#বি_মাই_লাভার
#পর্ব-১৩
#সাদিয়া_খান(সুবাসিনী)
দিলশাদ আরো খানিকটা মুখ এগিয়ে নিলো নৈঋতার দিকে।অস্ফুটস্বরে ডাকা ডাকে সে ফিসফিস করে বলল,
“বেবি গার্ল! বলো তুমি।আমি শুনছি। কোথায় কষ্ট হচ্ছে কিড্ডো?”
নৈঋতা চোখ মেলে ধীরে ধীরে তাকালো।দিলশাদের দিকে এক মুহুর্ত তাকিয়ে থেকে ভ্রু নাক কুঁচকে কেঁদে ফেলবে এমন ভঙ্গি করতেই দিলশাদ তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
“না কিছু হয়নি মাই প্রিন্সেস।আমি আছি তো।”
দুই হাত বাড়িয়ে দিলো নৈঋ, উদ্দেশ্য দিলশাদের হাত ধরবে। বাম হাতের শিরায় পড়ানো ক্যানোলায় টান লাগছিল। দিলশাদ হাত দিয়ে সেই হাতটা ধরে বলল,
” বলো মাই রেইন বো, কি হয়েছে?কষ্ট হচ্ছে?”
নৈঋতা হাত বাড়িয়ে দিলশাদের গালে হাত রাখলো। তার চোখ ভারী হয়ে আসছে।সে ভেবেছিল আর বুঝি এই পৃথিবীতে টিকে থাকা হলো না।অথচ সে দিব্যি বেঁচে আছে। চোখের কার্ণিশে এক ফোটা জল এলো।দিলশাদ পড়তে দিলো কি? নাহ্, নিজের আংগুল দিয়ে তুলে নিয়ে বলল,
“মাই লি’ল স্টার! ভয় নেই আমি আছি।কেউ কিছুই করতে পারবে না।”
“তোমার জ্বর ভালো হয়নি হানিবিয়ার। চোখগুলো লাল হয়ে আছে কেন?কেঁদেছো তুমি?”
দিলশাদ আলগোছে হাত রাখলো নৈঋতার মাথায়।হাজার হাজার নামে প্রতিনিয়ত সে ডাকে এই মেয়েটাকে।সকাল শুরু হয় ওর মুখ দেখে, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও ওর খোঁজ নিয়েই চোখ বন্ধ করে। তখনও তো ছিল ওর সাথেই অথচ চোখ খোলার পর ছিল না। এই মেয়েটা কি জানে সে কতোটা ভয় পেয়েছিল?
দুই হাতে নৈঋতার হাত নিয়ে বলল,
“কি চাই তোমার?বলো, আমি এক্ষুণি এনে দিচ্ছি।”
“বাইক রাইড।”
“এখন?”
“তুমি সুস্থ হলে।নিয়ে যাবে?”
