#আড়ালে_তুমি |১৪|
#সাইদা_মুন
একে তো মেঘ সবার সামনে তাকে থাপ্পড় মেরেছে তার উপর কলার ধরেছে। রাগে যেনো রুদ্রের মাথা ফেটে যাচ্ছে। সাথে সাথে মেঘের দুই বাহু ধরেই নিজের থেকে ছাড়িয়ে পেছনের দিকে ধাক্কা মারে। হঠাৎ ধাক্কায় মেঘ পড়ে যেতে নেয়, তবে পেছন থেকে পিহু সুমনা তাকে আঁকড়ে ধরে। রুদ্র রাগে গজগজ করতে করতে বলে,
-“হাউ ডেয়ার ইউ? তোমার সাহস কী করে হয় এই রুদ্র চৌধুরীর গায়ে হাত দেওয়ার?”
এমন গর্জনে মেঘ কেঁপে উঠে। রুদ্রের এই রূপ নতুন দেখছে, খুবই ভয়ানক লাগছে তাকে। রুদ্র আরও এক পা সামনে এসে আবারো ধমকে বলে,
-“যদি মেয়ে না হয়ে ছেলে হতে, এতোক্ষণে মাটির নিচে গেঁড়ে ফেলতাম। তোমার ভাগ্য ভালো, মেয়েদের গায়ে হাত তোলার শিক্ষা পাইনি, নয়তো হাতটা ভেঙে গুড়িয়ে দিতাম।”
এর মধ্যে রুদ্রের ফ্রেন্ডরা চলে আসে, পুরো ক্যাম্পাসে মোটামুটি হট নিউজ হিসেবে এটা ছড়িয়ে পড়েছে। আশেপাশে স্টুডেন্টস ভিড় জমিয়েছে। সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যেনো সার্কাস দেখছে। তা দেখে রাহুল এক ধমকে সবাইকে নিজের কাজে যেতে বলতেই সবাই ভয়ে চলে যায়।
এদিকে পিহু তার ভাইয়ের রাগ সম্পর্কে জানে, তাই সে মেঘকে টানছে এখান থেকে যেতে। তবে মেঘ একটুও নড়ছে না। এতে যেনো রুদ্রের রাগের পরিমাণ তরতরিয়ে বাড়ছে। কর্কশ গলায় পিহুকে বলে,
-“তর বান্ধবীকে এক্ষুনি আমার চোখের সামনে থেকে সরা, নয়তো যেভাবে দাঁড়িয়ে আছে সেভাবে আর কোনোদিনও দাঁড়াতে পারবে না।”
মেঘ রুদ্রের কথা কানে না নিয়েই, তার চোখের সামনে হাতের অ্যান্ড্রয়েড ফোনটা ধরে। তাতে সেই ভিডিওটা প্লে করা।
রুদ্র এক মুহূর্তের জন্য থমকে যায়। পরপরই মেজাজ এমনিতেই বিগড়ে আছে, তার উপর কেউ যেনো আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। চড়া গলায় বলে উঠে,
-“কে এতোটা দুঃসাহস দেখালো? কে এই ভিডিও করেছে..”
আরও কিছু বলতে যাবে, তার আগেই মেঘ রুদ্রের কথা তোয়াক্কা না করে বলে উঠে,
-“হাহ এখন নাটক করছেন? কিছুই জানেন না? পুরো ভার্সিটিতে ভাইরাল। সবাই বেশ মজা নিচ্ছে, তবে আপনাকে নিয়ে না আমাকে নিয়ে। কারণ আমি মেয়ে, আমার চরিত্রে আঙুল তুলছে, মজা উড়াচ্ছে আমাকে নিয়ে।”
দু’পা এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করে,
-“কেনো করলেন এমন?”
রুদ্র একে তো এসব সম্পর্কে কিছুই জানে না তার উপর এই মেয়ে হুদাই তাকে ব্লেম দিচ্ছে। রাগ যেনো চরম সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে। ঝারি মেরে বলে উঠে,
-“এই মেয়ে, আর একটা কথা বলবা তো চড় মেরে গালের নকশা বদলাই দিবো। দুনিয়াতে এমন বলদ দেখছো যে কাউকে ভাইরাল করতে গেলে নিজের ফেইসও দেখায়। মাথায় কি ঘিলু নাই? আমি যদি ভিডিও করতাম তো তোমার কাছে কে ছিলো? আমার জমজ ভাই? আর আমি আমার ইমেজ নিজ ইচ্ছায় নষ্ট করবো? এতো বলদ পাইছো? ইডিয়েট কোথাকার..”
