাগাড়ে। দেখে পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে, ওর ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। মাথা চেপে ধরে রেখেছে। আরেক হাতে পেট। রানিয়ার শাশুড়ি আশফি বেগম এগিয়ে গিয়ে পেছন থেকে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখলেন। উষ্ণ হাতে ওর পিঠ টেনে দিতে ব্যস্ত হলেন। যেন কষ্ট কিছুটা হলেও কমে। আর ওর খালা শাশুড়ি মরিয়ম খাতুন গেলেন ওর জন্য খাবার পানি আনতে।
মরিয়ম খাতুন ডাইনিং-এ পানি নেওয়ার জন্য আসার আগেই আভিয়ানের সাথে দেখা হলো তার। আভিয়ান খাওয়া ছেড়ে উঠে এসেছে। ওর প্লেটের খাবারগুলো তখনও উচ্ছিষ্ট হিসাবে রয়ে গেছে। খুব সম্ভবত, এক লোকমা খাবার সবে মুখে তুলেছিল ও। তখনই এহেন ঘটনা। ওর মুখ দেখে প্রতিক্রিয়া ঠিক বোঝা গেল না। খালাম্মাকে শুধু জিজ্ঞাসা করলো, “কী হয়েছে খালাম্মু?”
মরিয়ম খাতুন উদ্বিগ্ন স্বরে জবাব দিলেন, “বমি হচ্ছে। সম্ভবত শরীর খারাপ করেছে।”
আভিয়ান পাশ কাটিয়ে ওয়াশরুমের দিকে গেল। ততক্ষণে ওর আম্মা রানিয়াকে বাইরে নিয়ে এসেছেন। তারা বাইরের বেসিনের সামনে দাঁড়ানো। খালাম্মা এসে পানি খাওয়ালেন রানিয়াকে। আভিয়ানের আম্মা রানিয়ার হাত ধরে আভিয়ানের সামনে এনে ওকে বললেন, “বৌমাকে ঘরে নিয়ে যাও বাবা। ওর খাবার আমি ঘরে পাঠিয়ে দিচ্ছি। খেয়ে তারপর মেডিসিন নিক। নিশ্চয়ই অনিয়ম করেছে। নাহলে এভাবে শরীর খারাপ হবে কেন!”
রানিয়া দেখলো, ওর শাশুড়ি অনেক দুশ্চিন্তা করছে। আভিয়ান কিছু বললো না৷ রানিয়ার হাত ধরে ওকে ড্রয়িংরুম পার করে বারান্দার ওপাশে নিয়ে গেল৷ সেখানে যেতেই থেমে গেল আভিয়ান। রানিয়ার হাত ছেড়ে দিলো। বাহু ধরে ওকে সামনে এনে দাঁড় করালো। রানিয়ার তখনও মাথা ঘুরছে। তবে নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করছে ও। আভিয়ান তৎক্ষনাৎ ওকে চমকে দিয়ে প্রশ্ন করলো, “কী হয়েছে?”
রানিয়ার বুকে অযথাই কম্পন সৃষ্টি হলো। ও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে জবাব দিলো, “কিছু হয়নি।”
“কী হয়েছে সত্যি করে বলো তো।”
আভিয়ানের গাঢ় কন্ঠস্বর। তাতেই রানিয়া অপ্রস্তুত হলো। কোনো জবাব দিতে পারলো না। ওর মনে হলো, কেউ ওর গলা চেপে ধরে রেখেছে। আভিয়ান জবাব না পেয়ে বললো, “রুমে চলো।”
একদম শান্ত কন্ঠস্বর। রানিয়া ওর চোখে চোখ রাখতেই দেখলো, আভিয়ান ওর দিকে সরু চোখে তাকিয়ে আছে।৷ অদ্ভুত শান্ত, তবে মারাত্মক তীক্ষ্ণ সেই চাহনি। ওই চাহনি দেখে রানিয়া চমকালো, ভড়কালো। ওর মনে হলো, এই বুঝি ধরা পড়ে গেল!
চলবে
Share On:
TAGS: উড়াল মেঘের ভেলায়, ঝিলিক মল্লিক
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ১২
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ৫
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ১
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ৩
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ২
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ১১
-
উড়াল মেঘের ভেলায় গল্পের লিংক
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ৬
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ৮
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ৯