“বেশ যাবো।এবার বিশ্রাম নাও।”
কয়েক মুহুর্ত পর ডাক্তার এসে দেখে গেল।বিশ্রামের প্রয়োজন দুজনের।ডিরেক্টর বার বার দিলশাদের শারিরীক অবস্থার কথা বলছে। দুই ঘন্টা পর নৈঋতাকে কেবিনে শিফট করা হয়েছে। অক্সিজেন মাস্ক রাখতেই চাইছে না মেয়েটা। জোর না করাটাই শ্রেয় মনে করলো সবাই। নৈঋতা এক পাশে সরে গিয়ে দিলশাদকে বসার জন্য জায়গা করে দিলো।দিলশাদ তার পাশে বসতেই সে আদেশ দিলো তার কোলে মাথা রাখতে। খানিকটা ইতস্তত হলো সে কিন্তু শরীর মিথ্যে বলছে।ক্লান্ত তার শরীর।জ্যাককে দিয়ে নৈঋতার ফোন আনানো হয়েছে। দিলশাদ কোলে মাথা রাখলো।ক্লান্তি নেমেছে তার গায়ে। নৈঋতা অন্য হাতে তার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলো। ধীরে ধীরে শ্বাস ভারী হলো দিলশাদের।
কপালে তার ভাঁজ জমেছে। হাত বুলিয়ে সেই ভাঁজ ছাড়ায় নৈঋতা।ঘুমের মাঝেই দিলশাদ খানিকটা নড়েচড়ে উঠে।হুট করেই নৈঋতার মনে এক বুদ্ধি এলো।সে ঘুমন্ত দিলশাদের ছবি তুলে পাঠালো নির্জনাকে।
*********************
দিলশাদের ঘুম ভাঙলো বাহিরে কারোর মৃদু কান্নাকাটির শব্দে। জেগে দেখলো নৈঋতা বসে বসে হেলান দিয়ে ঘুমোচ্ছে। এক হাত দিলশাদের হাতে অন্য হাত তার চুলে। আস্তেধীরে উঠে মেয়েটাকে শুইয়ে দিলো।এতোটা কাছাকাছি তারা দুজন ছিল এভাবে, এটা দেখলে যে কেউ অন্য কিছু মনে করবে। খানিকটা দূরত্ব বজায় রাখা উচিৎ ছিল কিন্তু এই মুহুর্তে সে কোনো ভাবেই কিড্ডোর সাথে উচ্চবাচ্য করবে না।
স্লিপার পায়ে বেরিয়ে আসতেই নির্জনা হামলে পড়লো তার বুকে। কাঁদতে কাঁদতে বলল,
“প্লিজ দিলশাদ, আমি তোমার কাছে কিছুই চাইনি।কেবল তোমাকে চেয়েছি।আমার থেকে তুমি তোমাকে কেড়ে নিও না।”
“কি হয়েছে?”
“তুমি নৈঋতার সাথে ওভাবে…….
” একদম বাজে কথা বলবে না।কিড্ডো ঘুমিয়ে আছে। তাছাড়া….
“শোনো আমি যদি অন্য কোনো পুরুষের কোলে মাথা রেখে ঘুমাই তুমি আমাকে মেনে নিবে?”
দিলশাদ কোনো জবাব দিলো না।সত্যি বলতে তার এটা ভেবে খারাপ লাগছে না। কিন্তু মুখেও কিছু বললো না।
নির্জনা বলল,
“ও একা একা চলে গিয়েছিল।তারপরেও তুমি আমাকে উপেক্ষা করে কেন চলে গেলে?”
“কিড্ডো একা যায়নি।কে এসবের পিছনে আছে সেটা।অবশ্যই বের হবে।আমি কেবল মাই বেবি গার্লের জ্ঞান ফেরার অপেক্ষা করছিলাম।”
নির্জনা চুপসে গেল। হাত বাড়িয়ে দিলশাদের হাত ধরে বলল,
“আমরা বিয়েটা করে ফেলি? নৈঋতা তো দূরে যাচ্ছেই তোমার থেকে।তবে কেন দেরি করবো বরঙ ও চলে যাওয়ার আগেই না হয়……
দিলশাদ হাত ছাড়িয়ে জ্যাককে ডেকে বললো নির্জনাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে৷ বাকী রাত আর তার ঘুম হলো না। ভোরের সূর্য ফোটার পর নৈঋতার ঘুম ভাঙলো। দিলশাদ তার পাশে এসে বসে বলল,
” গত রাতে তুমি নির্জনাকে ছবি পাঠিয়েছো? তুমি কি ভেবেছো তোমার আমার এই সম্পর্কটাকে কতোটা নোংরা করে ফেলেছো তুমি?”
“তুমি ঘুমাচ্ছিলে না।তোমার বিশ্রাম প্রয়োজন ছিল।”
“বিশ্রাম আর আমন্ত্রণ বুঝতে হবে তোমাকে।”
“তুমি বুঝলে কেন এসেছিলে?”