বলেই নিজের কপালে দুই আঙুল দিয়ে স্লাইড করতে লাগে রাগ কন্ট্রোল করতে। তবে একে সামনে দেখে মনে হচ্ছে রাগ কমবেই না। তাই গটগট পায়ে সেখান থেকে চলে যায়।
মেঘ চুপচাপ দাঁড়িয়ে। রাহুল ধীর পায়ে মেঘের সামনে এসে বলে,
-“কাউকে ব্লেম দেওয়ার আগে একবার যাচাই করা উচিত, সে কি আসলেই দোষ করেছে কিনা। রুদ্র কিন্তু এরকম ছেলেই না, যেমন তুমি তাকে ভেবেছো। আর এভাবে সবার সামনে হাত তোলা একদমই উচিত হয়নি। তার ইগো হার্ট করেছো, সাবধানে থেকো, পারলে তার কাছে মাফ চেয়ে নিয়ো।”
শান্তও বলে,
-“সে মেয়েদের অনেক রেসপেক্ট করে, এসব তার দ্বারা হবেই না। যাই হোক, যে বা যারা এসব করেছে তা আমরা খুঁজে বের করবোই। তবে তোমার আজকের কাজটা একদম ঠিক করোনি, ভরা ক্যাম্পাসে…”
আর কিছু না বলেই তারাও চলে যায়।
কোথা থেকে একটি মেয়ে এসে মেঘকে বলে টিচার্স রুমে তাকে ডেকেছে। মেঘ মাথা নিচু করেই হাঁটা দেয়। ভেতরে ভেতরে অজানা ভয়ে কাঁপছে। পেছন পেছন পিহুরাও আছে, তবে ভেতরে ঢুকেনি, বাইরে-ই দাঁড়িয়ে।
টিচার্স রুমের কাছে গিয়ে নক করতেই পারমিশন পেয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তাকিয়ে দেখে সব টিচাররাই এখানে উপস্থিত। সাথে সাথে রুদ্রও এসে ঢুকে। তার চোখ লাল, তবে সে শান্ত, অস্বাভাবিকভাবে শান্ত।
একজন ম্যাম মেঘকে উদ্দেশ্য করে বলে,
-“ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করতে এসেছো?”
-“এই মেয়ে দেখতে তো ভদ্র ঘরের লাগে তবে পরিবার থেকে কি এসব শিক্ষাই দিয়ে পাঠিয়েছে?”
এভাবে আরও অনেক টিচার অনেক কথাই বলছে মেঘকে। সে কিছুই বলছে না, অপমানে মাথা নিচু করে আছে। চোখ দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পানি পড়ছে।
রুদ্র তা দেখে বলে উঠে,
-“স্যার এতে তার একার দোষ নেই, আমাদের দুজনেরই দোষ আছে। তবে কে বা কারা ভিডিও করে ভাইরাল করেছে তা আমি জানিনা।”
রুদ্র সেদিনের আসিফের ঘটনাটা পুরোপুরি আড়াল করে যায়। কারণ এটা জানাজানি হলে মেঘের নামের আরও বদনাম ছড়িয়ে পড়বে।
তখনই একজন ম্যাম রুদ্রকে থামিয়ে বলে,
-“না রুদ্র তুমি কেনো এই দোষ নিজের কাঁধে উঠাবে, এতো বছর ধরে দেখে আসছি তোমায়। আজ অব্দি এমন কোনো খারাপ রেকর্ড করোনি তুমি। নিশ্চয়ই এই মেয়ে প্ল্যান করেই তোমার ইমেজ খারাপ করতে এমন করেছে। নয়তো এতো ভালো উচ্চপদের ফ্যামিলির ছেলে এমন করেনা।”
মেঘ অবাক হয়ে মাথা তুলে তাকায়। একজন নারী হয়ে আরেকজন নারীর সম্পর্কে এমন কথা। তার থেকে বড় কথা, একজন শিক্ষক হয়ে এমন ধরনের কথা তার মুখে! সমাজে কি টাকা আর ক্ষমতার জোরই সব? রুদ্র ছেলে আর উচ্চ পরিবারের সন্তান বলে কি সে নির্দোষ?