“তুমি আমাদের সম্পর্কটাকে নোংরা করে ফেলেছো।আমার এতো বছরের স্নেহ, ভালোবাসা, দায়িত্বকে তামাশা বানিয়েছো।”
নৈঋতা নীরবে তাকিয়ে রইল।নির্জনা এতো দিন বলতো আজ দিলশাদ বলছে একই কথা ভিন্ন শব্দে।তবে সত্যিই কি সে তৃতীয় ব্যক্তি? তাকে চুপ থাকতে দেখে দিলশাদ বলল,
” তিনটা প্রশ্ন করবো, হ্যাঁ বা না তে জবাব দিবে।”
“মানে?”
“তুমি যখন সানশাইন থেকে বেরিয়েছিলে তখন আমাকে যে শর্ত দিয়েছিলে দূরে যাবে সেটা কি জেনে বুঝে দিয়েছিলে?”
“হানিবিয়ার…..
” হ্যাঁ বা না।”
“হ্যাঁ।
” এই কেবিন থেকে নিজ ইচ্ছায় একা একা বেরিয়েছিলে?”
“হ্যাঁ।”
“তোমাকে কেউ ইচ্ছে করে নিয়ে গিয়েছিল তাদের সাথে না কি তুমি নিজ ইচ্ছেতে গিয়েছিলে।”
শেষ প্রশ্নের মানে নৈঋতা বুঝলো বেশ ভালো ভাবেই। দিলশাদের কাছে হয়তো কেউ একজন বলেছে সে পালাচ্ছিলো।হয়তো প্রমাণ ও দিয়েছে কারণ প্রমাণ ছাড়া দিলশাদ কথা বলে না।এই মুহূর্তে লিফটের ভেতরের কথা, তাকে যে অমানবিকভাবে কষ্ট দিয়েছে সেগুলো বলেও কোনো লাভ হবে না। তাই ইচ্ছে করেই নৈঋতা মিথ্যে বলল।সে জবাব দিলো,
“হ্যাঁ।”
দিলশাদ এক মুহুর্ত তার দিকে তাকিয়ে রইল।শেষ একটা প্রশ্ন করলো তাকে। “কেন এমন করছো? আমার থেকে দূরে গেলে ভালো থাকবে?”
“তিনটে প্রশ্ন শেষ মি.দিলশাদ।আপনার আর অধিকার নেই আমাকে প্রশ্ন করার।”
নৈঋতা উঠে দাঁড়ালো। নির্জনা পুনরায় এসেছে, হাতে টিফিন ক্যারিয়ার। সে দিলশাদের দিকে এগিয়ে আসতেই নৈঋতা বেরিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যত হলো।জ্যাককে ডেকে সে বলল,
” প্রত্যয় আংকেলকে আসতে বলুন জ্যাক। এবার না হয় মৃত বন্ধুর ভাগ্নির প্রতি কিছুটা দায়িত্ব সেও পালন করুক।”
প্রত্যয় এলো আধ ঘন্টা পর।দিলশাদ নীরবে তাকিয়ে আছে, নৈঋতা বেরিয়ে যাওয়ার আগে একটা বারের জন্যও তার দিকে তাকালো না।নিজের সাথে ফোনটাও নিলো না। কিছু লিগ্যাল ডকুমেন্টস নিয়ে এসেছিল প্রত্যয়। সেগুলো দিলশাদের সামনে রেখে বলল,
“আমাকে এতোগুলো ভরণপোষণের খরচটা রইল মি.দিলশাদ।আজ থেকে আপনার সাথে আমার সব সম্পর্ক শেষ হলো।”
চলবে………………………।।
#বি_মাই_লাভার
#পর্ব-১৪
#সাদিয়া_খান(সুবাসিনী)
নৈঋতা কেবিন থেকে বেরিয়ে দু কদম চলার পরেই টলমলিয়ে পড়ে গেল।প্রত্যয় দ্রুত পায়ে তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।সাদা মার্বেল ফ্লোরের উপর গা এলিয়ে পড়ে গেল মেয়েটা।খানিকটা জোরে শব্দ হতেই দিলশাদ নিজেও বেরিয়ে এলো। প্রত্যয় ততক্ষণে তাকে তুলে নিচ্ছে কিন্তু দিলশাদ তাকে বলল,
“আমাকে দে প্রত্যয়।”
“আজ এই মুহুর্তে এই অভিনয় করিস না দিলশাদ।আমি জানি না তুই কি দেখেছিস বা কি বুঝেছিস। কিন্তু রাইট নাও, স্টে আউট অফ হার।”
“ওর চিকিৎসা প্রয়োজন।”
“ও মরে যাক তাতে তোর কি?তুই তোর চিন্তা নিয়ে থাক।”
একজন নার্সের সহায়তায় নৈঋতাকে পাশের কেবিনে শিফট করা হলো।একে তো দুর্বল শরীর উপরন্ত এতো চিন্তার কারণে আজ হুট করে শরীর খারাপ হয়েছে। মেয়েটার জ্ঞান ফিরলো সতেরো ঘন্টা পর। দিনের আলো নিভে আকাশে তখন টিমটিমে চাঁদের আলো।এই আলোয় প্রথম বার নৈঋতা নিজেকে অনাথ মনে করলো। ফাঁকা কেবিনটায় কেউ নেই।এক অপ্রত্যাশিত শীতলতা আছে। মা বাবাকে সে চোখেই দেখেনি। খুব ছোটোবেলার কথা মনে পড়লে আর মনে হয় এক হাস্যজ্বল মুখ। যে মুখে আছে বা পাশে কালো এক তিন। যে মুখটা বরাবর তাকে হেসে কথা বলতো, কোমর অবধি ছড়ানো চুল, ঠোঁটে হালকা গোলাপি লিপস্টিক আর সাদা রঙের শাড়ি।হ্যাঁ নীহারিকা শাযলীন, নৈঋতার নানু।আরেক জনের চেহারাটা খুব মনে পড়ে, অদ্ভুত চোখের সেই মানুষটার কথা।ইলহামের চোখ ছিল ঠিক সমুদ্রের মতো গভীর, নীল রঙা।মাঝেমধ্যে নৈঋতা হাত বাড়িয়ে স্পর্শ করতে চাইতো। ইলহাম আগলে রেখেছিল তাকে নিজ অংশের মতো।কিন্তু সব স্মৃতি গিয়ে থামে সেই দিন যেদিন ইলহামের সাদা রঙের শার্ট হয়েছিল ক্রিমসন রঙের।ঝাঝড়া হয়েছিল তার বুকটা অথচ দৃষ্টি ছিল অদ্ভুত শীতল। অথচ এতো দিনেও তার নিজেকে অনাথ মনে হয়নি, আজ মনে হচ্ছে।আজ তার নিজের বলতে কেউ রইলো না।আদৌও কি কখনো ছিল?