তবে মেঘ বেশিক্ষণ অবাক হয়ে থাকতে পারলো না। হঠাৎ পেছন থেকে কেউ তার চুল টেনে ধরায় আহহহ করে উঠে। সঙ্গে সঙ্গে সবাই সেদিকে তাকায়।
মহিলাটি তাকে চুলের মুঠি ধরে ঘুরিয়ে পরপর ৪/৫টা চড় মারে আর বলতে লাগে,
-“তোকে পেটে ধরেই ভুল করেছি। তোর জন্য আজ আমাদের দিকে আঙুল উঠছে। তুই আসলেই একটা অলক্ষ্মী, অপয়া। দেখেছেন ভাইজান, বলেছিলাম না এই মেয়েকে এতো মাথায় তুলবেন না। আজ আপনার মাথাই নিচু করে দিলো। আজকেই এর একটা ব্যবস্থা করবো।”
মহিলাটির কথায় সবাই বুঝে গেছে, মেঘের মা এটা। অফিস থেকেই কল গেছে, তাদের আসতে বলা হয়েছিল।
এদিকে রুদ্র দাঁত কিঁচমিচিয়ে হাত মুঠ করে নেয়। মেঘের ঠোঁটের কোণা ফেটে হালকা রক্ত বেরিয়েছে, গালগুলো টকটকে লাল রঙ ধারণ করেছে, চুল এলোমেলো। এভাবে কেউ মারে! তবে কিছু বলতে পারছে না।
একজন স্যার উনাকে থামায়,
-“এটা টিচার্স রুম, আপনাদের পার্সোনাল ঝামেলা বাসায় গিয়ে করবেন।”
অতঃপর মেঘকে ছেড়ে গিয়ে বসে। মিজানুর সিকদার নিজের গম্ভীর ভাব নিয়েই বসেন। হঠাৎ বলে উঠেন,
-“আমাদের মেয়ে কি করেছে?”
একজন ম্যাম বলে উঠে,
-“আমাদের কানে তার নামে অনেক ধরনের কমপ্লেইন এসেছে। আপনাদের মেয়ে ক্যাম্পাসে এসে ছেলেদের সাথে ঘুরে বেড়ায়। এমনকি তার এসব কাজের একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে আজ। যা আমাদের ভার্সিটির বাইরে গেলে এক নিমিষেই বদনাম হয়ে যেতো।”
মেঘ অবাক নয়নে তাকায়, এসব কে বলেছে? এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা,সে ছেলেদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলে আর তারা কি বলছে।
মিজানুর সাহেব শান্ত চোখে তাকায় মেঘের দিকে। মেঘ মাথা নিচু করে নেয়, হিচকি তুলে কাঁদছে। সে বেশ বুঝতে পারছে, যেই একটা হাত তার মাথার উপর ছিলো, তাও সে হারিয়ে ফেলছে। এখন সে নিজেকে প্রমাণ করতে গেলেও লাভ নেই।
সেই ভিডিওটা একজন দেখায়, উনি সাথে সাথে চোখ সরিয়ে নেয়। তবে মেঘের মা সেটা দেখে আরও তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেন।
মেঘকে তার বড় বাবা আস্তে করে ডাকেন। মেঘ মাথা নিচু রেখেই সামনে এগোয়। তিনি শান্ত সুরে বলেন,
-“এই মেয়েটা কি তুমি?”
মেঘ কি বলবে কিছুই বুঝছে না। এতো কিছুর পরও তিনি তার উত্তরের আশায়। কিন্তু ওইটা সে নিজেই, তবে পরিস্থিতি তো এক ছিলো না, কিভাবে বুঝাবে?
আবারো তিনি গম্ভীর কণ্ঠে প্রশ্ন করতেই, মেঘ মাথা উঁচু-নিচু করে। তা দেখে তিনি কিছু বলতে যাবেন, তার আগেই মেঘের সৎ বাবা বলে উঠে,
-“বলেছিলাম না অন্যের সন্তান আমাদের বাড়িতে তুলবেন না। পর পরই থাকে আপন হয় না। কেনো দয়া দেখিয়ে এই মেয়েকে আনতে গিয়েছিলেন ভাইজান? আজ আপনারই সম্মান নিয়ে টানাটানি করছে।”
মিজানুর সিকদার তখন গম্ভীর সরে বলেন,
-“আহ মাহমুদা এটা অফিস রুম, বেডরুম না। তোমার স্বামীকে চুপ করাও।”
তারপর তিনি স্যারদের উদ্দেশ্যে বলে,
-“আমাদের মেয়ের পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তার ভুল হয়েছে, দয়া করে আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।”
এদিকে রুদ্র অবাক হয়ে শুনছে তাদের কথা। সে মনে মনে ইকুয়েশন মিলাচ্ছে, “উনি যদি মেঘের মা হয়ে থাকেন, তবে উনার স্বামী মেঘের বাবা, তবে তাকে অন্যের সন্তান বললো কেনো?” কিছুই তার মাথায় ঢুকছে না।
তবে সে পরিস্থিতি সামলাতে বলে উঠে,
-“আংকেল দেখুন, যেমনটা ভাবছেন তেমন কিছুই না। এতে মেঘের কোনো দোষ নেই। পরিস্থিতিই এম….”