রাতের আকাশে তখন কোথা থেকে একটা প্লেন উড়ে গেল।তার লাল নীল রঙের বাতি দেখে দিলশাদের জন্য মন কেমন করে উঠলো।ধীর পায়ে সে পাশের কেবিনের দিকে পা বাড়ালো।কিন্তু কেবিন ফাঁকা। কেউ নেই, সিকিউরিটি গার্ড জানালো দিলশাদের আজ সকালেই ডিসচার্জ হয়ে গেছে।
***********
প্রত্যয়কে না জানিয়ে আজ নৈঋতা একা একা বের হয়েছে। তার কোনো পিছুটান নেই তবে কেন সে কাউকে নিজের দায়িত্ব দিবে? এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে একটা রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবার খাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও কোনো খাবার সে মুখে দিতে পারলো না।কোথায় যাবে, কি করবে কোনো ঠিক নেই।একটা মাত্র ব্যাংক কার্ড দিয়ে কতোটা সময় চলবে তার? দিলশাদ যখন তখন কার্ড বন্ধ করে দিতে পারে।বেশ খানিকটা টাকা তুলল সে। এরপর কার্ডটা ভেঙ্গে পাশের ডাস্টবিনে ফেলে দিলো।না কোনো ফোন, না অন্য কোনো কিছু রাখলো সাথে যার সাহায্যে তাকে খোঁজা যাবে। একটা লোকাল বাজার থেকে কয়েকটা জামা কাপড় এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে উঠলো এক বাসে। এই প্রথম নিজ চোখে এই জীবন দেখছে সে। দামি গাড়ির জানালার কাঁচ দিয়ে দেখা শহর এবং পায়ে হেঁটে সেই শহর দেখার মাঝের ভীষণ তফাৎটা আজ অনুভব করছে। ধীরে ধীরে ঘুম নামছে তার চোখে, অথচ বাস চলছে নিজ গতিতে কিন্তু নৈঋতা তো গন্তব্যহীন।
**************
জ্যাক মাথা নিচু করে দিলশাদকে জানালো ওরা নৈঋতাকে হারিয়ে ফেলেছে। শেষ অবধি বাসে উঠা পর্যন্ত তাকে নজরে রেখেছিল।কিন্তু হুট করেই কেমন হারিয়ে গেল মেয়েটা।দিলশাদ কিছু না বলে চুপচাপ তাকিয়ে রইল ওদের দিকে। মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বলল,
“যদি না পারো ওর খোঁজ করতে তবে আমার সামনে এসো না জ্যাক।”
“চিফ, অনারেবল লেডিকে বের হতে দেওয়া উচিৎ হয়নি।”
” কিড্ডোর খোঁজ শুরু করো জ্যাক।আই ওয়ান্ট হার।”
কিন্তু দিলশাদ নিজেও জানে যে নিজ ইচ্ছেতে লুকিয়ে পড়ে তাকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল।নিজের বুকের বা পাশে হাত রাখলো সে। এই নিষিদ্ধ অনুভূতির কোনো শেষ সে খুঁজে পাচ্ছে না।গত কাল রাতে যখন নৈঋতা খুব কাছে ছিল এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে সে। একান্ত কাছের করে পেয়েছিল এক রমনীকে।যার চুলের গন্ধে, দেহের আবেশে এক অদ্ভুত মাদকতা ছিল।রমনীর মুখ অস্পষ্ট হলেও তার গায়ের গন্ধ এবং স্পর্শ ছিল চিরচেনা।ঘুম ভেঙ্গে যখন ঠিক একই অনুভূতি হলো এবং তার পুরুষত্ব বার বার করে নৈঋতার দিকেই আংগুল তুলে জানান দিলো এক অদ্ভুত নিষিদ্ধ অনুভূতির তখন সে বুঝতে পারলো কোন পথে হাঁটছে সে।
এই অনুভূতির কোনো মানে হয় না।এটা পাপ, অন্তত দিলশাদের জন্য পাপ। নৈঋতা যে ইলহামের আমানত, যাকে সে সব কিছু দিয়ে আগলে রাখবে, নিজের করে রাখবে।নিজের করে রাখতে হলে এই নিষিদ্ধ অনুভূতির তো কোনো প্রয়োজন নেই।তার এক অভিভাবক হিসেবেও তো রাখতে পারে। অথচ এই বেহায়া শরীর আর মন এই কথা কেন মানছে না?কেন চাইছে নৈঋতার উপর একছত্র অধিপত্য?
চলবে
Share On:
TAGS: বি মাই লাভার, সাদিয়া খান
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
বি মাই লাভার পর্ব ৪
-
বি মাই লাভার পর্ব ৩
-
বি মাই লাভার পর্ব ১
-
বি মাই লাভার পর্ব ১১+১২
-
বি মাই লাভার পর্ব ৭+৮
-
বি মাই লাভার গল্পের লিংক
-
বি মাই লাভার পর্ব ৫+৬
-
বি মাই লাভার পর্ব ২
-
বি মাই লাভার পর্ব ৯+১০