তখন মিজানুর সিকদার রুদ্রের হাত ধরে থামিয়ে বলে,
-“বাবা তুমি ছেলে মানুষ, হাজারটা এমন কাজ করলেও তোমার গায়ে লাগবে না। তবে এখানে তোমাকে দোষ দিচ্ছি না। আমার মেয়ের যদি মত না থাকতো… যাই হোক, ভিডিওটা ডিলিট করার চেষ্টা করো। মেয়ে মানুষ, এসব কলঙ্ক থাকলে কোথাও গিয়ে মাথাও ঠেকাতে পারবে না।”
বলেই তিনি উঠে চলে আসেন। এদিকে মেঘের মা মেঘকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
পিহুরা অফিস রুমের বাইরে-ই ছিলো। তবে হঠাৎ মেঘকে এভাবে টেনে নিয়ে যাওয়া দেখে তারাও পিছু নিতে নেয়, তবে মেঘের মায়ের এরম রাগী রূপ দেখে তারা আর আগ বাড়ায় না। তখন রুদ্রও বেরিয়ে আসে। তাকে দেখেই পিহু প্রশ্ন ছুড়ে,
-“ভাইয়া ভেতরে কী হয়েছে? আর মেঘকে এভাবে নিয়ে যাচ্ছে কেনো?”
রুদ্র শান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে,
-“যা হওয়ার হয়েছে।”
পরক্ষণেই আবার রেগে বলে উঠে,
-“যে এই কাজটা করেছে, তাকে যদি আমি কঠিন শাস্তি না দেই, তবে আমার নামও রুদ্র না।”
তখনই রাহুলের কল আসে,
-“হ্যা বল,”
-………
-“দাড়া, আমি এক্ষুনি আসছি, দুই মিনিট দাঁড়াতে বল।”
কল কেটে বড় বড় পা ফেলে সেদিকে যায়। আইসিটি কক্ষে এসেই দেখা মেলে রাহুল, শান্তদের সাথে একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে। সে যেতেই শান্ত বলে উঠে,
-“ভিডিও সব জায়গা থেকে সরিয়ে দিয়েছি।”
রাহুল বলে উঠে,
-“আর দোস্ত, এই মেয়ে এসেছে। ও নাকি জানে এসবের পেছনে কার হাত আছে। আমি অনেকবার জিজ্ঞেস করলাম, তবে বারবার তুই আসলেই বলবে বলছে..”
রুদ্র এবার গম্ভীর হয়ে মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করে,
-“কে করেছে এসব? ..”
মেয়েটি মাথা নিচু করে বলে,
-“মেঘ..”
রাহুল রুদ্র একসাথে চিল্লিয়ে বলে উঠে,
-“হোয়াট…?”
মেয়েটি মাথা উঁচু-নিচু করে। তারপর কিছু কথা বলে যা শুনে রাহুল রেগে-মেগে বলে,
-“মিথ্যে বলছো? এর পরিণতি কিন্তু ভালো হবে না।”
মেয়েটি ভীতু সুরে বলে,
-“না ভাইয়া, সত্যি মেঘই করিয়েছে। আমার কাছে প্রমাণও আছে।”
তারপর নিজের মোবাইল বের করে কয়েকটি স্ক্রিনশট দেখায়। তা দেখে রুদ্রের চেহারায় লালচে ভাব চলে আসে, চোখ লাল হয়ে উঠে, ঠোঁট কামড়ে ধরে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে।
এদিকে রাহুল যেনো স্তব্ধ। সে এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না।
রুদ্র রেগে-মেগে হাঁটা ধরে,
-“ছলনাময়ী নারী। এমন নাটক…., ভরা ক্যাম্পাসে আবার চড় মারলে, এর ফল তোমায় পেতেই হবে মেঘ, রেডি থাকো…
চলবে…….
[কমেন্ট করে জানাবেন কেমন? ]
Share On:
TAGS: আড়ালে তুমি, আড়ালে তুমি সাইদা মুন, সাইদা মুন
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৫১
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৫৭
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৫৬
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৫৫
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৩১
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৫৪
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৩
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৭
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৩৬
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৫২